Ajker Patrika

হিন্দুদের হুমকি: আওয়ামী লীগ নেতার শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন পণ্ড করল পুলিশ

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯: ১৯
হিন্দুদের হুমকি: আওয়ামী লীগ নেতার শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন পণ্ড করল পুলিশ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের কটূক্তি করা ও হুমকি দেওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে মানববন্ধন চলার একপর্যায়ে কয়েকজনের বক্তব্যের পর পুলিশ এসে তাঁদের সেখান থেকে তুলে দেয়।

তার আগে স্থানীয় বাসিন্দা ব্রজেন্দ্র নাথ, শিশির চন্দ্র রায়, রঞ্জিত রায় ও রতন ঠাকুর সেখানে বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে কটূক্তি ও হুমকি দেওয়ার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এত দিনেও তাঁকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি।

আবু বক্কর সিদ্দিকের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে ধরে বক্তারা অতি দ্রুত শ্যামলকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিককে ফোন করা হলে তিনি সংযোগ কেটে দেন।

তবে মানববন্ধন পণ্ড করার কথা অস্বীকার করে হাতীবান্ধা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুসা মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ মানববন্ধনে বাধা দেয়নি। রাস্তায় জনসাধারণের চলাচলে যেন সমস্যা না হয়, তাদের সে কথা বলা হয়েছে।’

আবু বক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলা ও তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে নতুন এসেছি। এ বিষয়ে কিছু জানি না।’

গত ২৯ ডিসেম্বর পাশের সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের আগে ভোট চাইতে গিয়ে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের উদ্দেশে কটূক্তি করেন এবং তাঁদের হুমকি দেন আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল।

ভিডিওতে আবু বক্কর সিদ্দিককে বলতে শোনা যায়, ‘এরা গরু খাওয়া হিন্দু। আওয়ামী লীগের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে হিন্দুরা বাংলাদেশে আছে। আওয়ামী লীগ সব সময় সংখ্যালঘুদের জন্য লড়াই করে। নির্বাচনে নৌকায় ভোট না দিলে হাত-পা ভেঙে দেশ থেকে তাদের বিতাড়িত করা হবে।’

আওয়ামী লীগ নেতার সেই ভিডিও বক্তব্য তখন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ ঘটনায় গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে শ্যামলকে প্রধান করে ২২ জনের নামে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন স্থানীয় বাসিন্দা ব্রজেন্দ্রনাথ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত