Ajker Patrika

‘হামার হাসপাতালে এক্স-রে মিশিনটি আছে জানিনে’

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
‘হামার হাসপাতালে এক্স-রে মিশিনটি আছে জানিনে’

‘হামার হাসপাতালে এক্স-রে মিশিনটি আছে জানিনে। সরকার হামার জন্য ট্যাকা খরচ করি মেশিন দিছে ডাক্তাররা হামার চিকিৎসা দেয় না। শরিল পরীক্ষা করতে হামাক রংপুর বা কুড়িগ্রাম যাওয়া নাগে। তোমার কাছে শুনলেম হামার হাসপাতালোত এক্স-রে মিশিনটি আছে।

কথা গুলো বলছিলেন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের মোছা রহিমা বেগম (৫০)। 

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি ১৬ বছর ধরে অচল পরে আছে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রোগীরা। অচল মেশিনটি সচল করতে বরাদ্দ দেওয়া হলেও কাজ হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেরামত খরচ দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক লাখ টাকা। 

দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলছেন এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট হয়েছে অনেক দিন। তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও এর সমাধান হয়নি। তাই প্রতিনিয়তই চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিপুল মানুষ। বর্তমানে এক্স-রে কক্ষটি হাসপাতালের স্টোররুম হিসেবে ব্যবহার করছেন তাঁরা। 

হাসপাতালে আসা থানাহাট ইউনিয়নের থানাপাড়া এলাকার আইয়ুব আলী বলেন, ‘মোর বেটিক নিয়ে আসছনু, পরে দেখনু এক্স-রে মেশিন নাই। তাই বাড়ি ফিরি যাওয়া লাগের।’ 

২০০৫ সালে ৩০০ এমএ এক্স-রে মেশিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্ত করা হয়েছিল। কিছুদিন পরই অচল হয়ে যায় মেশিনটি। পরে এক্স-রে মেশিনটি চালু করতে একজন টেকনিশিয়ান নিয়োগ করা হলেও চালু হয়নি মেশিন। তবে চালু না হলেও কর্তৃপক্ষ অকেজো দেখিয়ে মেরামতের জন্য প্রথম দফায় ২৮ হাজার, পরে ২ লাখ ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ আসলে তা কাগজ কলমে মেরামত দেখানো হলেও বাস্তবে কোনো কাজ না করেই আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টি এইচ ও) ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এক্স-রে মেশিনের জন্য বেশ কয়েকবার ডিজি মহোদয়ের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কেন যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না আমার জানা নেই। এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন থেকে নষ্ট হওয়ায় ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত