Ajker Patrika

পলাশবাড়ীতে কৃষক হত্যা মামলায় জামায়াতের ৮ আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
পলাশবাড়ীতে কৃষক হত্যা মামলায় জামায়াতের ৮ আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় কৃষক হাসান আলী (৫০) হত্যা মামলায় জামায়াতের ৮ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সুরা সদস্য ও সাবেক পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাওসার মো. নজরুল ইসলাম লেবু, জামায়াত নেতা আব্দুর রউফ, শাহজালাল, গোলাম মোস্তফা, শাহ আলম, ফারুক, মিজানুর রহমান মিজান ও পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবু তালেব। আসামিদের অধিকাংশের বাড়ি উপজেলার আমবাড়ী গ্রামে এবং সবাই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। 

রায় ঘোষণা কালে দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি উপস্থিত থাকলেও আসামি মিজানুর রহমান মিজান ও আবু তালেব পলাতক রয়েছেন। 

রায়ে মামলার অপর ৮ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাস প্রাপ্তরা হলেন, এমএ মালেক, লুৎফর রহমান, আবু বকর, রফিকুল ইসলাম, মুছা, আ. রহিম, আবু বক্কর ও শফিকুল ইসলাম। 

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘ সময় ধরে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত চাঞ্চল্যকর ওই মামলার রায়ে আটজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছে। এই মামলায় আটজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ কিংবা গ্রেপ্তারের পর থেকে তাঁদের সাজার মেয়াদ শুরু হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে পলাশবাড়ী উপজেলার সদরের আদর্শ ডিগ্রি কলেজের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ওই কলেজের অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নানের সঙ্গে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম লেবুর বিরোধ দেখা দেয়। পরে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নজরুলের লোকজন আব্দুল মান্নানের ওপর হামলা চালান। এ সময় পাশের সুই গ্রামের কৃষক হাসান আলী আব্দুলকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তিনিও আহত হন। তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হাসানের বড় ভাই আবুল কাশেম ১০ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ ১৬ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। 

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল হালিম প্রামাণিক জানান, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না। ন্যায় বিচারের জন্য আমরা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হব।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত