Ajker Patrika

এবার রসুন ও শাঁখার জিআই স্বীকৃতি চায় নাটোর

নাটোর প্রতিনিধি 
নাটোর জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নাটোর জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের এক-তৃতীয়াংশ রসুন উৎপাদন হয় নাটোরে। জেলার বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উৎপাদিত হয় এ ফসল। তাই রসুনকে নাটোরের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেছে জেলা প্রশাসন। রসুন উৎপাদনকারী শীর্ষ জেলা হিসেবে নাটোরকে ব্র্যান্ডিংয়ের উদ্দেশ্যে এ আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে (ডিপিডিটি) প্রেরণের অপেক্ষায় রয়েছে নাটোরের বাগাতিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী শাঁখাশিল্পের জিআই আবেদন।

আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আসমা শাহীন।

নাটোরের জেলা প্রশাসক বলেন, ঐতিহ্য ও ইতিহাসে সমৃদ্ধ নাটোর জেলাকে দেশ ও বিশ্বের পর্যটকদের কাছে পর্যটনবান্ধব জেলা হিসেবে পরিচিতি প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নারদ নদ সংস্কার, উত্তরা গণভবনের দিঘির সংস্কারসহ চলনবিল ও হালতিবিলকে আরও পর্যটনসমৃদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

জেলা প্রশাসক জানান, কৃষিতে ব্র্যান্ডিযোগ্য রসুনের জিআই স্বীকৃতি পেতে জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে আবেদন করেছে। আরও আবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে বাগাতিপাড়ার জামনগরের ঐতিহ্যবাহী শাঁখাশিল্প। পাশাপাশি তরুণ সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবুল হায়াত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরিফুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আসমা বেগম, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সচিব শামীম ভূঁইয়াসহ জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, দেশের ১৭তম জিআই পণ্য হিসেবে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ স্বীকৃতি পায় নাটোরের কাঁচাগোল্লা। দ্বিতীয় কোনো পণ্য হিসেবে রসুনের আবেদন করা হলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত