রিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহীর মোল্লাপাড়ায় পাহাড়িয়াদের ভয় দেখিয়ে টাকা দেন সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছিলেন, পাহাড়িয়ারা যদি থানা-পুলিশে দৌড়াদৌড়ি করে, তাহলে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটাও দেওয়া হবে না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ওই মহল্লায় গেলে সবার সামনে পাহাড়িয়ারা এমন কথাই বলেছে।
এর আগে গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকা'র অনলাইনে ‘শুক্রবার খাওয়ানো হবে খাসি জবাই করে, রোববার ছাড়তে হবে ঘর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরদিন আজ বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকার প্রিন্ট সংস্করণেও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে উঠে আসে, ৫৩ বছর পাহাড়িয়ারা ১৬ কাঠা জমির ওপর বাস করে আসছে। এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ আলী এত দিন পর এ জমির মালিকানা দাবি করছেন। তাঁর চাপে তিনটি পরিবার জায়গা ছেড়ে চলে গেছে।
আজকের পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশের পর শুরু হয় তোলপাড়। তৎপর হয় পুলিশ-প্রশাসন। আজ সকালে পাহাড়িয়াদের মহল্লায় যান পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার লোকজন। সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশের একটি দল নিয়ে আসেন কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী। তিনি সাজ্জাদ আলীকেও ফোন করে ডেকে আনেন।
ওসি আজিজুল বারী পাহাড়িয়াদের প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কেন থানায় যাননি?’ জবাবে ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, ‘সাজ্জাদ আলী বলেছেন যে তোমরা যদি বাড়াবাড়ি কর, যেটুকু টাকা দিচ্ছি, সেটাও দেব না। এটার জন্য আমরা কোনো জায়গাতে যেতে পারলাম না। আমরা টাকা নিতে বাধ্য হলাম।’
আরও একজন বলেন, ‘এখানে জন্মজায়গা। আমরা যদি এখানে থাকতে পারি, থাকতে চাই। জন্মজায়গা ছেড়ে কেউ চলে যেতে চায়? কেউ তো চাই না। কিন্তু আমরা কুনু জাগাতেই যাইনি। আমাদের বুলেছে, তোমরা যুদি হাঁটাহাঁটি করো, তাহিলে কুনু টাকাই পাবা না।’
এলাকার বাসিন্দা আসাদ আলীও এসেছিলেন। পুলিশের সামনেই বললেন, ‘এখানে এরা ৬২ বছর ধরে বাস করছে। এই জমির মালিক ইন্দ্র ধুপি। সাজ্জাদের কথা আমরা শুনিনি।’
সেখানে ছিলেন সাজ্জাদ আলীর কেয়ারটেকার মো. শাহীন। ওসি আজিজুল বারী সাজ্জাদকে কয়েকবার ফোন করান তাঁকে দিয়ে। একপর্যায়ে একটি দলিল হাতে আসেন সাজ্জাদ। তিনি দাবি করেন, এ জায়গা তিনি ১৯৯৪ সালে কিনেছেন। পুনর্বাসন করে জায়গা দখলে নিচ্ছেন।
খাসি জবাই করে খাওয়ানোর আয়োজনের বিষয়ে সাজ্জাদ বলেন, ‘তারা এখানে এত দিন ছিল। চলে যাচ্ছে। আমি তাদের মুরগি খাওয়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারাই বলেছে যে খাসি খাওয়াতে হবে।’
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামীকাল শুক্রবার কোনো ‘খাওয়া’ হবে না সেখানে।
এ সময় বিভিন্ন মানবাধিকার ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারাও সেখানে আসেন।
ওসি আজিজুল বারী জানান, বিষয়টি তাঁর কাছে ঢাকা থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। তিনি প্রতিটি বাড়ির তালিকা করে নেন। তিনি ১৩টি পরিবার থেকে ১৩ জন এবং সাজ্জাদ আলীকে বিকেল ৫টায় কাশিয়াডাঙ্গা জোনের উপপুলিশ কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে ডাকেন। ওই সময় তিনি ঘটনাস্থল থেকে মোবাইল ফোনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সবকিছু জানান।
ওসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সংবাদমাধ্যমে জেনে এখানে এসেছি। এ বিষয়গুলো নিয়ে তারা কখনো আগে থানায় যায়নি। নিউজ হওয়ার পরে আপনারা এসেছেন, আমরাও এসেছি। আমরা সকলে মিলে যেটা সুষ্ঠু সমাধান হয়, সেটা করব। যেটাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে না, সেটা করব। আপাতত এখানকার বাসিন্দারা এভাবেই থাকবেন। জমির কাগজপত্র চুলচেরা বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক কে?
পাহাড়িয়াদের দাবি, এ জমির মালিক ছিলেন ইন্দ্র ধুপি নামের একজন ধোপা। মুক্তিযুদ্ধের পর ভারত থেকে ফিরে আসা ছয়টি পাহাড়িয়া পরিবারকে তিনি এখানে বাড়ি করতে দেন। জায়গাটি তখন ইন্দ্র ধুপির বাথান নামে পরিচিত ছিল। ইন্দ্র ধুপি নিঃসন্তান ছিলেন।
ভূমি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, হড়গ্রাম মৌজায় ৫১ নম্বর জে এল ও ১২৯০ নম্বর দাগে জমিটির পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৯৪ শতক। ৪০৫ নম্বর আরএস খতিয়ানে জমিটির মালিক হিসেবে লেখা রয়েছে রাজশাহীর কাজীহাটা এলাকার গাজিয়া রজকিনি ও ময়মনসিংহের কোতোয়ালির মনিতারা রজকিনি।
তবে ১৯৯৪-৯৫ সালে এ জমি খারিজ হয়েছে সাজ্জাদ আলী, সৈয়দ আলী, ইমতিয়াজ ও ফাহামিদার নামে। সাজ্জাদ আলী পুলিশের সামনে যে দলিল হাজির করেন, সেখানে দেখা যায়, মধুসূদন দাস, দিলীপ দাস, আমমোক্তার সূর্য কমল দাস, প্রকাশ দাস ও তৃপাল রজকের কাছ থেকে তাঁরা কিনেছেন।
ভূমি অফিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, আরএস রেকর্ডে গাজিয়া রজকিনি ও মনিতারা রজকিনির কাছ থেকে সাজ্জাদের কাছে সরাসরি দলিল হলে কোনো প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু মধুসূদন দাস, দিলীপ দাস, আমমোক্তার সূর্য কমল দাস, প্রকাশ দাস ও তৃপাল রজকের নামে জমি কীভাবে হয়েছিল, আগে সে দলিল দরকার। ওই দলিল না পাওয়া গেলে সাজ্জাদের কাছে থাকা দলিল থাকা প্রশ্নবিদ্ধ। এ দলিল সঠিক কি না, সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে।
তদন্তে জেলা প্রশাসন
পাহাড়িয়াদের ওই মহল্লা পরিদর্শন করেছেন জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি গণেশ মার্ডি, সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজেয়াড়, মানবাধিকারকর্মী আরিফ ইথার, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের সহসাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানসহ অনেকে। তাঁরা সবার সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় আদিবাসী নেতা গণেশ মার্ডি বলেন, ‘এত কিছু হয়ে যাচ্ছে, আমরাও এ বিষয়ে কিছু জানতাম না। তারা আমাদেরও কিছু জানায়নি। এভাবেই তারা বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই, প্রশাসন এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করে যেন ব্যবস্থা নেবে।’
জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী বলেন, এই পরিবারগুলো ৫৩ বছর ধরে এখানে বাস করছে। এর মধ্যে আরএস রেকর্ড হয়েছে। তখন মালিক না হোক, দখলীয় হিসেবেও তো আদিবাসীদের কথা লেখা উচিত ছিল। কিন্তু সেটাও হয়নি।
জানতে চাইলে নগরের বড়কুঠি ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেলা প্রশাসন তাঁকে তদন্ত করতে বলেছে। তিনি দুপুরে একজন সার্ভেয়ারকে পাঠিয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি নিজেও যাবেন। সবকিছু তদন্ত করে একটা প্রতিবেদন দেবেন।
উল্লেখ্য, মোল্লাপাড়ার এ জায়গা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। রাজশাহীর আমচত্বর-কাশিয়াডাঙ্গা সড়কসংলগ্ন এ জায়গার দাম এখন কয়েক কোটি টাকা। ৫৩ বছর আগে এখানে প্রথমে ছয়টি পরিবার বাড়ি করার সুযোগ পায়। তিন প্রজন্মে বাড়ি হয় ১৬টি।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর একটি রাজনৈতিক দলের অনুসারী সাজ্জাদ আলী সেখানে যান এবং জানান যে জমির মালিক তিনি। এখন তাঁদের উঠে যেতে হবে। এরও বছর দুয়েক আগে তিনি এ দাবি তুললে তৎকালীন ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম দুপক্ষকে নিয়ে বসেছিলেন। পাহাড়িয়াদের দাবি, তখন সাজ্জাদের দলিলকে ‘জাল’ বলেছিলেন কাউন্সিলর। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নজরুল ইসলাম আত্মগোপনে রয়েছেন। তাই তাঁর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
সাজ্জাদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভয়ভীতি দেখিয়ে অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে তিনি আরও জমি দখল করেছেন। এটিই তাঁর কৌশল। পাহাড়িয়াদেরও তিনি টাকা দিয়েছেন। প্রথম বাড়ি করা ছয়টি পরিবার ধরে প্রতিটি বাড়িতে দিয়েছেন ৬ লাখ করে টাকা। ছয় পরিবার এখন বেড়ে হয়েছে ১৬টি। মোট ৩০ লাখ টাকা ১৬ পরিবারে ভাগ হয়েছে। কেউ পেয়েছেন ৫০ হাজার, কেউ ১ লাখ, কেউবা ২ লাখ। তা নিয়েই তাঁরা চলে যাচ্ছিলেন।
ইতিমধ্যে তিনটি পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। অন্য ১৩ পরিবারকে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছিল রোববার। তার আগে শুক্রবার সাজ্জাদ আলী খাসি জবাই করে সবাইকে খাওয়ানোর আয়োজন করেছিলেন। সেখানে আশপাশের লোকজনকেও দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল।
আরও খবর পড়ুন:

রাজশাহীর মোল্লাপাড়ায় পাহাড়িয়াদের ভয় দেখিয়ে টাকা দেন সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছিলেন, পাহাড়িয়ারা যদি থানা-পুলিশে দৌড়াদৌড়ি করে, তাহলে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটাও দেওয়া হবে না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ওই মহল্লায় গেলে সবার সামনে পাহাড়িয়ারা এমন কথাই বলেছে।
এর আগে গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকা'র অনলাইনে ‘শুক্রবার খাওয়ানো হবে খাসি জবাই করে, রোববার ছাড়তে হবে ঘর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরদিন আজ বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকার প্রিন্ট সংস্করণেও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে উঠে আসে, ৫৩ বছর পাহাড়িয়ারা ১৬ কাঠা জমির ওপর বাস করে আসছে। এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ আলী এত দিন পর এ জমির মালিকানা দাবি করছেন। তাঁর চাপে তিনটি পরিবার জায়গা ছেড়ে চলে গেছে।
আজকের পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশের পর শুরু হয় তোলপাড়। তৎপর হয় পুলিশ-প্রশাসন। আজ সকালে পাহাড়িয়াদের মহল্লায় যান পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার লোকজন। সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশের একটি দল নিয়ে আসেন কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী। তিনি সাজ্জাদ আলীকেও ফোন করে ডেকে আনেন।
ওসি আজিজুল বারী পাহাড়িয়াদের প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কেন থানায় যাননি?’ জবাবে ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, ‘সাজ্জাদ আলী বলেছেন যে তোমরা যদি বাড়াবাড়ি কর, যেটুকু টাকা দিচ্ছি, সেটাও দেব না। এটার জন্য আমরা কোনো জায়গাতে যেতে পারলাম না। আমরা টাকা নিতে বাধ্য হলাম।’
আরও একজন বলেন, ‘এখানে জন্মজায়গা। আমরা যদি এখানে থাকতে পারি, থাকতে চাই। জন্মজায়গা ছেড়ে কেউ চলে যেতে চায়? কেউ তো চাই না। কিন্তু আমরা কুনু জাগাতেই যাইনি। আমাদের বুলেছে, তোমরা যুদি হাঁটাহাঁটি করো, তাহিলে কুনু টাকাই পাবা না।’
এলাকার বাসিন্দা আসাদ আলীও এসেছিলেন। পুলিশের সামনেই বললেন, ‘এখানে এরা ৬২ বছর ধরে বাস করছে। এই জমির মালিক ইন্দ্র ধুপি। সাজ্জাদের কথা আমরা শুনিনি।’
সেখানে ছিলেন সাজ্জাদ আলীর কেয়ারটেকার মো. শাহীন। ওসি আজিজুল বারী সাজ্জাদকে কয়েকবার ফোন করান তাঁকে দিয়ে। একপর্যায়ে একটি দলিল হাতে আসেন সাজ্জাদ। তিনি দাবি করেন, এ জায়গা তিনি ১৯৯৪ সালে কিনেছেন। পুনর্বাসন করে জায়গা দখলে নিচ্ছেন।
খাসি জবাই করে খাওয়ানোর আয়োজনের বিষয়ে সাজ্জাদ বলেন, ‘তারা এখানে এত দিন ছিল। চলে যাচ্ছে। আমি তাদের মুরগি খাওয়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারাই বলেছে যে খাসি খাওয়াতে হবে।’
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামীকাল শুক্রবার কোনো ‘খাওয়া’ হবে না সেখানে।
এ সময় বিভিন্ন মানবাধিকার ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারাও সেখানে আসেন।
ওসি আজিজুল বারী জানান, বিষয়টি তাঁর কাছে ঢাকা থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। তিনি প্রতিটি বাড়ির তালিকা করে নেন। তিনি ১৩টি পরিবার থেকে ১৩ জন এবং সাজ্জাদ আলীকে বিকেল ৫টায় কাশিয়াডাঙ্গা জোনের উপপুলিশ কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে ডাকেন। ওই সময় তিনি ঘটনাস্থল থেকে মোবাইল ফোনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সবকিছু জানান।
ওসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সংবাদমাধ্যমে জেনে এখানে এসেছি। এ বিষয়গুলো নিয়ে তারা কখনো আগে থানায় যায়নি। নিউজ হওয়ার পরে আপনারা এসেছেন, আমরাও এসেছি। আমরা সকলে মিলে যেটা সুষ্ঠু সমাধান হয়, সেটা করব। যেটাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে না, সেটা করব। আপাতত এখানকার বাসিন্দারা এভাবেই থাকবেন। জমির কাগজপত্র চুলচেরা বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক কে?
পাহাড়িয়াদের দাবি, এ জমির মালিক ছিলেন ইন্দ্র ধুপি নামের একজন ধোপা। মুক্তিযুদ্ধের পর ভারত থেকে ফিরে আসা ছয়টি পাহাড়িয়া পরিবারকে তিনি এখানে বাড়ি করতে দেন। জায়গাটি তখন ইন্দ্র ধুপির বাথান নামে পরিচিত ছিল। ইন্দ্র ধুপি নিঃসন্তান ছিলেন।
ভূমি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, হড়গ্রাম মৌজায় ৫১ নম্বর জে এল ও ১২৯০ নম্বর দাগে জমিটির পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৯৪ শতক। ৪০৫ নম্বর আরএস খতিয়ানে জমিটির মালিক হিসেবে লেখা রয়েছে রাজশাহীর কাজীহাটা এলাকার গাজিয়া রজকিনি ও ময়মনসিংহের কোতোয়ালির মনিতারা রজকিনি।
তবে ১৯৯৪-৯৫ সালে এ জমি খারিজ হয়েছে সাজ্জাদ আলী, সৈয়দ আলী, ইমতিয়াজ ও ফাহামিদার নামে। সাজ্জাদ আলী পুলিশের সামনে যে দলিল হাজির করেন, সেখানে দেখা যায়, মধুসূদন দাস, দিলীপ দাস, আমমোক্তার সূর্য কমল দাস, প্রকাশ দাস ও তৃপাল রজকের কাছ থেকে তাঁরা কিনেছেন।
ভূমি অফিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, আরএস রেকর্ডে গাজিয়া রজকিনি ও মনিতারা রজকিনির কাছ থেকে সাজ্জাদের কাছে সরাসরি দলিল হলে কোনো প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু মধুসূদন দাস, দিলীপ দাস, আমমোক্তার সূর্য কমল দাস, প্রকাশ দাস ও তৃপাল রজকের নামে জমি কীভাবে হয়েছিল, আগে সে দলিল দরকার। ওই দলিল না পাওয়া গেলে সাজ্জাদের কাছে থাকা দলিল থাকা প্রশ্নবিদ্ধ। এ দলিল সঠিক কি না, সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে।
তদন্তে জেলা প্রশাসন
পাহাড়িয়াদের ওই মহল্লা পরিদর্শন করেছেন জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি গণেশ মার্ডি, সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজেয়াড়, মানবাধিকারকর্মী আরিফ ইথার, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের সহসাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানসহ অনেকে। তাঁরা সবার সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় আদিবাসী নেতা গণেশ মার্ডি বলেন, ‘এত কিছু হয়ে যাচ্ছে, আমরাও এ বিষয়ে কিছু জানতাম না। তারা আমাদেরও কিছু জানায়নি। এভাবেই তারা বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই, প্রশাসন এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করে যেন ব্যবস্থা নেবে।’
জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী বলেন, এই পরিবারগুলো ৫৩ বছর ধরে এখানে বাস করছে। এর মধ্যে আরএস রেকর্ড হয়েছে। তখন মালিক না হোক, দখলীয় হিসেবেও তো আদিবাসীদের কথা লেখা উচিত ছিল। কিন্তু সেটাও হয়নি।
জানতে চাইলে নগরের বড়কুঠি ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেলা প্রশাসন তাঁকে তদন্ত করতে বলেছে। তিনি দুপুরে একজন সার্ভেয়ারকে পাঠিয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি নিজেও যাবেন। সবকিছু তদন্ত করে একটা প্রতিবেদন দেবেন।
উল্লেখ্য, মোল্লাপাড়ার এ জায়গা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। রাজশাহীর আমচত্বর-কাশিয়াডাঙ্গা সড়কসংলগ্ন এ জায়গার দাম এখন কয়েক কোটি টাকা। ৫৩ বছর আগে এখানে প্রথমে ছয়টি পরিবার বাড়ি করার সুযোগ পায়। তিন প্রজন্মে বাড়ি হয় ১৬টি।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর একটি রাজনৈতিক দলের অনুসারী সাজ্জাদ আলী সেখানে যান এবং জানান যে জমির মালিক তিনি। এখন তাঁদের উঠে যেতে হবে। এরও বছর দুয়েক আগে তিনি এ দাবি তুললে তৎকালীন ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম দুপক্ষকে নিয়ে বসেছিলেন। পাহাড়িয়াদের দাবি, তখন সাজ্জাদের দলিলকে ‘জাল’ বলেছিলেন কাউন্সিলর। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নজরুল ইসলাম আত্মগোপনে রয়েছেন। তাই তাঁর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
সাজ্জাদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভয়ভীতি দেখিয়ে অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে তিনি আরও জমি দখল করেছেন। এটিই তাঁর কৌশল। পাহাড়িয়াদেরও তিনি টাকা দিয়েছেন। প্রথম বাড়ি করা ছয়টি পরিবার ধরে প্রতিটি বাড়িতে দিয়েছেন ৬ লাখ করে টাকা। ছয় পরিবার এখন বেড়ে হয়েছে ১৬টি। মোট ৩০ লাখ টাকা ১৬ পরিবারে ভাগ হয়েছে। কেউ পেয়েছেন ৫০ হাজার, কেউ ১ লাখ, কেউবা ২ লাখ। তা নিয়েই তাঁরা চলে যাচ্ছিলেন।
ইতিমধ্যে তিনটি পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। অন্য ১৩ পরিবারকে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছিল রোববার। তার আগে শুক্রবার সাজ্জাদ আলী খাসি জবাই করে সবাইকে খাওয়ানোর আয়োজন করেছিলেন। সেখানে আশপাশের লোকজনকেও দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল।
আরও খবর পড়ুন:
রিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহীর মোল্লাপাড়ায় পাহাড়িয়াদের ভয় দেখিয়ে টাকা দেন সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছিলেন, পাহাড়িয়ারা যদি থানা-পুলিশে দৌড়াদৌড়ি করে, তাহলে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটাও দেওয়া হবে না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ওই মহল্লায় গেলে সবার সামনে পাহাড়িয়ারা এমন কথাই বলেছে।
এর আগে গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকা'র অনলাইনে ‘শুক্রবার খাওয়ানো হবে খাসি জবাই করে, রোববার ছাড়তে হবে ঘর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরদিন আজ বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকার প্রিন্ট সংস্করণেও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে উঠে আসে, ৫৩ বছর পাহাড়িয়ারা ১৬ কাঠা জমির ওপর বাস করে আসছে। এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ আলী এত দিন পর এ জমির মালিকানা দাবি করছেন। তাঁর চাপে তিনটি পরিবার জায়গা ছেড়ে চলে গেছে।
আজকের পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশের পর শুরু হয় তোলপাড়। তৎপর হয় পুলিশ-প্রশাসন। আজ সকালে পাহাড়িয়াদের মহল্লায় যান পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার লোকজন। সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশের একটি দল নিয়ে আসেন কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী। তিনি সাজ্জাদ আলীকেও ফোন করে ডেকে আনেন।
ওসি আজিজুল বারী পাহাড়িয়াদের প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কেন থানায় যাননি?’ জবাবে ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, ‘সাজ্জাদ আলী বলেছেন যে তোমরা যদি বাড়াবাড়ি কর, যেটুকু টাকা দিচ্ছি, সেটাও দেব না। এটার জন্য আমরা কোনো জায়গাতে যেতে পারলাম না। আমরা টাকা নিতে বাধ্য হলাম।’
আরও একজন বলেন, ‘এখানে জন্মজায়গা। আমরা যদি এখানে থাকতে পারি, থাকতে চাই। জন্মজায়গা ছেড়ে কেউ চলে যেতে চায়? কেউ তো চাই না। কিন্তু আমরা কুনু জাগাতেই যাইনি। আমাদের বুলেছে, তোমরা যুদি হাঁটাহাঁটি করো, তাহিলে কুনু টাকাই পাবা না।’
এলাকার বাসিন্দা আসাদ আলীও এসেছিলেন। পুলিশের সামনেই বললেন, ‘এখানে এরা ৬২ বছর ধরে বাস করছে। এই জমির মালিক ইন্দ্র ধুপি। সাজ্জাদের কথা আমরা শুনিনি।’
সেখানে ছিলেন সাজ্জাদ আলীর কেয়ারটেকার মো. শাহীন। ওসি আজিজুল বারী সাজ্জাদকে কয়েকবার ফোন করান তাঁকে দিয়ে। একপর্যায়ে একটি দলিল হাতে আসেন সাজ্জাদ। তিনি দাবি করেন, এ জায়গা তিনি ১৯৯৪ সালে কিনেছেন। পুনর্বাসন করে জায়গা দখলে নিচ্ছেন।
খাসি জবাই করে খাওয়ানোর আয়োজনের বিষয়ে সাজ্জাদ বলেন, ‘তারা এখানে এত দিন ছিল। চলে যাচ্ছে। আমি তাদের মুরগি খাওয়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারাই বলেছে যে খাসি খাওয়াতে হবে।’
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামীকাল শুক্রবার কোনো ‘খাওয়া’ হবে না সেখানে।
এ সময় বিভিন্ন মানবাধিকার ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারাও সেখানে আসেন।
ওসি আজিজুল বারী জানান, বিষয়টি তাঁর কাছে ঢাকা থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। তিনি প্রতিটি বাড়ির তালিকা করে নেন। তিনি ১৩টি পরিবার থেকে ১৩ জন এবং সাজ্জাদ আলীকে বিকেল ৫টায় কাশিয়াডাঙ্গা জোনের উপপুলিশ কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে ডাকেন। ওই সময় তিনি ঘটনাস্থল থেকে মোবাইল ফোনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সবকিছু জানান।
ওসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সংবাদমাধ্যমে জেনে এখানে এসেছি। এ বিষয়গুলো নিয়ে তারা কখনো আগে থানায় যায়নি। নিউজ হওয়ার পরে আপনারা এসেছেন, আমরাও এসেছি। আমরা সকলে মিলে যেটা সুষ্ঠু সমাধান হয়, সেটা করব। যেটাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে না, সেটা করব। আপাতত এখানকার বাসিন্দারা এভাবেই থাকবেন। জমির কাগজপত্র চুলচেরা বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক কে?
পাহাড়িয়াদের দাবি, এ জমির মালিক ছিলেন ইন্দ্র ধুপি নামের একজন ধোপা। মুক্তিযুদ্ধের পর ভারত থেকে ফিরে আসা ছয়টি পাহাড়িয়া পরিবারকে তিনি এখানে বাড়ি করতে দেন। জায়গাটি তখন ইন্দ্র ধুপির বাথান নামে পরিচিত ছিল। ইন্দ্র ধুপি নিঃসন্তান ছিলেন।
ভূমি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, হড়গ্রাম মৌজায় ৫১ নম্বর জে এল ও ১২৯০ নম্বর দাগে জমিটির পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৯৪ শতক। ৪০৫ নম্বর আরএস খতিয়ানে জমিটির মালিক হিসেবে লেখা রয়েছে রাজশাহীর কাজীহাটা এলাকার গাজিয়া রজকিনি ও ময়মনসিংহের কোতোয়ালির মনিতারা রজকিনি।
তবে ১৯৯৪-৯৫ সালে এ জমি খারিজ হয়েছে সাজ্জাদ আলী, সৈয়দ আলী, ইমতিয়াজ ও ফাহামিদার নামে। সাজ্জাদ আলী পুলিশের সামনে যে দলিল হাজির করেন, সেখানে দেখা যায়, মধুসূদন দাস, দিলীপ দাস, আমমোক্তার সূর্য কমল দাস, প্রকাশ দাস ও তৃপাল রজকের কাছ থেকে তাঁরা কিনেছেন।
ভূমি অফিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, আরএস রেকর্ডে গাজিয়া রজকিনি ও মনিতারা রজকিনির কাছ থেকে সাজ্জাদের কাছে সরাসরি দলিল হলে কোনো প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু মধুসূদন দাস, দিলীপ দাস, আমমোক্তার সূর্য কমল দাস, প্রকাশ দাস ও তৃপাল রজকের নামে জমি কীভাবে হয়েছিল, আগে সে দলিল দরকার। ওই দলিল না পাওয়া গেলে সাজ্জাদের কাছে থাকা দলিল থাকা প্রশ্নবিদ্ধ। এ দলিল সঠিক কি না, সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে।
তদন্তে জেলা প্রশাসন
পাহাড়িয়াদের ওই মহল্লা পরিদর্শন করেছেন জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি গণেশ মার্ডি, সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজেয়াড়, মানবাধিকারকর্মী আরিফ ইথার, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের সহসাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানসহ অনেকে। তাঁরা সবার সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় আদিবাসী নেতা গণেশ মার্ডি বলেন, ‘এত কিছু হয়ে যাচ্ছে, আমরাও এ বিষয়ে কিছু জানতাম না। তারা আমাদেরও কিছু জানায়নি। এভাবেই তারা বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই, প্রশাসন এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করে যেন ব্যবস্থা নেবে।’
জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী বলেন, এই পরিবারগুলো ৫৩ বছর ধরে এখানে বাস করছে। এর মধ্যে আরএস রেকর্ড হয়েছে। তখন মালিক না হোক, দখলীয় হিসেবেও তো আদিবাসীদের কথা লেখা উচিত ছিল। কিন্তু সেটাও হয়নি।
জানতে চাইলে নগরের বড়কুঠি ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেলা প্রশাসন তাঁকে তদন্ত করতে বলেছে। তিনি দুপুরে একজন সার্ভেয়ারকে পাঠিয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি নিজেও যাবেন। সবকিছু তদন্ত করে একটা প্রতিবেদন দেবেন।
উল্লেখ্য, মোল্লাপাড়ার এ জায়গা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। রাজশাহীর আমচত্বর-কাশিয়াডাঙ্গা সড়কসংলগ্ন এ জায়গার দাম এখন কয়েক কোটি টাকা। ৫৩ বছর আগে এখানে প্রথমে ছয়টি পরিবার বাড়ি করার সুযোগ পায়। তিন প্রজন্মে বাড়ি হয় ১৬টি।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর একটি রাজনৈতিক দলের অনুসারী সাজ্জাদ আলী সেখানে যান এবং জানান যে জমির মালিক তিনি। এখন তাঁদের উঠে যেতে হবে। এরও বছর দুয়েক আগে তিনি এ দাবি তুললে তৎকালীন ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম দুপক্ষকে নিয়ে বসেছিলেন। পাহাড়িয়াদের দাবি, তখন সাজ্জাদের দলিলকে ‘জাল’ বলেছিলেন কাউন্সিলর। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নজরুল ইসলাম আত্মগোপনে রয়েছেন। তাই তাঁর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
সাজ্জাদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভয়ভীতি দেখিয়ে অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে তিনি আরও জমি দখল করেছেন। এটিই তাঁর কৌশল। পাহাড়িয়াদেরও তিনি টাকা দিয়েছেন। প্রথম বাড়ি করা ছয়টি পরিবার ধরে প্রতিটি বাড়িতে দিয়েছেন ৬ লাখ করে টাকা। ছয় পরিবার এখন বেড়ে হয়েছে ১৬টি। মোট ৩০ লাখ টাকা ১৬ পরিবারে ভাগ হয়েছে। কেউ পেয়েছেন ৫০ হাজার, কেউ ১ লাখ, কেউবা ২ লাখ। তা নিয়েই তাঁরা চলে যাচ্ছিলেন।
ইতিমধ্যে তিনটি পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। অন্য ১৩ পরিবারকে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছিল রোববার। তার আগে শুক্রবার সাজ্জাদ আলী খাসি জবাই করে সবাইকে খাওয়ানোর আয়োজন করেছিলেন। সেখানে আশপাশের লোকজনকেও দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল।
আরও খবর পড়ুন:

রাজশাহীর মোল্লাপাড়ায় পাহাড়িয়াদের ভয় দেখিয়ে টাকা দেন সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছিলেন, পাহাড়িয়ারা যদি থানা-পুলিশে দৌড়াদৌড়ি করে, তাহলে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটাও দেওয়া হবে না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ওই মহল্লায় গেলে সবার সামনে পাহাড়িয়ারা এমন কথাই বলেছে।
এর আগে গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকা'র অনলাইনে ‘শুক্রবার খাওয়ানো হবে খাসি জবাই করে, রোববার ছাড়তে হবে ঘর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরদিন আজ বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকার প্রিন্ট সংস্করণেও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে উঠে আসে, ৫৩ বছর পাহাড়িয়ারা ১৬ কাঠা জমির ওপর বাস করে আসছে। এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ আলী এত দিন পর এ জমির মালিকানা দাবি করছেন। তাঁর চাপে তিনটি পরিবার জায়গা ছেড়ে চলে গেছে।
আজকের পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশের পর শুরু হয় তোলপাড়। তৎপর হয় পুলিশ-প্রশাসন। আজ সকালে পাহাড়িয়াদের মহল্লায় যান পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার লোকজন। সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশের একটি দল নিয়ে আসেন কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী। তিনি সাজ্জাদ আলীকেও ফোন করে ডেকে আনেন।
ওসি আজিজুল বারী পাহাড়িয়াদের প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কেন থানায় যাননি?’ জবাবে ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, ‘সাজ্জাদ আলী বলেছেন যে তোমরা যদি বাড়াবাড়ি কর, যেটুকু টাকা দিচ্ছি, সেটাও দেব না। এটার জন্য আমরা কোনো জায়গাতে যেতে পারলাম না। আমরা টাকা নিতে বাধ্য হলাম।’
আরও একজন বলেন, ‘এখানে জন্মজায়গা। আমরা যদি এখানে থাকতে পারি, থাকতে চাই। জন্মজায়গা ছেড়ে কেউ চলে যেতে চায়? কেউ তো চাই না। কিন্তু আমরা কুনু জাগাতেই যাইনি। আমাদের বুলেছে, তোমরা যুদি হাঁটাহাঁটি করো, তাহিলে কুনু টাকাই পাবা না।’
এলাকার বাসিন্দা আসাদ আলীও এসেছিলেন। পুলিশের সামনেই বললেন, ‘এখানে এরা ৬২ বছর ধরে বাস করছে। এই জমির মালিক ইন্দ্র ধুপি। সাজ্জাদের কথা আমরা শুনিনি।’
সেখানে ছিলেন সাজ্জাদ আলীর কেয়ারটেকার মো. শাহীন। ওসি আজিজুল বারী সাজ্জাদকে কয়েকবার ফোন করান তাঁকে দিয়ে। একপর্যায়ে একটি দলিল হাতে আসেন সাজ্জাদ। তিনি দাবি করেন, এ জায়গা তিনি ১৯৯৪ সালে কিনেছেন। পুনর্বাসন করে জায়গা দখলে নিচ্ছেন।
খাসি জবাই করে খাওয়ানোর আয়োজনের বিষয়ে সাজ্জাদ বলেন, ‘তারা এখানে এত দিন ছিল। চলে যাচ্ছে। আমি তাদের মুরগি খাওয়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারাই বলেছে যে খাসি খাওয়াতে হবে।’
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামীকাল শুক্রবার কোনো ‘খাওয়া’ হবে না সেখানে।
এ সময় বিভিন্ন মানবাধিকার ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারাও সেখানে আসেন।
ওসি আজিজুল বারী জানান, বিষয়টি তাঁর কাছে ঢাকা থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। তিনি প্রতিটি বাড়ির তালিকা করে নেন। তিনি ১৩টি পরিবার থেকে ১৩ জন এবং সাজ্জাদ আলীকে বিকেল ৫টায় কাশিয়াডাঙ্গা জোনের উপপুলিশ কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে ডাকেন। ওই সময় তিনি ঘটনাস্থল থেকে মোবাইল ফোনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সবকিছু জানান।
ওসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সংবাদমাধ্যমে জেনে এখানে এসেছি। এ বিষয়গুলো নিয়ে তারা কখনো আগে থানায় যায়নি। নিউজ হওয়ার পরে আপনারা এসেছেন, আমরাও এসেছি। আমরা সকলে মিলে যেটা সুষ্ঠু সমাধান হয়, সেটা করব। যেটাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে না, সেটা করব। আপাতত এখানকার বাসিন্দারা এভাবেই থাকবেন। জমির কাগজপত্র চুলচেরা বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক কে?
পাহাড়িয়াদের দাবি, এ জমির মালিক ছিলেন ইন্দ্র ধুপি নামের একজন ধোপা। মুক্তিযুদ্ধের পর ভারত থেকে ফিরে আসা ছয়টি পাহাড়িয়া পরিবারকে তিনি এখানে বাড়ি করতে দেন। জায়গাটি তখন ইন্দ্র ধুপির বাথান নামে পরিচিত ছিল। ইন্দ্র ধুপি নিঃসন্তান ছিলেন।
ভূমি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, হড়গ্রাম মৌজায় ৫১ নম্বর জে এল ও ১২৯০ নম্বর দাগে জমিটির পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৯৪ শতক। ৪০৫ নম্বর আরএস খতিয়ানে জমিটির মালিক হিসেবে লেখা রয়েছে রাজশাহীর কাজীহাটা এলাকার গাজিয়া রজকিনি ও ময়মনসিংহের কোতোয়ালির মনিতারা রজকিনি।
তবে ১৯৯৪-৯৫ সালে এ জমি খারিজ হয়েছে সাজ্জাদ আলী, সৈয়দ আলী, ইমতিয়াজ ও ফাহামিদার নামে। সাজ্জাদ আলী পুলিশের সামনে যে দলিল হাজির করেন, সেখানে দেখা যায়, মধুসূদন দাস, দিলীপ দাস, আমমোক্তার সূর্য কমল দাস, প্রকাশ দাস ও তৃপাল রজকের কাছ থেকে তাঁরা কিনেছেন।
ভূমি অফিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, আরএস রেকর্ডে গাজিয়া রজকিনি ও মনিতারা রজকিনির কাছ থেকে সাজ্জাদের কাছে সরাসরি দলিল হলে কোনো প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু মধুসূদন দাস, দিলীপ দাস, আমমোক্তার সূর্য কমল দাস, প্রকাশ দাস ও তৃপাল রজকের নামে জমি কীভাবে হয়েছিল, আগে সে দলিল দরকার। ওই দলিল না পাওয়া গেলে সাজ্জাদের কাছে থাকা দলিল থাকা প্রশ্নবিদ্ধ। এ দলিল সঠিক কি না, সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে।
তদন্তে জেলা প্রশাসন
পাহাড়িয়াদের ওই মহল্লা পরিদর্শন করেছেন জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি গণেশ মার্ডি, সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজেয়াড়, মানবাধিকারকর্মী আরিফ ইথার, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের সহসাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানসহ অনেকে। তাঁরা সবার সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় আদিবাসী নেতা গণেশ মার্ডি বলেন, ‘এত কিছু হয়ে যাচ্ছে, আমরাও এ বিষয়ে কিছু জানতাম না। তারা আমাদেরও কিছু জানায়নি। এভাবেই তারা বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই, প্রশাসন এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করে যেন ব্যবস্থা নেবে।’
জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী বলেন, এই পরিবারগুলো ৫৩ বছর ধরে এখানে বাস করছে। এর মধ্যে আরএস রেকর্ড হয়েছে। তখন মালিক না হোক, দখলীয় হিসেবেও তো আদিবাসীদের কথা লেখা উচিত ছিল। কিন্তু সেটাও হয়নি।
জানতে চাইলে নগরের বড়কুঠি ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেলা প্রশাসন তাঁকে তদন্ত করতে বলেছে। তিনি দুপুরে একজন সার্ভেয়ারকে পাঠিয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি নিজেও যাবেন। সবকিছু তদন্ত করে একটা প্রতিবেদন দেবেন।
উল্লেখ্য, মোল্লাপাড়ার এ জায়গা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। রাজশাহীর আমচত্বর-কাশিয়াডাঙ্গা সড়কসংলগ্ন এ জায়গার দাম এখন কয়েক কোটি টাকা। ৫৩ বছর আগে এখানে প্রথমে ছয়টি পরিবার বাড়ি করার সুযোগ পায়। তিন প্রজন্মে বাড়ি হয় ১৬টি।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর একটি রাজনৈতিক দলের অনুসারী সাজ্জাদ আলী সেখানে যান এবং জানান যে জমির মালিক তিনি। এখন তাঁদের উঠে যেতে হবে। এরও বছর দুয়েক আগে তিনি এ দাবি তুললে তৎকালীন ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম দুপক্ষকে নিয়ে বসেছিলেন। পাহাড়িয়াদের দাবি, তখন সাজ্জাদের দলিলকে ‘জাল’ বলেছিলেন কাউন্সিলর। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নজরুল ইসলাম আত্মগোপনে রয়েছেন। তাই তাঁর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
সাজ্জাদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভয়ভীতি দেখিয়ে অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে তিনি আরও জমি দখল করেছেন। এটিই তাঁর কৌশল। পাহাড়িয়াদেরও তিনি টাকা দিয়েছেন। প্রথম বাড়ি করা ছয়টি পরিবার ধরে প্রতিটি বাড়িতে দিয়েছেন ৬ লাখ করে টাকা। ছয় পরিবার এখন বেড়ে হয়েছে ১৬টি। মোট ৩০ লাখ টাকা ১৬ পরিবারে ভাগ হয়েছে। কেউ পেয়েছেন ৫০ হাজার, কেউ ১ লাখ, কেউবা ২ লাখ। তা নিয়েই তাঁরা চলে যাচ্ছিলেন।
ইতিমধ্যে তিনটি পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। অন্য ১৩ পরিবারকে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছিল রোববার। তার আগে শুক্রবার সাজ্জাদ আলী খাসি জবাই করে সবাইকে খাওয়ানোর আয়োজন করেছিলেন। সেখানে আশপাশের লোকজনকেও দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল।
আরও খবর পড়ুন:

শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি
৯ মিনিট আগে
জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭ মিনিট আগে
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের....
২৯ মিনিট আগে
ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার সকালে নগরীর দুর্জয় মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন।
৩৬ মিনিট আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই তরুণের মৃত্যুর পৌঁছালে গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছেলে আবুল কালাম (৩৬)। চার ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিলেন তিনি। স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকায়। গ্রামে থাকা ভাইদের সংসারের জন্যও নিয়মিত টাকা পাঠাতেন তিনি।
রোববার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে তার উপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

আবুল কালামের ভাবী আসমা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে ফোনে কথা হইছিলো। আমি বলছিলাম, ভাইয়ের সাথে কথা বলো, বাড়িতে চলে আস। সে বলেছিল, কয়েক দিনের মধ্যেই আসবে। কিছু ঘণ্টাখানেক পর শুনি-মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে মারা গেছে!’
সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসমা বলেন, ‘আমাদের সংসারের হাল ওই ধরেছিল। এখন ওর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।’
ছোটবেলা থেকেই কালাম পরিশ্রমী ছিল বলে জানান নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া চোকদার। তিনি বলেন, ‘সংসারের বোঝা একা কাঁধে নিয়েছিল সে। হঠাৎ এমন মৃত্যুকে মেনে নেয়া কঠিন।’
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ইতোমধ্যে খবর পেয়েছি। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। ”

শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই তরুণের মৃত্যুর পৌঁছালে গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছেলে আবুল কালাম (৩৬)। চার ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিলেন তিনি। স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকায়। গ্রামে থাকা ভাইদের সংসারের জন্যও নিয়মিত টাকা পাঠাতেন তিনি।
রোববার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে তার উপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

আবুল কালামের ভাবী আসমা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে ফোনে কথা হইছিলো। আমি বলছিলাম, ভাইয়ের সাথে কথা বলো, বাড়িতে চলে আস। সে বলেছিল, কয়েক দিনের মধ্যেই আসবে। কিছু ঘণ্টাখানেক পর শুনি-মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে মারা গেছে!’
সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসমা বলেন, ‘আমাদের সংসারের হাল ওই ধরেছিল। এখন ওর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।’
ছোটবেলা থেকেই কালাম পরিশ্রমী ছিল বলে জানান নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া চোকদার। তিনি বলেন, ‘সংসারের বোঝা একা কাঁধে নিয়েছিল সে। হঠাৎ এমন মৃত্যুকে মেনে নেয়া কঠিন।’
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ইতোমধ্যে খবর পেয়েছি। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। ”

রাজশাহীর মোল্লাপাড়ায় পাহাড়িয়াদের ভয় দেখিয়ে টাকা দেন সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছিলেন, পাহাড়িয়ারা যদি থানা-পুলিশে দৌড়াদৌড়ি করে, তাহলে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটাও দেওয়া হবে না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ওই মহল্লায় গেলে সবার সামনে পাহাড়িয়ারা এমন কথাই
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭ মিনিট আগে
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের....
২৯ মিনিট আগে
ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার সকালে নগরীর দুর্জয় মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন।
৩৬ মিনিট আগেভোলা প্রতিনিধি

জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর মাঝি লালমোহন উপজেলার চর কালাই দাস গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজগর মাঝির ছেলে।
তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৮-এর ভোলা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জাহাঙ্গীর মাঝি ও মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মীর নামের দুজনসহ কয়েকজন প্রতারক জিনের বাদশাহ সেজে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছিলেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার মো. দিদারুল আলম (৪০) নামের এক ব্যক্তি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে তাঁদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বললে প্রতারকেরা বিভিন্ন কৌশলে তাঁর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এর জন্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিকাশে ৫৩ লাখ ৫ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন। পরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী দিদারুল আলম চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ফটিকছড়ি থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করি। আমরা এর আগে ১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক কামাল উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করি। অন্য প্রতারকদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর মাঝি লালমোহন উপজেলার চর কালাই দাস গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজগর মাঝির ছেলে।
তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৮-এর ভোলা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জাহাঙ্গীর মাঝি ও মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মীর নামের দুজনসহ কয়েকজন প্রতারক জিনের বাদশাহ সেজে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছিলেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার মো. দিদারুল আলম (৪০) নামের এক ব্যক্তি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে তাঁদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বললে প্রতারকেরা বিভিন্ন কৌশলে তাঁর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এর জন্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিকাশে ৫৩ লাখ ৫ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন। পরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী দিদারুল আলম চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ফটিকছড়ি থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করি। আমরা এর আগে ১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক কামাল উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করি। অন্য প্রতারকদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

রাজশাহীর মোল্লাপাড়ায় পাহাড়িয়াদের ভয় দেখিয়ে টাকা দেন সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছিলেন, পাহাড়িয়ারা যদি থানা-পুলিশে দৌড়াদৌড়ি করে, তাহলে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটাও দেওয়া হবে না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ওই মহল্লায় গেলে সবার সামনে পাহাড়িয়ারা এমন কথাই
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি
৯ মিনিট আগে
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের....
২৯ মিনিট আগে
ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার সকালে নগরীর দুর্জয় মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন।
৩৬ মিনিট আগেফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চালু হওয়া ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ইউনিটটি চালু রাখতে দৈনিক ৮০০ থেকে ৯০০ টন কয়লার প্রয়োজন হবে।
এর আগে ১৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রথম ইউনিটের বয়লারের পাইপ ফেটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তারও আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তৃতীয় ইউনিট বন্ধ হয়। এর ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট দুটি ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং তৃতীয় ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। ওই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ৪ বছর ১১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম ইউনিটের মেরামতের কাজ শেষে দুপুর ১২টায় বয়লারে ফায়ারিং করা হয়। বেলা ২টা থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটির চালু হলে সন্ধ্যায় আবারও আংশিক ত্রুটি দেখা দেয়, কিছু পরে পুরোপুরি উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে উত্তরাঞ্চলের লোডশেডিং কিছুটা কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আবু বক্কর সিদ্দিক আরও বলেন, কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটি মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। চায়না থেকে মেশিন এনে সেটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরতে প্রায় ৯০ দিন সময় লাগবে।

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চালু হওয়া ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ইউনিটটি চালু রাখতে দৈনিক ৮০০ থেকে ৯০০ টন কয়লার প্রয়োজন হবে।
এর আগে ১৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রথম ইউনিটের বয়লারের পাইপ ফেটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তারও আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তৃতীয় ইউনিট বন্ধ হয়। এর ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট দুটি ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং তৃতীয় ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। ওই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ৪ বছর ১১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম ইউনিটের মেরামতের কাজ শেষে দুপুর ১২টায় বয়লারে ফায়ারিং করা হয়। বেলা ২টা থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটির চালু হলে সন্ধ্যায় আবারও আংশিক ত্রুটি দেখা দেয়, কিছু পরে পুরোপুরি উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে উত্তরাঞ্চলের লোডশেডিং কিছুটা কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আবু বক্কর সিদ্দিক আরও বলেন, কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটি মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। চায়না থেকে মেশিন এনে সেটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরতে প্রায় ৯০ দিন সময় লাগবে।

রাজশাহীর মোল্লাপাড়ায় পাহাড়িয়াদের ভয় দেখিয়ে টাকা দেন সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছিলেন, পাহাড়িয়ারা যদি থানা-পুলিশে দৌড়াদৌড়ি করে, তাহলে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটাও দেওয়া হবে না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ওই মহল্লায় গেলে সবার সামনে পাহাড়িয়ারা এমন কথাই
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি
৯ মিনিট আগে
জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭ মিনিট আগে
ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার সকালে নগরীর দুর্জয় মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন।
৩৬ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার সকালে নগরীর দুর্জয় মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। আন্দোলনের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়কসহ শহরের বিভিন্ন সড়কে যানবাহন আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

আজ সকাল ১০টার দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দুর্জয় মোড়ে আসেন আন্দোলনকারীরা। সাড়ে ১০টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশসহ ভৈরব বাজার ও কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক ব্লকেড করেন তাঁরা।
ভৈরব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম পাভেল বলেন, ‘সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলনের ফলে ভৈরবকে ৬৫তম জেলা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি হলেও পরে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আজ আমরা জেলার দাবিতে মাঠে নেমেছি, ঘোষণা না আসা পর্যন্ত মাঠে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
বাঁশগাড়ি জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রায়হান বলে, ‘জেলার ঘোষণা দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে এসেছি। ব্লকেড কর্মসূচি পালন করতে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছি, যানবাহন যেন চলতে না পারে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি।’

এই আন্দোলনে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী মো. শাহিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন সুজন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা আলহাজ আল মামুন, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল প্রমুখ। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুহাদ রুহানী বলেন, ‘জেলার দাবিতে দুর্জয় মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন চলাকালে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক ছিলাম। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি শবনম শারমিন বলেন, ‘সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে মনিটরিং করেছি। কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা বা বিশৃঙ্খলা যাতে সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ছিল সর্বোচ্চ সতর্ক ও প্রস্তুত।’

ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার সকালে নগরীর দুর্জয় মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। আন্দোলনের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়কসহ শহরের বিভিন্ন সড়কে যানবাহন আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

আজ সকাল ১০টার দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দুর্জয় মোড়ে আসেন আন্দোলনকারীরা। সাড়ে ১০টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশসহ ভৈরব বাজার ও কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক ব্লকেড করেন তাঁরা।
ভৈরব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম পাভেল বলেন, ‘সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলনের ফলে ভৈরবকে ৬৫তম জেলা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি হলেও পরে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আজ আমরা জেলার দাবিতে মাঠে নেমেছি, ঘোষণা না আসা পর্যন্ত মাঠে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
বাঁশগাড়ি জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রায়হান বলে, ‘জেলার ঘোষণা দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে এসেছি। ব্লকেড কর্মসূচি পালন করতে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছি, যানবাহন যেন চলতে না পারে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি।’

এই আন্দোলনে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী মো. শাহিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন সুজন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা আলহাজ আল মামুন, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল প্রমুখ। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুহাদ রুহানী বলেন, ‘জেলার দাবিতে দুর্জয় মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন চলাকালে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক ছিলাম। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি শবনম শারমিন বলেন, ‘সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে মনিটরিং করেছি। কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা বা বিশৃঙ্খলা যাতে সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ছিল সর্বোচ্চ সতর্ক ও প্রস্তুত।’

রাজশাহীর মোল্লাপাড়ায় পাহাড়িয়াদের ভয় দেখিয়ে টাকা দেন সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছিলেন, পাহাড়িয়ারা যদি থানা-পুলিশে দৌড়াদৌড়ি করে, তাহলে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটাও দেওয়া হবে না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ওই মহল্লায় গেলে সবার সামনে পাহাড়িয়ারা এমন কথাই
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিলো আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবী আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি
৯ মিনিট আগে
জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭ মিনিট আগে
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি চালু হয়। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের....
২৯ মিনিট আগে