সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ের লিচুচাষি ও ব্যবসায়ীরা লিচু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। অতিরিক্ত খরায় লিচু ফেটে যাওয়া, গায়ে দাগ পড়া ও আকারে তুলনামূলক ছোট হওয়ার কথা বলছেন তাঁরা। এ পরিস্থিতিতে গাছগুলোতে অনেক লিচু থাকলেও কেমন দাম পাবেন তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম লিচু আকারে কিছুটা ছোট হলেও বিক্রি করে চাষিরা লাভবান হবেন বলে আশা করেন।
নারগুন এলাকার লিচুচাষি ও মৌসুমি ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে ৫ লাখ টাকা চুক্তিতে চারটি লিচুবাগান কিনেছেন। আশা ছিল এসব বাগান থেকে ৮–৯ লাখ টাকা ব্যবসা করবেন। এখন তিনি মূলধন হারানোর শঙ্কায় আছেন। দীর্ঘদিন ধরে খরা থাকায় অনেক গাছের লিচু বিবর্ণ হয়ে গেছে। কালচে রং ধারণ করে লিচুর চামড়ায় দেখা দিয়েছে দাগ।
ফারুক হোসেন আরও বলেন, ‘গাছে প্রচুর পরিমাণ লিচুর গুটি দেখে আশায় বুক বেঁধে চড়া দামে বাগান কিনেছি। কিন্তু অতিরিক্ত খরার কারণে লিচু পাকা ও হলুদ রং ধারনের আগেই ফেটে যাচ্ছে। আকারও তুলনামূলক ছোট হয়েছে। এ কারণে বাজারজাতকরণ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছি।’জেলার মুন্সিরহাট, গোবিন্দনগর, নারগুন, জগন্নাথপুর, বেগুনবাড়ী আকচাসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে একই চিত্র পাওয়া গেছে।
সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের লিচুচাষি রুহুল আমিন বলেন, এ বছর অতিরিক্ত খরার কারণে লিচু ঝলসে যাওয়ায় চাষিরা কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি করতে পারবেন না। কয়েক দিনের মধ্যেই এসব বাগানের লিচু বাজারজাতকরণের উপযোগী হয়ে উঠবে। এরপর ব্যবসা পুরোপুরি ভাগ্যের ওপর নির্ভর করছে।
একই এলাকার লিচুচাষি আমির হোসেন বলেন, ‘আমার বাগানে ২০০ লিচুগাছ আছে। লিচু ঝরে পড়া রোধে গাছে সেচ দিচ্ছি। অন্যদিকে বাদুড়সহ বিভিন্ন প্রাণী তাড়াতে লিচুগাছে জাল টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে যেমন খরচ বেড়েছে, তেমনি ন্যায্য দাম না পাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।’
অন্য একটি বাগানের মালিক হাকিম উদ্দিন বলেন, ‘এ বছর সারসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ায় এবার লাভ বেশি না হলে বিকল্প খোঁজারও চিন্তা করছি।’
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় ৯০৫ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। আর এসব বাগান থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯৯৮ মেট্রিক টন। এ ছাড়া এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় ও আশপাশের ভিটাবাড়িতে লিচুর চাষ করছেন স্থানীয়রা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবার খরা ও বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। বৃষ্টিপাত তেমন না হওয়ায় লিচু তেমন বড় হয়নি। তবে লিচু বিক্রি করে চাষিরা লাভবান হবেন এমন আশা করেন কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।
ঠাকুরগাঁওয়ের লিচুচাষি ও ব্যবসায়ীরা লিচু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। অতিরিক্ত খরায় লিচু ফেটে যাওয়া, গায়ে দাগ পড়া ও আকারে তুলনামূলক ছোট হওয়ার কথা বলছেন তাঁরা। এ পরিস্থিতিতে গাছগুলোতে অনেক লিচু থাকলেও কেমন দাম পাবেন তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম লিচু আকারে কিছুটা ছোট হলেও বিক্রি করে চাষিরা লাভবান হবেন বলে আশা করেন।
নারগুন এলাকার লিচুচাষি ও মৌসুমি ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে ৫ লাখ টাকা চুক্তিতে চারটি লিচুবাগান কিনেছেন। আশা ছিল এসব বাগান থেকে ৮–৯ লাখ টাকা ব্যবসা করবেন। এখন তিনি মূলধন হারানোর শঙ্কায় আছেন। দীর্ঘদিন ধরে খরা থাকায় অনেক গাছের লিচু বিবর্ণ হয়ে গেছে। কালচে রং ধারণ করে লিচুর চামড়ায় দেখা দিয়েছে দাগ।
ফারুক হোসেন আরও বলেন, ‘গাছে প্রচুর পরিমাণ লিচুর গুটি দেখে আশায় বুক বেঁধে চড়া দামে বাগান কিনেছি। কিন্তু অতিরিক্ত খরার কারণে লিচু পাকা ও হলুদ রং ধারনের আগেই ফেটে যাচ্ছে। আকারও তুলনামূলক ছোট হয়েছে। এ কারণে বাজারজাতকরণ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছি।’জেলার মুন্সিরহাট, গোবিন্দনগর, নারগুন, জগন্নাথপুর, বেগুনবাড়ী আকচাসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে একই চিত্র পাওয়া গেছে।
সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের লিচুচাষি রুহুল আমিন বলেন, এ বছর অতিরিক্ত খরার কারণে লিচু ঝলসে যাওয়ায় চাষিরা কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি করতে পারবেন না। কয়েক দিনের মধ্যেই এসব বাগানের লিচু বাজারজাতকরণের উপযোগী হয়ে উঠবে। এরপর ব্যবসা পুরোপুরি ভাগ্যের ওপর নির্ভর করছে।
একই এলাকার লিচুচাষি আমির হোসেন বলেন, ‘আমার বাগানে ২০০ লিচুগাছ আছে। লিচু ঝরে পড়া রোধে গাছে সেচ দিচ্ছি। অন্যদিকে বাদুড়সহ বিভিন্ন প্রাণী তাড়াতে লিচুগাছে জাল টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে যেমন খরচ বেড়েছে, তেমনি ন্যায্য দাম না পাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।’
অন্য একটি বাগানের মালিক হাকিম উদ্দিন বলেন, ‘এ বছর সারসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ায় এবার লাভ বেশি না হলে বিকল্প খোঁজারও চিন্তা করছি।’
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় ৯০৫ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। আর এসব বাগান থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯৯৮ মেট্রিক টন। এ ছাড়া এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় ও আশপাশের ভিটাবাড়িতে লিচুর চাষ করছেন স্থানীয়রা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবার খরা ও বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। বৃষ্টিপাত তেমন না হওয়ায় লিচু তেমন বড় হয়নি। তবে লিচু বিক্রি করে চাষিরা লাভবান হবেন এমন আশা করেন কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
২ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
২ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৩ ঘণ্টা আগে