নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে ট্রেনে বরযাত্রীদের ওপর হামলা চালিয়েছে একদল কিশোর। আজ শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী স্টেশন থেকে বরযাত্রীরা ট্রেনে উঠেছিল। কিছুক্ষণ পরই তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলা থেকে বাঁচতে বরসহ তিনজন ট্রেন থেকে নেমে যান। পরে ট্রেনে থাকা অন্য বরযাত্রীদের ওপর রাজশাহী রেলস্টেশনেও হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ এক কিশোরকে আটক করেছে।
আটক কিশোরের বাড়ি রাজশাহী নগরের আসাম কলোনির বউবাজার এলাকায়। সে ইউসেপ স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। তার সঙ্গে ছিল আরও কয়েকজন। এর মধ্যে দুজন ছাড়া সবাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। দুজন তাদের ‘বড় ভাই’। ট্রেনে থাকা ‘ছোট ভাইদের’ ফোন পেয়ে মনির ও মাইনুল লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজশাহী রেলস্টেশনে অপেক্ষায় ছিলেন।
হামলাকারীরা জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে বরযাত্রীদের একজনের হাত ভেঙে দিয়েছে। টাকাপয়সা লুট করে নেওয়ারও অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা। এই বরযাত্রীরা ট্রেনে করে বাঘার আড়ানী থেকে গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাটে যাচ্ছিল। হামলায় আহত বরযাত্রীর একজনের নাম আরিফুল ইসলাম (২৮)। তাঁর বাড়ি আড়ানী ননুনগর গ্রামে। তিনি বাঁচার জন্য রাজশাহী স্টেশনে নেমে দৌড় দিয়েছিলেন। তাঁকে জিআই পাইপ ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে পেটানো হয়। তাতে তাঁর ডান হাত ভেঙে গেছে। পিঠে স্ট্যাম্পের দাগ বসে আছে। ট্রেনের ভেতরে ডিটল সরকার নামের আরেকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তিনি ওই ট্রেনেই কাঁকনহাট চলে গেছেন।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙা হাত নিয়ে আরিফুল ইসলাম কাতরাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে বরযাত্রী নিশান আলী স্টেশনের একটি দোকানের ফ্রিজ থেকে বরফ এনে ভাঙা হাতে লাগাচ্ছেন। আরিফুল ইসলাম বলেন, তাঁরা আড়ানী স্টেশন থেকে ৩০ জন বরযাত্রী ট্রেনে উঠেছিলেন। ট্রেনে ওঠার পর এই দলের সঙ্গে দেখা হয়। তারা কার সঙ্গে যেন ঝামেলা করছিল। একপর্যায়ে তাঁর মাথায় একটা গুঁতো দেয়। তখন তাঁর সঙ্গের লোকজন ধাক্কা দিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে নেন। এরপর তারা বরযাত্রীদের মারধর শুরু করে। ট্রেনের ভেতর তারা ডিটল সরকারকে মেরে গুরুতর আহত করে। তাদের আট হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। ডিটল সরকারের গায়ের পাঞ্জাবিও ছিঁড়ে ফেলে।
আরিফুল বলেন, বিপদ থেকে কৌশলে সরদহ স্টেশনে নেমে বরসহ তিনজন সড়কপথে কাঁকনহাটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। রাজশাহী স্টেশনে নেমে তিনি দৌড়ে একজন আনসার সদস্যকে জড়িয়ে ধরে বলেন, ‘আমাকে বাঁচান।’ রেলওয়ে পুলিশ মাহাবুব ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি বলেন, ট্রেন থেকে নামার সময় ওরা বরযাত্রী সদস্যদের মারছিল। সেটা তারা ঠেকিয়ে দিয়েছেন। পরে প্ল্যাটফর্মে নেমেও মারছিল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পত্রিকা বিক্রেতা মো. কাজল (৬০)। তিনি এই দৃশ্য দেখেছেন।
কাজল বলেন, ‘ছাত্ররা মারছিল আর বলছিল, “এই বড় ভাইদের ডাক দে।”’
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী রাজশাহী প্রাইভেট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক শেখ মো. সাকিক বলেন, তিনি দেখেছেন আরিফুল ট্রেন থেকে নেমে দৌড়াচ্ছেন। তাঁর পেছনে নিশানকে মারতে মারতে আসছে হামলাকারী কিশোর। একটা ছেলে জিআই পাইপ দিয়ে আরিফুলকে পেটাচ্ছিল। পরে স্থানীয় লোকজন ঘিরে ধরলে তারা পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগে থেকেই খবর পেয়ে এই ছাত্রদের কয়েকজন ‘বড় ভাই’ জিআই পাইপ, স্ট্যাম্প ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজশাহী স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। ট্রেন থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তারা আরিফুল ও নিশানের ওপর হামলা চালায়।
আটক কিশোর জানায়, তারা ১০-১২ জন মিলে সকালে তিতুমীর ট্রেনে রাজশাহী থেকে আব্দুলপুর স্টেশনে গিয়েছিল লুচি খেতে। সেখান থেকে কমিউটার ট্রেনে ফিরছিল। আড়ানী স্টেশনে এসে বরযাত্রীর একজনের সঙ্গে তাদের ঝামেলা হয়। তারপর এই ঘটনা ঘটে।
স্টেশনমাস্টার আব্দুল মালেক বলেন, আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর আটক হামলাকারীকে জিআরপি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল কর্মকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে দুজন সেনাসদস্য ছিলেন। তাঁরা এক ছাত্রকে ধরে থানায় এনেছেন। আহতরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আপস-মীমাংসা না হলে মামলা হবে।’
রাজশাহীতে ট্রেনে বরযাত্রীদের ওপর হামলা চালিয়েছে একদল কিশোর। আজ শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী স্টেশন থেকে বরযাত্রীরা ট্রেনে উঠেছিল। কিছুক্ষণ পরই তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলা থেকে বাঁচতে বরসহ তিনজন ট্রেন থেকে নেমে যান। পরে ট্রেনে থাকা অন্য বরযাত্রীদের ওপর রাজশাহী রেলস্টেশনেও হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ এক কিশোরকে আটক করেছে।
আটক কিশোরের বাড়ি রাজশাহী নগরের আসাম কলোনির বউবাজার এলাকায়। সে ইউসেপ স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। তার সঙ্গে ছিল আরও কয়েকজন। এর মধ্যে দুজন ছাড়া সবাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। দুজন তাদের ‘বড় ভাই’। ট্রেনে থাকা ‘ছোট ভাইদের’ ফোন পেয়ে মনির ও মাইনুল লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজশাহী রেলস্টেশনে অপেক্ষায় ছিলেন।
হামলাকারীরা জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে বরযাত্রীদের একজনের হাত ভেঙে দিয়েছে। টাকাপয়সা লুট করে নেওয়ারও অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা। এই বরযাত্রীরা ট্রেনে করে বাঘার আড়ানী থেকে গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাটে যাচ্ছিল। হামলায় আহত বরযাত্রীর একজনের নাম আরিফুল ইসলাম (২৮)। তাঁর বাড়ি আড়ানী ননুনগর গ্রামে। তিনি বাঁচার জন্য রাজশাহী স্টেশনে নেমে দৌড় দিয়েছিলেন। তাঁকে জিআই পাইপ ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে পেটানো হয়। তাতে তাঁর ডান হাত ভেঙে গেছে। পিঠে স্ট্যাম্পের দাগ বসে আছে। ট্রেনের ভেতরে ডিটল সরকার নামের আরেকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তিনি ওই ট্রেনেই কাঁকনহাট চলে গেছেন।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙা হাত নিয়ে আরিফুল ইসলাম কাতরাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে বরযাত্রী নিশান আলী স্টেশনের একটি দোকানের ফ্রিজ থেকে বরফ এনে ভাঙা হাতে লাগাচ্ছেন। আরিফুল ইসলাম বলেন, তাঁরা আড়ানী স্টেশন থেকে ৩০ জন বরযাত্রী ট্রেনে উঠেছিলেন। ট্রেনে ওঠার পর এই দলের সঙ্গে দেখা হয়। তারা কার সঙ্গে যেন ঝামেলা করছিল। একপর্যায়ে তাঁর মাথায় একটা গুঁতো দেয়। তখন তাঁর সঙ্গের লোকজন ধাক্কা দিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে নেন। এরপর তারা বরযাত্রীদের মারধর শুরু করে। ট্রেনের ভেতর তারা ডিটল সরকারকে মেরে গুরুতর আহত করে। তাদের আট হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। ডিটল সরকারের গায়ের পাঞ্জাবিও ছিঁড়ে ফেলে।
আরিফুল বলেন, বিপদ থেকে কৌশলে সরদহ স্টেশনে নেমে বরসহ তিনজন সড়কপথে কাঁকনহাটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। রাজশাহী স্টেশনে নেমে তিনি দৌড়ে একজন আনসার সদস্যকে জড়িয়ে ধরে বলেন, ‘আমাকে বাঁচান।’ রেলওয়ে পুলিশ মাহাবুব ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি বলেন, ট্রেন থেকে নামার সময় ওরা বরযাত্রী সদস্যদের মারছিল। সেটা তারা ঠেকিয়ে দিয়েছেন। পরে প্ল্যাটফর্মে নেমেও মারছিল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পত্রিকা বিক্রেতা মো. কাজল (৬০)। তিনি এই দৃশ্য দেখেছেন।
কাজল বলেন, ‘ছাত্ররা মারছিল আর বলছিল, “এই বড় ভাইদের ডাক দে।”’
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী রাজশাহী প্রাইভেট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক শেখ মো. সাকিক বলেন, তিনি দেখেছেন আরিফুল ট্রেন থেকে নেমে দৌড়াচ্ছেন। তাঁর পেছনে নিশানকে মারতে মারতে আসছে হামলাকারী কিশোর। একটা ছেলে জিআই পাইপ দিয়ে আরিফুলকে পেটাচ্ছিল। পরে স্থানীয় লোকজন ঘিরে ধরলে তারা পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগে থেকেই খবর পেয়ে এই ছাত্রদের কয়েকজন ‘বড় ভাই’ জিআই পাইপ, স্ট্যাম্প ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজশাহী স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। ট্রেন থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তারা আরিফুল ও নিশানের ওপর হামলা চালায়।
আটক কিশোর জানায়, তারা ১০-১২ জন মিলে সকালে তিতুমীর ট্রেনে রাজশাহী থেকে আব্দুলপুর স্টেশনে গিয়েছিল লুচি খেতে। সেখান থেকে কমিউটার ট্রেনে ফিরছিল। আড়ানী স্টেশনে এসে বরযাত্রীর একজনের সঙ্গে তাদের ঝামেলা হয়। তারপর এই ঘটনা ঘটে।
স্টেশনমাস্টার আব্দুল মালেক বলেন, আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর আটক হামলাকারীকে জিআরপি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল কর্মকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে দুজন সেনাসদস্য ছিলেন। তাঁরা এক ছাত্রকে ধরে থানায় এনেছেন। আহতরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আপস-মীমাংসা না হলে মামলা হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূসকে আমি সম্মান করতাম। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভেঙেছে, আপনি দেখেছেন, আপনার গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে সমস্ত সরকার বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল, আমি কাদের সিদ্দিকী না দাঁড়ালে আপনার অর্ধেক গ্রামীণ ব্যাংক
১ মিনিট আগেখাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় বজ্রপাতে মো. শরীফ (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার হাচিনসনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১০ মিনিট আগেখুলনায় দুটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ দুজন মারা গেছেন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর লবণচরা থানাধীন হরিণটান গেট এবং দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আড়ংঘাটা থানাধীন বিল পাবলা বিশ্বরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। লাশ দুটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
১৪ মিনিট আগেরাকিবা বেগম নামের এক নারী জানান, ওই বৃদ্ধা বেগুনবাড়ি বস্তিতে থাকতেন এবং খাওয়ার পানির বোতল বিক্রি করতেন। সন্ধ্যার সময় বেগুনবাড়ি বউবাজারের রাস্তায় পানি বিক্রি করার সময় দ্রুতগতিতে আসা একটি মোটরসাইকেল তাঁকে ধাক্কা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেলের পেছনে তাঁর কাপড় আটকে যায়। তখন তিনি ছিটকে পড়েন এবং রাস্তার
২৭ মিনিট আগে