Ajker Patrika

কুড়িগ্রামে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, স্বল্পস্থায়ী বন্যার আশঙ্কা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৩, ২০: ৩৯
Thumbnail image

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে এসব নদ-নদী অববাহিকায় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পূর্বাভাসের বরাতে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, মধ্য জুলাইয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে কুড়িগ্রামে স্বল্পস্থায়ী বন্যা দেখা দিতে পারে।

পাউবো নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সোমবার বেলা ৩টা থেকে আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টা পর্যন্ত) তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি সমতলে বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ সময় ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বাড়ছে ধরলা ও তিস্তার পানিও।

এদিকে আজ সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। জেলার সদর উপজেলার কিছু কিছু স্থান ছাড়াও উলিপুর উপজেলা শহরে দুই ঘণ্টাব্যাপী ভারী বর্ষণ হয়েছে। এতে উলিপুর শহরের প্রধান প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে সাময়িক জনদুর্ভোগের খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার পৌর এলাকার বিভিন্ন নালা উপচে ময়লা পানি ও আবর্জনা সড়কে ভেসে যেতে দেখা গেছে।

পাউবোর বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতের উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ও উজানের অববাহিকায় ভারতের অরুণাচল, আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে বর্তমানে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। উজানে ভারী বৃষ্টির ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে। একই কারণে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানিও বাড়তে পারে।

পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। ১৭ জুলাইয়ের দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, বন্যা হলে সেটি হবে স্বল্পস্থায়ী। কারণ এক সপ্তাহের মধ্যে পানি আবার কমে যেতে পারে। এরপর নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ করতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত