Ajker Patrika

শাবল দিয়ে স্বামীর চোখ উপড়ে নেওয়ার অভিযোগে স্ত্রী আটক

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫: ৪৪
Thumbnail image

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ‘প্রেমের সম্পর্ক দেখে ফেলায়’ শাবল দিয়ে বাক্‌প্রতিবন্ধী স্বামীর চোখ তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। আহত স্বামীকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্বজনেরা।

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত ওই নারীকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে পৌর শহরের কালুগাড়ী গ্রামে। 

তবে অভিযুক্তের দাবি, সংসারের খরচসহ এনজিওর কিস্তির টাকা না দেওয়ায় তিনি স্বামীকে আঘাত করেছেন। 

ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম নুরুল ইসলাম (৪৫)। তিনি ওই এলাকার রহিম উদ্দীনের ছেলে। নুরুল পেশায় একজন ইলেকট্রিশিয়ান। অভিযুক্ত হলেন তাঁর স্ত্রী সাজেদা বেগম। নুরুল-সাজেদা দম্পতির দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে। 

কালুগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মোমিন মিয়া, শামছুন নাহারসহ স্থানীয়দের অভিযোগ—বিয়ের পর থেকেই সাজেদা বেগমের চারিত্রিক অবক্ষয়ের বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে একাধিক পুরুষের সঙ্গে তাঁকে আটক করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় দফায় দফায় সালিস-দরবারও হয়েছে। এমন কোনো কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। 

ভুক্তভোগী নুরুল ইসলামের ভাতিজা শাহ্ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গভীর রাতে শোরগোল শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি লোহার শাবলের আঘাতে আমার চাচার বা চোখ উপড়ে গেছে। আঘাত কপাল ভেদ করায় সেদিক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এ ছাড়া তাঁর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’ 

শাহ আলমের অভিযোগ, ‘একজন নারীর পক্ষে স্বামীকে এভাবে আহত করা সম্ভব নয়। সেখানে নিশ্চয়ই অন্য পুরুষ ছিল। রাতে বাড়ি ফিরে তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলায় প্রেমিকের সহায়তায় আমার চাচাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।’ 

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরকীয়ার বিষয়টি স্বীকার না করলেও দাম্পত্য কলহের জের ধরে সাজেদা শাবল দিয়ে নুরুলকে আঘাত করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত