রংপুর প্রতিনিধি
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সড়কপথে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক হাজার যানবাহন ব্যস্ততম এই সড়কে চলাচল করে। উত্তরের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখলেও বর্তমানে এ সড়কের ১০ কিলোমিটার অংশ পথচারীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রংপুরের পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত সড়কের হাজারো গর্ত যেন মৃত্যুফাঁদ হয়ে উঠেছে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাগলাপীর থেকে রংপুর মেডিকেল মোড় পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার অংশে অসংখ্য গর্ত। সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত এক কিলোমিটারেও শতাধিক গর্ত দেখা গেছে। সে হিসাবে ১০ কিলোমিটারে কমপক্ষে হাজার গর্ত রয়েছে।
পাগলাপীর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী শিমুল সরকার বলেন, ‘নানা প্রয়োজনে বগুড়া থেকে দিনাজপুরে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু কোথাও এমন সড়ক নেই। শুধু পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত এ সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। গত চার মাসে ৫-৬ বার গর্তগুলো খোয়া, বালু, চিকন পাথর দিয়ে ভরাট করলেও বৃষ্টির কারণে সেগুলো আরও বড় হচ্ছে। সড়কের ওই অংশ পুরোটা সংস্কার করা প্রয়োজন।’
মহাসড়কঘেঁষা মন্থনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কথা হয় ওই এলাকার রোহান উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘দেখেন, সড়কের পুরোটা পট্টি লাগানো। এটা এখন জোড়াতালির সড়ক। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় সড়কের এমন অবস্থা। গর্তের কারণে প্রতিদিনই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মোটরসাইকেল, রিকশা ও অটোরিকশা।’
হাজিরহাট বাজারে কথা হলে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালক আবুল হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহে পাগলাপীর যাইতে অটোখান বড় গর্তে পড়ি ভাঙি গেইছে। পাঁচ হাজার খরচ করি ঠিক করছো। এলে অনেক ধীরে দেখিশুনি চালাও। সোমবার রংপুর থাকি পাগলাপীর যাওয়ার সময় বেলতলীর কাছোত গর্ততো মোটরসাইকেল উল্টি দুজনের হাত-পাও ফাটি গেইছে। প্রতিদিন এমতোন দুর্ঘটনা ঘটোছে। যান হাতোত নিয়া হামরা চলোছি। সড়ক কোনো নয়া করি বানাইলে কী হয়?’
রংপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন বিপ্লব হোসেন অপু। প্রতিদিন রাতে শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে যান মোটরসাইকেলে। অপু বলেন, ‘এত গর্ত যে ৩০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালালেও মনে হয় বাইক দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে। ওভারটেক করতে গেলেই পড়তে হচ্ছে দুর্ঘটনায়। প্রাণহানি এড়াতে সড়কের পাগলাপীর-মেডিকেল মোড় সংস্কার খুব জরুরি।’
রংপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে সড়কটি মজবুত করা হয়। এরপর দীর্ঘ সময় মজবুত না করায় আবারও নির্মাণের পর্যায়ে গেছে। পাঁচ বছর আগে ক্ষুদ্র সংস্কার করা হলেও ওভারলোডিং যানবাহনের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সওজের এক ট্রাকচালক বলেন, খোয়া, বালু, পিচ দিয়ে গর্ত ভরাট করে কোনো লাভ নেই। বৃষ্টি হলেও সেগুলো উঠে গর্ত হয়। এমনও মাস গেছে, দুই দফায় গর্ত ভরাট করতে হয়েছে। এগুলো অপচয় ছাড়া কিছু নয়। পুরো সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। ওভারলোডিং গাড়ি চলাচল বেড়েছে। তাই পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত পুরো অংশের কার্পেটিং তুলে ফেলে নতুনভাবে সড়ক নির্মাণ করতে হবে।
রংপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত সড়কের ওই অংশ পূর্ণ নির্মাণের সময় হয়েছে। যেহেতু এটা জাতীয় মহাসড়ক, তাই মেজর মেইনটেন্যান্সের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টেন্ডার হয়েছে, ইভল্যুশন চলছে। দুর্ঘটনা এড়াতে গর্তগুলো ভরাটের কাজ চলছে। এর আগেও গর্তগুলো ভরাট করা হয়েছিল। বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে।’
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সড়কপথে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক হাজার যানবাহন ব্যস্ততম এই সড়কে চলাচল করে। উত্তরের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখলেও বর্তমানে এ সড়কের ১০ কিলোমিটার অংশ পথচারীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রংপুরের পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত সড়কের হাজারো গর্ত যেন মৃত্যুফাঁদ হয়ে উঠেছে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাগলাপীর থেকে রংপুর মেডিকেল মোড় পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার অংশে অসংখ্য গর্ত। সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত এক কিলোমিটারেও শতাধিক গর্ত দেখা গেছে। সে হিসাবে ১০ কিলোমিটারে কমপক্ষে হাজার গর্ত রয়েছে।
পাগলাপীর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী শিমুল সরকার বলেন, ‘নানা প্রয়োজনে বগুড়া থেকে দিনাজপুরে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু কোথাও এমন সড়ক নেই। শুধু পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত এ সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। গত চার মাসে ৫-৬ বার গর্তগুলো খোয়া, বালু, চিকন পাথর দিয়ে ভরাট করলেও বৃষ্টির কারণে সেগুলো আরও বড় হচ্ছে। সড়কের ওই অংশ পুরোটা সংস্কার করা প্রয়োজন।’
মহাসড়কঘেঁষা মন্থনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কথা হয় ওই এলাকার রোহান উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘দেখেন, সড়কের পুরোটা পট্টি লাগানো। এটা এখন জোড়াতালির সড়ক। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় সড়কের এমন অবস্থা। গর্তের কারণে প্রতিদিনই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মোটরসাইকেল, রিকশা ও অটোরিকশা।’
হাজিরহাট বাজারে কথা হলে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালক আবুল হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহে পাগলাপীর যাইতে অটোখান বড় গর্তে পড়ি ভাঙি গেইছে। পাঁচ হাজার খরচ করি ঠিক করছো। এলে অনেক ধীরে দেখিশুনি চালাও। সোমবার রংপুর থাকি পাগলাপীর যাওয়ার সময় বেলতলীর কাছোত গর্ততো মোটরসাইকেল উল্টি দুজনের হাত-পাও ফাটি গেইছে। প্রতিদিন এমতোন দুর্ঘটনা ঘটোছে। যান হাতোত নিয়া হামরা চলোছি। সড়ক কোনো নয়া করি বানাইলে কী হয়?’
রংপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন বিপ্লব হোসেন অপু। প্রতিদিন রাতে শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে যান মোটরসাইকেলে। অপু বলেন, ‘এত গর্ত যে ৩০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালালেও মনে হয় বাইক দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে। ওভারটেক করতে গেলেই পড়তে হচ্ছে দুর্ঘটনায়। প্রাণহানি এড়াতে সড়কের পাগলাপীর-মেডিকেল মোড় সংস্কার খুব জরুরি।’
রংপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে সড়কটি মজবুত করা হয়। এরপর দীর্ঘ সময় মজবুত না করায় আবারও নির্মাণের পর্যায়ে গেছে। পাঁচ বছর আগে ক্ষুদ্র সংস্কার করা হলেও ওভারলোডিং যানবাহনের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সওজের এক ট্রাকচালক বলেন, খোয়া, বালু, পিচ দিয়ে গর্ত ভরাট করে কোনো লাভ নেই। বৃষ্টি হলেও সেগুলো উঠে গর্ত হয়। এমনও মাস গেছে, দুই দফায় গর্ত ভরাট করতে হয়েছে। এগুলো অপচয় ছাড়া কিছু নয়। পুরো সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। ওভারলোডিং গাড়ি চলাচল বেড়েছে। তাই পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত পুরো অংশের কার্পেটিং তুলে ফেলে নতুনভাবে সড়ক নির্মাণ করতে হবে।
রংপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত সড়কের ওই অংশ পূর্ণ নির্মাণের সময় হয়েছে। যেহেতু এটা জাতীয় মহাসড়ক, তাই মেজর মেইনটেন্যান্সের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টেন্ডার হয়েছে, ইভল্যুশন চলছে। দুর্ঘটনা এড়াতে গর্তগুলো ভরাটের কাজ চলছে। এর আগেও গর্তগুলো ভরাট করা হয়েছিল। বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে।’
প্রায় ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা এলাকায় ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ময়মনসিংহ ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি)। কিন্তু প্রতিষ্ঠার সময় নিয়োগ দেওয়া হয়নি প্রয়োজনীয় জনবল। বর্তমানে দুজন অতিথি শিক্ষক সপ্তাহে দুই দিন করে ক্লাস নেন। এতে ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের পর ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল পারকি। চট্টগ্রাম শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত এই সৈকতের দীর্ঘ ১৩ কিলোমিটার। পাশে বিশাল ঝাউবাগান থাকা সৈকতটি একসময় পর্যটকে মুখর থাকলেও এখন সেই অবস্থা আর নেই। ভাঙনের কারণে বালু সরে গিয়ে বিবর্ণ হয়ে
১ ঘণ্টা আগেরংপুর জেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন ৮টি উপজেলায় জনবলসংকট চরমে। এতে ঠিকমতো গবাদি পশুর চিকিৎসা পাচ্ছে না খামারিরা। নিয়মানুযায়ী প্রতিটি উপজেলায় ১১টি পদের জন্য একজন করে মোট ৮৮ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত ৫২ জন। তাঁদের মধ্যে আবার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা প্রেষণে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
১ ঘণ্টা আগেকয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুর হটস্পট হয়ে ওঠা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির এবং আশপাশের এলাকায় এ বছর ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। গত এক মাসে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচ রোহিঙ্গাসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসের ২৬ জুন পর্যন্ত জেলায় ২১৬ জন ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপও।
১ ঘণ্টা আগে