Ajker Patrika

ক্রেতা কম, শঠিবাড়ী হাটে কোরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ জুন ২০২৫, ১৮: ২৬
ষাঁড়, গরু নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় খামারি। গতকাল রোববার রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ী হাটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ষাঁড়, গরু নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় খামারি। গতকাল রোববার রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ী হাটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের মিঠাপুকুরে কোরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারি ও কৃষকেরা। ক্রেতা কম হওয়ায় জমছে না বেচাকেনা। গতকাল রোববার উপজেলার শঠিবাড়ী হাটে গরু-ছাগল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রংপুর জেলার বড় পশুর হাট শঠিবাড়ী। এই হাটে বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু-ছাগল বেচার জন্য নিয়ে যান খামারি ও কৃষকেরা। গতকাল শঠিবাড়ী পশুর হাটে শত শত গরু-ছাগল আসে। কিন্তু বিক্রেতার তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা কম ছিল বলে জানান বিক্রেতারা।

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আব্দুস সামাদ তাঁর পালন করা একটি শাহিওয়াল জাতের ষাঁড় নিয়ে এসেছিলেন। তিনি এটির দাম চেয়েছিলেন সাড়ে চার লাখ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা দাম করেছেন। রহিম মিয়া নামের একজন কৃষক জানান, তিনি একটি ষাঁড় ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, ষাঁড়টি তিনি ১ লাখ টাকার বেশি দামে বিক্রির আশা করেছিলেন। গত বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা কম বলে জানান খামারিরা। মোবারক আলী নামের একজন খামারি জানান, বিক্রেতার তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। অনেকে হাটে গিয়ে দরদাম করছেন, কিন্তু কিনছেন না। ক্রেতা আবু সাঈদ জানান, তাঁরা কয়েকজন মিলে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে গরু কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হাটে গিয়ে গরু-ছাগল দেখছি, কিন্তু এখনো কেনা হয়নি।’ বেসরকারি কলেজের শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, এ বছর গরু-ছাগলের দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার জানান, এ বছর গরু-ছাগলের দাম কম হবে। তাঁর মতে, বিগত সরকারের একাধিক মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আত্মগোপনে আছেন। জনপ্রতিনিধি ছাড়াও কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের হোমরাচোমরা নেতা-কর্মীরা গা ঢাকা দিয়ে আছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনেরও অনেকে পলাতক আছেন। তাঁদের পক্ষে কোরবানি দেওয়া না হলে গরু-ছাগল বিক্রি কম হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খামারি জানান, কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিক্রি না হলে ক্ষতি হতে পারে। এসব গরু দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফিডসহ অন্যান্য খাদ্যের দাম বেশি। দাম কমে বেচলে লোকসান গুনতে হবে। এ কারণে দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাব হোসেন বলেন, এ উপজেলায় ৩০ হাজার ৬১১টি গরু, ৫২ হাজার ৮১৪টি ছাগল ও ৩ হাজার ২১৬টি ভেড়া কোরবানির বাজারে প্রস্তুত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রুয়া নির্বাচন: বিএনপিপন্থীদের বর্জন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জামায়াতপন্থী ২৭ জন নির্বাচিত

সৌদি আরবের কেনা ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলকে দেওয়ার অনুরোধ যুক্তরাষ্ট্রের, প্রত্যাখ্যান করে কিসের ইঙ্গিত দিল রিয়াদ

বীর্যে বিরল অ্যালার্জি, নারীর বন্ধ্যাত্ব নিয়ে চিকিৎসকদের নতুন সতর্কতা

‘পাপ কাহিনী’র হাত ধরে দেশের ওটিটিতে ফিরল অশ্লীলতা

কক্সবাজারে যাওয়ার পথে ২৩ মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত