Ajker Patrika

ফেনীর নুসরাত হত্যা: দণ্ডপ্রাপ্তদের স্বজনদের মানববন্ধনে বাধা, যুবদল নেতা বহিষ্কার

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
ফরিদগঞ্জ থানার মোড়ে স্বজনদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদগঞ্জ থানার মোড়ে স্বজনদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফেনীর সোনাগাজী মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফী (১৯) হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (বর্তমান ফরিদগঞ্জ থানার ওসি) শাহ আলমের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের স্বজনেরা। গতকাল বুধবার ফরিদগঞ্জ থানার মোড় এলাকায় এই মানববন্ধন হয়। এর আগে ওই স্বজনেরা ফেনী থেকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আসেন।

মানববন্ধন চলাকালে জেলা যুবদলের সদস্য আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে একদল লোক মানববন্ধনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নেয়। হামলাকারীরা উপস্থিত সাংবাদিকদেরও লাঞ্ছিত ও ক্যামেরা ভাঙচুর করে। পরে হামলার ঘটনায় সাংবাদিক মো. রাকিবুল হাসান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।

মানববন্ধনকারীরা জানান, গত ২০১৯ সালে ‎ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় নুসরাত জাহান রাফী নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওই মামলার তদন্ত করে তৎকালীন পিবিআই কর্মকর্তা বর্তমান ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ আলম।

তাঁরা বলেন, ‘নুসরাতের মৃত্যুর ঘটনাটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সাবেক পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমারের নির্দেশে নিরপরাধদের রিমান্ডে এনে স্বীকারোক্তি আদায় এবং বিপুল পরিমাণ ঘুষ গ্রহণের ঘটনা ঘটেছে।

সেই তদন্ত কর্মকর্তা এখন ফরিদগঞ্জ থানার ওসি। তাই তাঁর বিচারের দাবিতে থানার সামনে এসে মানববন্ধন করেছি। এ সময় তাঁর মদদে যুবদলের নেতা আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে একদল লোক আমাদের ওপর হামলা ও সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করে।’

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ‘মানববন্ধন চলাকালে নিউজ সংগ্রহ করার সময় যুবদলের নেতা আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং আমাদের লাঞ্ছিত করে। আমরা থানায় মামলা করেছি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমি তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলাম। আমি তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছি। বিচার করেছে আদালত। এখন তারা ন্যায়বিচার পাননি, তাই মানববন্ধন করেছেন। এ সময় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

এদিকে মানববন্ধনে হামলার ঘটনায় গতকাল রাতে অভিযুক্ত আব্দুল মতিনের দলীয় সব পদ স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল। সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেলের স্বাক্ষরিত চিঠিতে জেলা যুবদলসহ তাঁর সব পদ স্থগিত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত