Ajker Patrika

আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও কমপক্ষে তিনজনকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় তদন্তে নেমেছে থানা-পুলিশ। 

চুল কেটে নেওয়া ব্যক্তি হাফিজুল ইসলাম (৩৫) লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার মধ্য গড্ডিমারি ভাসানী পাড়ার বাসিন্দা। শেরপুরে ভাগনির বাড়িতে বেড়াতে এসে এই ঘটনার শিকার হন তিনি। ঘটনায় হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল বুধবার রাতে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

ভুক্তভোগী হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার (২১ জুন) রাতে আমি ভাগনি জামাই সাইফুল ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে যাই। পরদিন বুধবার (২২ জুন) সকাল ৭টায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম বাবুসহ (৩৫) স্থানীয় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি আমাকে ভাগনি জামাইয়ের বাড়ি থেকে ডেকে বের করে আনে। এ সময় তাঁরা আমার ও ভাগনির মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে হইচই করে লোকসমাগম ঘটায়। একপর্যায়ে তাঁরা আমাকেসহ আমার ভাগনি জামাই সাইফুল ইসলাম, ভাগনি কহিনূর বেগমকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। অবশেষে তারা জামাই সাইফুল ইসলামকে ভীতির মাধ্যমে আমার মাথার চুল কাটতে বাধ্য করে। এ সময় আমার মোবাইল, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় তাঁরা।’ 

এ ঘটনায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়া কহিনূর বেগম বলেন, ‘রবিউল ইসলাম বাবু অনেক দিন আগে থেকেই আমাকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আমি সব সময় এর প্রতিবাদ করেছি। তাই আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যেই এই কাজ করেছে।’ 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার কারণে আবারও তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী এই নারী। 

ভুক্তভোগী আরও জানান, তাঁদের ওপর যারা শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে রবিউল ইসলাম, তাঁর সহযোগী মো. মিস্টার (৪০), আনোয়ার হোসেন (২৫), নয়ন হোসেন (২২), রায়হান হোসেন (২৬) সহ ৭ জন। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

এ নিয়ে অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম ওরফে বাবু তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কারও চুল কেটে দেইনি। এলাকার বাসিন্দা হিসেবে হইচই শুনে এগিয়ে যাই। এখন আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে।’ 

এ ঘটনা নিয়ে ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সাইদার রহমান বলেন, হাফিজুল ইসলাম তাঁর ভাগনি জামাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাঁর মাথার চুল কেটে নেওয়ার ঘটনায় গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় পুলিশি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অরকার আক্রমণে তরুণী প্রশিক্ষকের মৃত্যু, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে যা জানা গেল

জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা ও মামলা প্রত্যাহার

ভারতকে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

জুলাই সনদের বৈধতা নিয়ে আদালতেও প্রশ্ন তোলা যাবে না

জর্ডান-মিসরকে নিয়ে বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করতে চান নেতানিয়াহু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত