মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের মিঠাপুকুরে কোরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারি ও কৃষকেরা। ক্রেতা কম হওয়ায় জমছে না বেচাকেনা। গতকাল রোববার উপজেলার শঠিবাড়ী হাটে গরু-ছাগল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
রংপুর জেলার বড় পশুর হাট শঠিবাড়ী। এই হাটে বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু-ছাগল বেচার জন্য নিয়ে যান খামারি ও কৃষকেরা। গতকাল শঠিবাড়ী পশুর হাটে শত শত গরু-ছাগল আসে। কিন্তু বিক্রেতার তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা কম ছিল বলে জানান বিক্রেতারা।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আব্দুস সামাদ তাঁর পালন করা একটি শাহিওয়াল জাতের ষাঁড় নিয়ে এসেছিলেন। তিনি এটির দাম চেয়েছিলেন সাড়ে চার লাখ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা দাম করেছেন। রহিম মিয়া নামের একজন কৃষক জানান, তিনি একটি ষাঁড় ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, ষাঁড়টি তিনি ১ লাখ টাকার বেশি দামে বিক্রির আশা করেছিলেন। গত বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা কম বলে জানান খামারিরা। মোবারক আলী নামের একজন খামারি জানান, বিক্রেতার তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। অনেকে হাটে গিয়ে দরদাম করছেন, কিন্তু কিনছেন না। ক্রেতা আবু সাঈদ জানান, তাঁরা কয়েকজন মিলে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে গরু কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হাটে গিয়ে গরু-ছাগল দেখছি, কিন্তু এখনো কেনা হয়নি।’ বেসরকারি কলেজের শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, এ বছর গরু-ছাগলের দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার জানান, এ বছর গরু-ছাগলের দাম কম হবে। তাঁর মতে, বিগত সরকারের একাধিক মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আত্মগোপনে আছেন। জনপ্রতিনিধি ছাড়াও কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের হোমরাচোমরা নেতা-কর্মীরা গা ঢাকা দিয়ে আছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনেরও অনেকে পলাতক আছেন। তাঁদের পক্ষে কোরবানি দেওয়া না হলে গরু-ছাগল বিক্রি কম হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খামারি জানান, কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিক্রি না হলে ক্ষতি হতে পারে। এসব গরু দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফিডসহ অন্যান্য খাদ্যের দাম বেশি। দাম কমে বেচলে লোকসান গুনতে হবে। এ কারণে দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাব হোসেন বলেন, এ উপজেলায় ৩০ হাজার ৬১১টি গরু, ৫২ হাজার ৮১৪টি ছাগল ও ৩ হাজার ২১৬টি ভেড়া কোরবানির বাজারে প্রস্তুত রয়েছে।
রংপুরের মিঠাপুকুরে কোরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারি ও কৃষকেরা। ক্রেতা কম হওয়ায় জমছে না বেচাকেনা। গতকাল রোববার উপজেলার শঠিবাড়ী হাটে গরু-ছাগল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
রংপুর জেলার বড় পশুর হাট শঠিবাড়ী। এই হাটে বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু-ছাগল বেচার জন্য নিয়ে যান খামারি ও কৃষকেরা। গতকাল শঠিবাড়ী পশুর হাটে শত শত গরু-ছাগল আসে। কিন্তু বিক্রেতার তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা কম ছিল বলে জানান বিক্রেতারা।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আব্দুস সামাদ তাঁর পালন করা একটি শাহিওয়াল জাতের ষাঁড় নিয়ে এসেছিলেন। তিনি এটির দাম চেয়েছিলেন সাড়ে চার লাখ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা দাম করেছেন। রহিম মিয়া নামের একজন কৃষক জানান, তিনি একটি ষাঁড় ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, ষাঁড়টি তিনি ১ লাখ টাকার বেশি দামে বিক্রির আশা করেছিলেন। গত বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা কম বলে জানান খামারিরা। মোবারক আলী নামের একজন খামারি জানান, বিক্রেতার তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। অনেকে হাটে গিয়ে দরদাম করছেন, কিন্তু কিনছেন না। ক্রেতা আবু সাঈদ জানান, তাঁরা কয়েকজন মিলে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে গরু কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হাটে গিয়ে গরু-ছাগল দেখছি, কিন্তু এখনো কেনা হয়নি।’ বেসরকারি কলেজের শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, এ বছর গরু-ছাগলের দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার জানান, এ বছর গরু-ছাগলের দাম কম হবে। তাঁর মতে, বিগত সরকারের একাধিক মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আত্মগোপনে আছেন। জনপ্রতিনিধি ছাড়াও কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের হোমরাচোমরা নেতা-কর্মীরা গা ঢাকা দিয়ে আছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনেরও অনেকে পলাতক আছেন। তাঁদের পক্ষে কোরবানি দেওয়া না হলে গরু-ছাগল বিক্রি কম হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খামারি জানান, কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিক্রি না হলে ক্ষতি হতে পারে। এসব গরু দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফিডসহ অন্যান্য খাদ্যের দাম বেশি। দাম কমে বেচলে লোকসান গুনতে হবে। এ কারণে দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাব হোসেন বলেন, এ উপজেলায় ৩০ হাজার ৬১১টি গরু, ৫২ হাজার ৮১৪টি ছাগল ও ৩ হাজার ২১৬টি ভেড়া কোরবানির বাজারে প্রস্তুত রয়েছে।
অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন...
৪ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না...
৫ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
৬ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম।
৬ ঘণ্টা আগে