Ajker Patrika

সেই মাদ্রাসা সুপারকে সাময়িক বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি গঠন

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৯: ০৮
Thumbnail image

গোপনে চার পদে নিয়োগ দিয়ে ৭৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার মেনানগর নুরুল হুদা মোজাদ্দেদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আইয়ুব আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তা ছাড়া ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকায় ‘৭৫ লাখ টাকায় চার পদে নিয়োগের অভিযোগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি নজরে এলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেন।

তারাগঞ্জের ইউএনও রুবেল রানা বলেন, মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ ছিল। গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকার প্রতিবেদনটি নজরে আসে এবং প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে মিটিং করে মাদ্রাসার সুপারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তা ছাড়া ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে তা বোর্ডে পাঠানো হবে। বোর্ড সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে স্থানীয় সংসদ সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বাবুলের নেতৃত্বে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হন মাদ্রাসার অদূরের চান্দেরপুকুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাদেক আলী সরকার। এরপর থেকে মাদ্রাসায় নানা অনিয়ম-দুর্নীতি শুরু হয়।

এ নিয়ে মামলা করা হলে আদালত পরিচালনা কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। কিন্তু চলতি বছর গোপনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৭৫ লাখ টাকার বিনিময়ে অফিস সহকারী, আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তাপ্রহরী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে নিয়োগের ব্যাপারে মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকেরা কিছুই জানেন না।

তারাগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৩ সালে উপজেলার মেনানগরে নুরুল হুদা মোজাদ্দেদিয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৮৫ সালে এটি এমপিওভুক্ত হয়। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ১৮ জন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা কাগজ-কলমে ২৫০ জন হলেও স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর প্রকৃত সংখ্যা কম।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাদ্রাসায় শিক্ষার পরিবেশ ফেরাতে ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় এলাকাবাসী। মাদ্রাসা সুপারের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ করে স্থানীয় লোকজন। পরে ইউএনওর কাছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা কামরুজ্জামান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত