Ajker Patrika

পানির অভাবে আমন চাষে শঙ্কা

প্রতিনিধি, মিঠাপুকুর
পানির অভাবে আমন চাষে শঙ্কা

চলছে ভরা বর্ষাকাল। আকাশে মেঘ আছে কিন্তু বৃষ্টি নেই। এ অবস্থায় রংপুরের মিঠাপুকুরে আমন ধানের চারা রোপণ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকেরা। অনেক চাষি সেচ দিয়ে জমি প্রস্তুত করছেন। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যাবে উৎপাদন খরচ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে মিঠাপুকুরে সাড়ে ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপজেলার দুর্গাপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান মিয়া জানান, যাঁরা আগাম চাষে আগ্রহী, তাঁরা সম্পূরক সেচ দিয়ে চারা রোপণ করছেন। এ জন্য কৃষককে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।

মিঠাপুকুরের পশ্চিমে রয়েছে লাল মাটির অঞ্চল। এই এলাকার চাষিরা ধান কেটে আলু চাষ করে থাকেন। এ কারণে তাঁরা আগাম ধানের চারা রোপণ করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার ময়েনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক।

চেংমারী ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকার কৃষক রিয়াজুল ইসলাম জানান, তিনি সেচ দিয়ে এক বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ শেষ করেছেন। তিনি বিনা-৭ জাতের ধান চাষ করছেন।

দুর্গাপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের কৃষক ছাত্তার মিয়া এ বছর বিআর–১১ ধান চাষ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। তবে পানির অভাবে জমি প্রস্তুত করতে পারছেন না। 
চিথলী মধ্যপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক জগদীশ চন্দ্র চারা রোপণের জন্য তাঁর খেত সেচ দিয়ে প্রস্তুত করছেন।

 পানির অভাবে আমন চাষে শঙ্কামিঠাপুকুরে চলতি মৌসুমে স্থানীয় স্বর্ণা ও বিআর-১১ জাতের বীজ ধান বেশি বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া বিআর-৪৯, বিআর-৮১ ও বিআর-৫২ জাতের বীজধানও বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উপজেলা ডিলার খলিলুর রহমান।

এই বীজ ব্যবসায়ী বলেন, সারের কোনো সমস্যা নেই। বৃষ্টি হলেই পুরোদমে ধানের চারা রোপণ শুরু হয়ে যাবে। তবে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত না হলে আমন চাষ ব্যাহত হওয়ারও আশঙ্কা করছেন অনেকে। আর সেচ দিয়ে রোপণ করতে হলে বিঘাপ্রতি বাড়তি ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, এ বছর ৩৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হবে। অনেকে আগাম চারা রোপণ করছেন। তাঁরা মূলত আমন কেটে আলু চাষ করবেন।

আনোয়ার হোসেন বলেন, আগাম চাষের জন্য অনেকে সেচ দিচ্ছেন। তবে এখনো অনেক সময় আছে। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত চারা রোপণ করা যাবে। আর দু–এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হবে বলে আশাবাদী ওই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত