Ajker Patrika

রংপুরে দুর্নীতির অভিযোগে সহযোদ্ধাদের হাতে সমন্বয়ক অবরুদ্ধ

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি 
রংপুরের পীরগাছা ইউএনও কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ফারদিন এহসান মাহিম। ছবি: আজকের পত্রিকা
রংপুরের পীরগাছা ইউএনও কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ফারদিন এহসান মাহিম। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের পীরগাছায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক ফারদিন এহসান মাহিমের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁর সহযোদ্ধারা।

আজ সোমবার বেলা ১টার দিকে ৪০-৫০ জন ছাত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে গিয়ে সেখানে অবস্থান করা মাহিমকে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় তাঁরা নানা অভিযোগ তুলে মাহিমের বিচার দাবি করেন। পরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ছাত্ররা অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তাঁদের সবারই সক্রিয় ভূমিকা ছিল। ৫ আগস্টের পর তাঁদের প্রতিনিধি বা মুখপাত্র হিসেবে মাহিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই সুযোগে তিনি অনিয়ম-দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, মামলা-বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। তিনি পীরগাছা জেএন হাইস্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলা আয়োজনকে কেন্দ্র করে সরকারিভাবে দেওয়া ১ লাখ ১০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। টাকা বুঝে পেয়েছেন বলে কয়েকজন খেলোয়াড়ের স্বাক্ষর নেওয়া হলেও কাউকে কোনো টাকা বা খেলাধুলার সামগ্রী দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া শীতের কম্বল, ঈদের ভিজিএফ চাল সহায়তা নিয়ে দুর্নীতি করেছেন। তাঁর এসব অপকর্মের সঙ্গে বাবা, বোনসহ পরিবারের লোকজনও জড়িত। বোনের নামে তিনি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারশিপ নিয়েছেন।

অভিযোগকারীরা আরও জানান, মাহিম দীর্ঘদিন ধরে এসব অপকর্ম করছেন। আজকে এসবের প্রতিবাদ করতে তাঁরা ইউএনও কার্যালয়ে এসেছেন। ইউএনও অভিযোগ তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

ছাত্ররা জানান, আজ থেকে পীরগাছায় কেউ ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন না। কোথাও কোনো প্রয়োজন হলে সব ছাত্র একসঙ্গে কাজ করবেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহিম বলেন, ‘যখন কোনো ব্যক্তি দায়িত্বে থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ থাকবেই। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তা লিখিতভাবে তারা দিক। সেটা তদন্ত হোক, তা আমিও চাই। আমার হয়তো কিছু ভুল আছে। আমি সাংগঠনিকভাবে সবার সঙ্গে প্রথম দিকে যোগাযোগ রাখলেও পরে রাখতে পারিনি। এ জন্য ভুল-বোঝাবুঝি ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। খেলার টাকার বিষয়ে যাদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে, তাদের টাকা দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের বিষয়ে কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হোক। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তা (শাস্তি) আমি মাথা পেতে নেব।’

এ বিষয়ে ইউএনও মো. নাজমুল হক সুমন বলেন, ‘ফারদিন এহসান মাহিমের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অভিযোগের বিষয়গুলো লিখিত আকারে দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত