Ajker Patrika

ঝড়ের তিন দিন পরও ফেরেনি বিদ্যুৎ, দুর্ভোগে বাসিন্দারা

 গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
ঝড়ে উপড়ে পড়া বিদ্যুতের খুঁটি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝড়ে উপড়ে পড়া বিদ্যুতের খুঁটি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার তিন দিন পার হলেও রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আলমবিদিতর ও নোহালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ-সংযোগ ফিরে আসেনি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা।

গত শনিবার সকালে ঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে এবং লাইন ছিঁড়ে যায়। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো অনেক গ্রাম বিদ্যুৎহীন হয়ে আছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় যোগাযোগ ও দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। পানির পাম্প চালানো যাচ্ছে না, মোবাইল চার্জ দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, এমনকি বিদ্যুতের অভাবে বিপাকে পড়েছেন অটোরিকশা ও ভ্যানচালকেরা। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন ছোট ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা।

হাজীরহাট বাজারের মাহামুদ নামের এক দোকানদার বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় দোকানের ফ্রিজ বন্ধ। ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম কিছুই বিক্রি করতে পারছি না। অনেক আইসক্রিম নষ্ট হয়ে গেছে। তিন দিন ধরে লোকসান গুনছি।’

আলমবিদিতর ইউনিয়নের খামার মোহনা এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হক (৪৫) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমনি ঘূর্ণিঝড়ে ভাঙচুর হয়া আছে। তিন দিন থাকি অন্ধকারে আছি। এমনি ঘরবাড়ি সবকিছু ভাঙি গেইছে। তারপরে আবার কারেন্ট নাই। গরু-ছাগল নিয়া বিপদে আছি। তিন দিন থাকি রাত জাগি জাগি থাকি। যদি কোনো কিছু চুরি হয়া যায়।’

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর আওয়াতাধীন গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. শরীফ লেহাজ আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত খুঁটি ও লাইন মেরামতের কাজ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রায় ২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি: বিজিএমইএ সভাপতি

বিমানবন্দরের মতো কৌশলগত স্থাপনায় আগুন নিরাপত্তা ঘাটতির স্পষ্ট প্রমাণ: জামায়াত আমির

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন যেসব প্রশ্ন তুলল, সর্বশেষ যা জানা গেল

এখনো যথেষ্ট আগুন রয়েছে, তবে নিয়ন্ত্রণে

শাহজালাল বিমানবন্দরে নাশকতার প্রমাণ পেলে ‘কঠোর ব্যবস্থা নেবে’ সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত