কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে শিশু সন্তানকে রেখে নিরুদ্দেশ হোন এক পিতা। এদিকে স্বামীর ফিরে আসার অপেক্ষায় তাঁর স্ত্রী একমাত্র সন্তানকে নিয়ে কাটিয়ে দেন জীবনের ২৮টি বছর। অবশেষে প্রায় এক মাস আগে স্ত্রীর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ফিরে আসেন অভিমানী সেই স্বামী।
সিনেমার গল্পকেও হার মানানো বাস্তব চরিত্রের মানুষটি কুড়িগ্রাম সদর পৌরসভার বাসিন্দা জহর উদ্দিন ওরফে বাচ্চু (৬৫)।
পেশায় কৃষক জহর উদ্দিন ১৯৯১ সালে পাশের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের আগমনী গ্রামের জাহেদা বেগমকে (৫০) বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তাঁদের মধ্যে বনিবনা কিছুটা কম ছিল। বিয়ের পর ৬ মাসের শিশু সন্তান জাহিদুল ইসলামকে রেখে নিরুদ্দেশ হন জহর উদ্দিন। ফেরেন প্রায় ৩ বছর পরে।
এরপর আবারও সংসারে তুচ্ছ ঘটনায় অভিমান করে ১৯৯৪ সালে নিরুদ্দেশ হন তিনি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁর সন্ধান না পেয়ে হাল ছেড়ে দেন। এরপর দীর্ঘ ২৮ বছর পর আকস্মিকভাবে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিজ জন্মস্থানে জহর উদ্দিন ফিরে আসলে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
জহর উদ্দিন জানান, স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানের পর ৩৬ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়েন তিনি। এরপর যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের গোবিন্দুপর গ্রামে যান। সেখানকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মিলে মিশে কাটিয়েছেন জীবনের এই দীর্ঘ সময়। সেখানে কেউ তাঁর ঠিকানা না জানলেও তাঁকে বেশ ভালোবাসতেন।
সবাই তাঁকে বাচ্চু ভাই বলে ডাকতেন। সেখানেই তিনি কিছুদিন ফেরারি জীবন কাটান। এরপর তিনি গোবিন্দপুরের মৃত মকন্দ মল্লিকের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে বেশ কয়েক বছর কাটে তাঁর। পরে সবার সঙ্গে সখ্য আর ভালোবাসায় আশ্রয় হয় সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের দোতলার একটি কক্ষে। সেখানেই তাঁর কেটে যায় ২০ বছর। চাকরি না হলেও পরিষদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে সার্বিক দেখা শোনার কাজ করতেন তিনি।
এ ছাড়াও জীবিকার জন্য সাবেক চেয়ারম্যান বিকাশ মল্লিক একটি ভ্যান গাড়ি কিনে দেন বাচ্চুকে। এর পাশাপাশি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সৎকার, বিয়েসহ যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে ছিল তাঁর পদচারণা। আচার আচরণে বাচ্চু মণ্ডল পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব, মেম্বারসহ স্থানীয়দের সবার কাছে আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন।
জহর উদ্দিনের ভাতিজা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার চাচা ফিরে আসবে আমরা কখনোই ভাবতে পারিনি। অনেক খোঁজ করার পরেও তাঁকে না পেয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ চাচা ফেরত এসেছেন। চাচাকে পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। তবে বয়স বেড়ে যাওয়ায় চাচা এখন একটু অসুস্থ রয়েছেন।
জহর উদ্দিনের স্ত্রী জাহেদা বেগম বলেন, ২৮ বছর বছর ধরে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে ছেলে বড় করেছি। আর আশায় ছিলাম ছেলের বাবা একদিন ফিরে আসবে। ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে অন্য কোথাও বিয়েও করিনি। লোকটা খুব জেদী আর অভিমানী। তবে তাঁর ফিরে আসার আনন্দের কথা বলে বোঝাতে পারব না।
সুন্দলী ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় বলেন, বাচ্চু মণ্ডলকে ২৬ অক্টোবর তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষ তাঁকে ভালোবাসতেন। পরিবারের লোকের কাছে তাঁকে ফেরত পাঠাতে পেরে একদিকে আমাদের দু:খ হলেও বড় আনন্দ তিনি তাঁর পরিবার পেয়েছেন।
স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে শিশু সন্তানকে রেখে নিরুদ্দেশ হোন এক পিতা। এদিকে স্বামীর ফিরে আসার অপেক্ষায় তাঁর স্ত্রী একমাত্র সন্তানকে নিয়ে কাটিয়ে দেন জীবনের ২৮টি বছর। অবশেষে প্রায় এক মাস আগে স্ত্রীর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ফিরে আসেন অভিমানী সেই স্বামী।
সিনেমার গল্পকেও হার মানানো বাস্তব চরিত্রের মানুষটি কুড়িগ্রাম সদর পৌরসভার বাসিন্দা জহর উদ্দিন ওরফে বাচ্চু (৬৫)।
পেশায় কৃষক জহর উদ্দিন ১৯৯১ সালে পাশের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের আগমনী গ্রামের জাহেদা বেগমকে (৫০) বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তাঁদের মধ্যে বনিবনা কিছুটা কম ছিল। বিয়ের পর ৬ মাসের শিশু সন্তান জাহিদুল ইসলামকে রেখে নিরুদ্দেশ হন জহর উদ্দিন। ফেরেন প্রায় ৩ বছর পরে।
এরপর আবারও সংসারে তুচ্ছ ঘটনায় অভিমান করে ১৯৯৪ সালে নিরুদ্দেশ হন তিনি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁর সন্ধান না পেয়ে হাল ছেড়ে দেন। এরপর দীর্ঘ ২৮ বছর পর আকস্মিকভাবে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিজ জন্মস্থানে জহর উদ্দিন ফিরে আসলে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
জহর উদ্দিন জানান, স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানের পর ৩৬ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়েন তিনি। এরপর যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের গোবিন্দুপর গ্রামে যান। সেখানকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মিলে মিশে কাটিয়েছেন জীবনের এই দীর্ঘ সময়। সেখানে কেউ তাঁর ঠিকানা না জানলেও তাঁকে বেশ ভালোবাসতেন।
সবাই তাঁকে বাচ্চু ভাই বলে ডাকতেন। সেখানেই তিনি কিছুদিন ফেরারি জীবন কাটান। এরপর তিনি গোবিন্দপুরের মৃত মকন্দ মল্লিকের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে বেশ কয়েক বছর কাটে তাঁর। পরে সবার সঙ্গে সখ্য আর ভালোবাসায় আশ্রয় হয় সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের দোতলার একটি কক্ষে। সেখানেই তাঁর কেটে যায় ২০ বছর। চাকরি না হলেও পরিষদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে সার্বিক দেখা শোনার কাজ করতেন তিনি।
এ ছাড়াও জীবিকার জন্য সাবেক চেয়ারম্যান বিকাশ মল্লিক একটি ভ্যান গাড়ি কিনে দেন বাচ্চুকে। এর পাশাপাশি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সৎকার, বিয়েসহ যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে ছিল তাঁর পদচারণা। আচার আচরণে বাচ্চু মণ্ডল পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব, মেম্বারসহ স্থানীয়দের সবার কাছে আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন।
জহর উদ্দিনের ভাতিজা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার চাচা ফিরে আসবে আমরা কখনোই ভাবতে পারিনি। অনেক খোঁজ করার পরেও তাঁকে না পেয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ চাচা ফেরত এসেছেন। চাচাকে পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। তবে বয়স বেড়ে যাওয়ায় চাচা এখন একটু অসুস্থ রয়েছেন।
জহর উদ্দিনের স্ত্রী জাহেদা বেগম বলেন, ২৮ বছর বছর ধরে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে ছেলে বড় করেছি। আর আশায় ছিলাম ছেলের বাবা একদিন ফিরে আসবে। ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে অন্য কোথাও বিয়েও করিনি। লোকটা খুব জেদী আর অভিমানী। তবে তাঁর ফিরে আসার আনন্দের কথা বলে বোঝাতে পারব না।
সুন্দলী ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় বলেন, বাচ্চু মণ্ডলকে ২৬ অক্টোবর তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষ তাঁকে ভালোবাসতেন। পরিবারের লোকের কাছে তাঁকে ফেরত পাঠাতে পেরে একদিকে আমাদের দু:খ হলেও বড় আনন্দ তিনি তাঁর পরিবার পেয়েছেন।
চট্টগ্রাম নগরীর একটি কনভেনশন হলে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফখরুল আনোয়ার আটক হয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর ভাতিজি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (সাবেক এমপি) আটক হয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে পচা মিষ্টির রসের সঙ্গে ক্ষতিকর রং ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শিশুদের প্রিয় খাবার সন্দেশ ও টফি; যা প্যাকেটজাত করে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয় বিভিন্ন জেলায়। অর্থ লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) জিপিএ-৫ না পেয়ে হতাশ হয়েছিলেন ইমা আক্তার। তারপর অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে বাকি সব পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এবার তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহে পিকনিকে গিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বাগেরহাট সদরের চুলকাঠি এলাকার শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অহনা ইসলাম মৌ, ৪র্থ শ্রেণির আম্মার, উজান কর্মকার, ১ম শ্রেণির মায়াং
৫ ঘণ্টা আগে