কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সন্ধ্যা হতেই কনকনে ঠান্ডা জানান দিচ্ছে পৌষের দাপট। দিনে সূর্যের আলোর উত্তাপে জনভোগান্তি কিছুটা কম থাকলেও বিকেল গড়াতেই নিম্নমুখী তাপমাত্রা মানুষকে ঘরমুখো করছে। নদীবহুল এ জেলার চরাঞ্চলে একই চিত্র হলেও জীবিকার প্রয়োজনে কাজে বের হচ্ছে মানুষ। ঠান্ডা উপেক্ষা করেই মাঠে কাজ করছেন কৃষক ও দিনমজুর।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে শীতের তীব্রতার সঙ্গে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালটির সাত শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গত ১১ ডিসেম্বর ১৫টি শিশুসহ ২১ রোগী চিকিৎসাধীন ছিল। গত বুধবার এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯-এ। এর মধ্যে শিশুই ছিল ২৬ টি। আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১৭ শিশুসহ ২০ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. পুলক কুমার বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশুদের আক্রান্তের হার বেশি। তিনি বলেন, ‘শীতে শিশুদের যেন ঠান্ডা না লাগে, সে জন্য অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়া শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।’
এদিক ডিসেম্বরেই জেলায় একটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এতে ছিন্নমূল মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে শীত মোকাবিলায় জনভোগান্তি সহনীয় মাত্রায় রাখতে সরকারের সব প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এরই মধ্যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলার প্রান্তিক এলাকার মানুষদের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার (কৃষি ও সিনপটিক) সূত্র জানায়, জেলায় গত কয়েক দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। শুক্রবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আগামী ২০ ডিসেম্বরের পর জেলায় একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, শীত মোকাবিলায় জেলার ৯ উপজেলায় ও তিন পৌরসভায় ৩৫ হাজার ৭০০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিম্নবিত্তদের শীতবস্ত্র কেনার জন্য উপজেলার চাহিদাভেদে ৮ থেকে ১৪ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘শীতে জেলার মানুষ যেন কষ্ট না পান, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন এনজিও থেকেও কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলাগুলোতে সেগুলো বণ্টন করা হয়েছে। আশা করছি শীতে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।’
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সন্ধ্যা হতেই কনকনে ঠান্ডা জানান দিচ্ছে পৌষের দাপট। দিনে সূর্যের আলোর উত্তাপে জনভোগান্তি কিছুটা কম থাকলেও বিকেল গড়াতেই নিম্নমুখী তাপমাত্রা মানুষকে ঘরমুখো করছে। নদীবহুল এ জেলার চরাঞ্চলে একই চিত্র হলেও জীবিকার প্রয়োজনে কাজে বের হচ্ছে মানুষ। ঠান্ডা উপেক্ষা করেই মাঠে কাজ করছেন কৃষক ও দিনমজুর।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে শীতের তীব্রতার সঙ্গে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালটির সাত শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গত ১১ ডিসেম্বর ১৫টি শিশুসহ ২১ রোগী চিকিৎসাধীন ছিল। গত বুধবার এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯-এ। এর মধ্যে শিশুই ছিল ২৬ টি। আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১৭ শিশুসহ ২০ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. পুলক কুমার বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশুদের আক্রান্তের হার বেশি। তিনি বলেন, ‘শীতে শিশুদের যেন ঠান্ডা না লাগে, সে জন্য অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়া শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।’
এদিক ডিসেম্বরেই জেলায় একটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এতে ছিন্নমূল মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে শীত মোকাবিলায় জনভোগান্তি সহনীয় মাত্রায় রাখতে সরকারের সব প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এরই মধ্যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলার প্রান্তিক এলাকার মানুষদের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার (কৃষি ও সিনপটিক) সূত্র জানায়, জেলায় গত কয়েক দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। শুক্রবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আগামী ২০ ডিসেম্বরের পর জেলায় একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, শীত মোকাবিলায় জেলার ৯ উপজেলায় ও তিন পৌরসভায় ৩৫ হাজার ৭০০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিম্নবিত্তদের শীতবস্ত্র কেনার জন্য উপজেলার চাহিদাভেদে ৮ থেকে ১৪ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘শীতে জেলার মানুষ যেন কষ্ট না পান, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন এনজিও থেকেও কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলাগুলোতে সেগুলো বণ্টন করা হয়েছে। আশা করছি শীতে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।’
চট্টগ্রাম নগরীর একটি কনভেনশন হলে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফখরুল আনোয়ার আটক হয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর ভাতিজি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (সাবেক এমপি) আটক হয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে পচা মিষ্টির রসের সঙ্গে ক্ষতিকর রং ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শিশুদের প্রিয় খাবার সন্দেশ ও টফি; যা প্যাকেটজাত করে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয় বিভিন্ন জেলায়। অর্থ লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) জিপিএ-৫ না পেয়ে হতাশ হয়েছিলেন ইমা আক্তার। তারপর অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে বাকি সব পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এবার তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহে পিকনিকে গিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বাগেরহাট সদরের চুলকাঠি এলাকার শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অহনা ইসলাম মৌ, ৪র্থ শ্রেণির আম্মার, উজান কর্মকার, ১ম শ্রেণির মায়াং
৫ ঘণ্টা আগে