প্রতিনিধি, বদরগঞ্জ (রংপুর)
দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত রোববার খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মিতু আক্তার, জিন্নাত, তানজিলা, খাদিজা ও কাকুলি (সবগুলো ছদ্মনাম) সবাই দশম শ্রেণির ছাত্রী। তারা করোনাকালীন বন্ধের আগে নিয়মিত ক্লাস করত।
ক্লাস শুরুর প্রথম দিনে (১২ সেপ্টেম্বর) দেখা গেছে তারা সবাই অনুপস্থিত। সহপাঠীদের থেকে খোঁজ নিয়ে শিক্ষকেরা জানতে পারেন, করোনাকালীন স্কুল বন্ধের সময় তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। এখন তারা সবাই শ্বশুরবাড়ি। তাদের মধ্যে জিন্নাত মা হয়েছে, আরও অনেকে মা হতে চলেছেন।
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা রাধানগর ইউনিয়নের পাঠানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অনেক নারী শিক্ষার্থীই এমন বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন জানান, তাঁর স্কুলের দুই শ্রেণির আরও ১৫ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় জন অবশ্য বিদ্যালয়ে এসেছে।
অল্প বয়সে নতুন সংসারের বোঝা ঘাড়ে এসে পড়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থী মুনমুন, স্বপ্না ও আশরিফা এবং দশম শ্রেণির রুমি আক্তার, মরিয়ম ও মিতু আক্তারের। তারা স্কুল শুরুর প্রথম দিনে বিদ্যালয়ে আসে। নিজেদের বিয়ের প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলে, তাদের অমতে বাবা-মা বিয়ে দিয়েছেন। লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার শর্তে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তা মেনে নেন। এ কারণে তারাও বিয়ে মেনে নিয়েছে।
বিদ্যালয়ে আসা বিবাহিত এক ছাত্রী বলে, আমি লেখাপড়া করে অনেক দূরে যেতে চাই। আমার স্বামী অনার্সে পড়ে। কোনো কারণে যদি স্বামী আমাকে পড়াতে না চান, তাহলে আমি স্বামীর সংসার ছেড়ে দেব। তবু লেখাপড়া ছাড়ব না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দেওয়া এক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখন সময়টা খারাপ। সবার হাতে হাতে মোবাইল। মেয়ের কখন কী ঘটে যায়, ঠিক নাই। তাই ভালো ঘরের ছেলে পেয়ে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছি।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিয়েগুলোর নিবন্ধন করেছেন সুমন নামে এক ব্যক্তি। তবে তিনি নিকাহ নিবন্ধক নন। গোপীনাথপুর ইউনিয়নের নিকাহ নিবন্ধক শহীদুল ইসলামের বই ব্যবহার করে তিনি বাল্যবিবাহের নিবন্ধন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে শহীদুল ইসলাম সুমনকে নিকাহ নিবন্ধক বই দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তাঁর এলাকার বিয়েগুলো অন্য এলাকায় চলে যাওয়ার কারণে লালদীঘি গ্রামের সুমনকে নিকাহ নিবন্ধক বই দিয়েছিলেন। তবে, শহীদুল ইসলাম দাবি করেন, সুমন রাধানগর পাঠানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রীর বিয়ে নিবন্ধন করেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরশাদ হোসেন বলেন, বাল্যবিয়ের কারণে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর জন্ম হতে পারে। আবার মায়ের অপুষ্টির পাশাপাশি প্রসবকালীন মৃত্যুঝুঁকিও থাকে।
তবে কেউ অভিযোগ না দেওয়ায় এই এলাকায় বাল্যবিবাহের বিষয়ে কিছু জানেন না উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম।
দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত রোববার খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মিতু আক্তার, জিন্নাত, তানজিলা, খাদিজা ও কাকুলি (সবগুলো ছদ্মনাম) সবাই দশম শ্রেণির ছাত্রী। তারা করোনাকালীন বন্ধের আগে নিয়মিত ক্লাস করত।
ক্লাস শুরুর প্রথম দিনে (১২ সেপ্টেম্বর) দেখা গেছে তারা সবাই অনুপস্থিত। সহপাঠীদের থেকে খোঁজ নিয়ে শিক্ষকেরা জানতে পারেন, করোনাকালীন স্কুল বন্ধের সময় তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। এখন তারা সবাই শ্বশুরবাড়ি। তাদের মধ্যে জিন্নাত মা হয়েছে, আরও অনেকে মা হতে চলেছেন।
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা রাধানগর ইউনিয়নের পাঠানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অনেক নারী শিক্ষার্থীই এমন বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন জানান, তাঁর স্কুলের দুই শ্রেণির আরও ১৫ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় জন অবশ্য বিদ্যালয়ে এসেছে।
অল্প বয়সে নতুন সংসারের বোঝা ঘাড়ে এসে পড়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থী মুনমুন, স্বপ্না ও আশরিফা এবং দশম শ্রেণির রুমি আক্তার, মরিয়ম ও মিতু আক্তারের। তারা স্কুল শুরুর প্রথম দিনে বিদ্যালয়ে আসে। নিজেদের বিয়ের প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলে, তাদের অমতে বাবা-মা বিয়ে দিয়েছেন। লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার শর্তে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তা মেনে নেন। এ কারণে তারাও বিয়ে মেনে নিয়েছে।
বিদ্যালয়ে আসা বিবাহিত এক ছাত্রী বলে, আমি লেখাপড়া করে অনেক দূরে যেতে চাই। আমার স্বামী অনার্সে পড়ে। কোনো কারণে যদি স্বামী আমাকে পড়াতে না চান, তাহলে আমি স্বামীর সংসার ছেড়ে দেব। তবু লেখাপড়া ছাড়ব না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দেওয়া এক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখন সময়টা খারাপ। সবার হাতে হাতে মোবাইল। মেয়ের কখন কী ঘটে যায়, ঠিক নাই। তাই ভালো ঘরের ছেলে পেয়ে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছি।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিয়েগুলোর নিবন্ধন করেছেন সুমন নামে এক ব্যক্তি। তবে তিনি নিকাহ নিবন্ধক নন। গোপীনাথপুর ইউনিয়নের নিকাহ নিবন্ধক শহীদুল ইসলামের বই ব্যবহার করে তিনি বাল্যবিবাহের নিবন্ধন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে শহীদুল ইসলাম সুমনকে নিকাহ নিবন্ধক বই দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তাঁর এলাকার বিয়েগুলো অন্য এলাকায় চলে যাওয়ার কারণে লালদীঘি গ্রামের সুমনকে নিকাহ নিবন্ধক বই দিয়েছিলেন। তবে, শহীদুল ইসলাম দাবি করেন, সুমন রাধানগর পাঠানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রীর বিয়ে নিবন্ধন করেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরশাদ হোসেন বলেন, বাল্যবিয়ের কারণে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর জন্ম হতে পারে। আবার মায়ের অপুষ্টির পাশাপাশি প্রসবকালীন মৃত্যুঝুঁকিও থাকে।
তবে কেউ অভিযোগ না দেওয়ায় এই এলাকায় বাল্যবিবাহের বিষয়ে কিছু জানেন না উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ২৮টি মাদক সংক্রান্ত মামলার আসামি মবু মিয়াকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার (৯ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম।
১৪ মিনিট আগেফেনীর পরশুরামে কোরবানির গরুর চামড়া নদীতে ফেলার অভিযোগে শুক্কুর আলী (৪৩) নামে এক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মালিপাথর গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
৩০ মিনিট আগেঝালকাঠির সদর উপজেলায় নবগ্রাম ফকিরবাড়ি সংলগ্ন মকরমপুর দরবার শরীফ দাখিল মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে থাকা মেহগনি গাছ বেচে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সুপার মাওলানা হারুন আর রসিদ।
৪০ মিনিট আগেচুরির উদ্দেশ্যে গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করেন শ্যালক ও দুলাভাইসহ তিনজন। কিন্তু চিনে ফেলায় গলা কেটে হত্যা করা হয় গৃহবধুকে। লাশ ফেলে দেওয়া হয় পুকুরে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর হত্যায় জড়িত রাব্বী নামে একজনকে আটক করলে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
১ ঘণ্টা আগে