শিপুল ইসলাম, রংপুর
‘বাহে, ছাওয়াটার খুব পেটের ব্যথা। ডাক্তার দেখার হাসপাতালোত নিয়া আসনো। কিন্তু গেটোত তালা ঝুলছে। ডাক্তাররা নাকি আজ চিকিৎসা দিবার নেয়। ওমার (চিকিৎসক) নাকি আন্দোলন হওচে। চিকিৎসা বন্ধ থুইয়া আন্দোলন করলে হামরা বাঁচমো কেমন করি?’
আজ রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অসুস্থ ছেলের চিকিৎসাসেবা নিতে এসে এভাবেই আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন আনোয়ার আলী।
তাঁর বাড়ি রংপুর সদরের পাগলাপীর এলাকায়। চিকিৎসক দেখাতে না পেরে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরে যান তিনি।
শুধু আনোয়ার আলী নয়; তাঁর মতো রংপুরের শত শত মানুষ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছে। এতে দুর্ভোগ ও ঝুঁকি বাড়ছে রোগীদের। রোগী ও স্বজনদের দাবি, চিকিৎসকেরা রোগীদের জিম্মি করে আন্দোলন করছেন। এতে বড় ধরনে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। চিকিৎসাসেবা চালু রেখে তাঁরা চিকিৎসকদের আন্দোলনের আহ্বান জানান।
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বহির্বিভাগসহ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকে। আজ রোববার দুপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কক্ষ ভাঙচুর ও চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারা দেশের মতো রমেক হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করেন।
এ সময় চিকিৎসকেরা চার দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীকে গ্রেপ্তার ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সব হাসপাতালে সিকিউরিটি ২৪ ঘণ্টা থাকতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগ চাই। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
জরুরি বিভাগের সামনে কথা হয় চিকিৎসাসেবা নিতে আসা বুড়িরহাট এলাকার আয়মান হোসেনের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘হঠাৎ করে চিকিৎসকেরা জরুরি বিভাগ বন্ধ করে দিল। কোনো রোগী দেখছে না, ভর্তি নিচ্ছে না। তাহলে আমরা যাব কোথায়। যত আন্দোলন হচ্ছে সবগুলোতেই আমরা সাধারণ মানুষ বলির পাঁঠা হচ্ছি। আমাদের আন্দোলনের হাতিয়ার বানানো হচ্ছে। এগুলো অমানবিক।’
হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা ডাঙ্গীরহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আখতারুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকদের ধর্ম বিরতি নয়; এটা অসুস্থ মানুষের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে। বুঝতে পারছেন, যদি ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকেরা সারা দেশে সেবা না দেয়। তাহলে কী হাল হতে পারে। আমরা চাই চিকিৎসকদের সমস্যার সমাধান হোক, আমরা চিকিৎসাসেবা পাই।’
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আ ম আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগের কর্মবিরতিগুলোতে জরুরি বিভাগ খোলা রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হলেও চিকিৎসকদের এবার আন্দোলনটা ভিন্ন। তাঁরা কমপ্লিট শাটডাউন দিয়েছে। এতে জরুরি বিভাগসহ সব বিভাগে সেবা বন্ধ রয়েছে। এখানে আমাদের প্রশাসনের করার কিছু নেই।’
‘বাহে, ছাওয়াটার খুব পেটের ব্যথা। ডাক্তার দেখার হাসপাতালোত নিয়া আসনো। কিন্তু গেটোত তালা ঝুলছে। ডাক্তাররা নাকি আজ চিকিৎসা দিবার নেয়। ওমার (চিকিৎসক) নাকি আন্দোলন হওচে। চিকিৎসা বন্ধ থুইয়া আন্দোলন করলে হামরা বাঁচমো কেমন করি?’
আজ রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অসুস্থ ছেলের চিকিৎসাসেবা নিতে এসে এভাবেই আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন আনোয়ার আলী।
তাঁর বাড়ি রংপুর সদরের পাগলাপীর এলাকায়। চিকিৎসক দেখাতে না পেরে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরে যান তিনি।
শুধু আনোয়ার আলী নয়; তাঁর মতো রংপুরের শত শত মানুষ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছে। এতে দুর্ভোগ ও ঝুঁকি বাড়ছে রোগীদের। রোগী ও স্বজনদের দাবি, চিকিৎসকেরা রোগীদের জিম্মি করে আন্দোলন করছেন। এতে বড় ধরনে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। চিকিৎসাসেবা চালু রেখে তাঁরা চিকিৎসকদের আন্দোলনের আহ্বান জানান।
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বহির্বিভাগসহ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকে। আজ রোববার দুপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কক্ষ ভাঙচুর ও চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারা দেশের মতো রমেক হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করেন।
এ সময় চিকিৎসকেরা চার দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীকে গ্রেপ্তার ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সব হাসপাতালে সিকিউরিটি ২৪ ঘণ্টা থাকতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগ চাই। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
জরুরি বিভাগের সামনে কথা হয় চিকিৎসাসেবা নিতে আসা বুড়িরহাট এলাকার আয়মান হোসেনের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘হঠাৎ করে চিকিৎসকেরা জরুরি বিভাগ বন্ধ করে দিল। কোনো রোগী দেখছে না, ভর্তি নিচ্ছে না। তাহলে আমরা যাব কোথায়। যত আন্দোলন হচ্ছে সবগুলোতেই আমরা সাধারণ মানুষ বলির পাঁঠা হচ্ছি। আমাদের আন্দোলনের হাতিয়ার বানানো হচ্ছে। এগুলো অমানবিক।’
হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা ডাঙ্গীরহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আখতারুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকদের ধর্ম বিরতি নয়; এটা অসুস্থ মানুষের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে। বুঝতে পারছেন, যদি ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকেরা সারা দেশে সেবা না দেয়। তাহলে কী হাল হতে পারে। আমরা চাই চিকিৎসকদের সমস্যার সমাধান হোক, আমরা চিকিৎসাসেবা পাই।’
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আ ম আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগের কর্মবিরতিগুলোতে জরুরি বিভাগ খোলা রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হলেও চিকিৎসকদের এবার আন্দোলনটা ভিন্ন। তাঁরা কমপ্লিট শাটডাউন দিয়েছে। এতে জরুরি বিভাগসহ সব বিভাগে সেবা বন্ধ রয়েছে। এখানে আমাদের প্রশাসনের করার কিছু নেই।’
ঈদুল আজহার প্রধান জামাত ঢাকার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ জামাতে অংশ নেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা
২ মিনিট আগেভিডিও দেখা গেছে, গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা কয়েকজনকে হাতে বড় বড় অস্ত্র নিয়ে আশপাশে কিছু একটা খোঁজাখুঁজি করতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে কেউ লুঙ্গি, ফুলপ্যান্ট ও হাফপ্যান্ট পরা ছিল। এ ছাড়া স্পিডবোট নিয়ে তাদের অস্ত্র তাক করে আসতে দেখা যায়।
১২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীর শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁরা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন করেন। এ সময় তাঁরা পরিষদের মূল ফটক বন্ধ করে কাঁটা ঝুলিয়ে দেন।
১৩ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়কের পাশের ঝোপের ভেতর থেকে ১ কেজি ৪৩০ গ্রাম কোকেন জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার পিয়ারাতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে