টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর (ভাস্কর্যের) মাথায় প্রস্রাব করা, আমার মাথায় প্রস্রাব হয় নাই? স্বাধীনতার মাথায় প্রস্রাব করা হয় নাই? জিয়াউর রহমানের মাথায় প্রস্রাব করা হয় নাই? বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার মাথায় প্রস্রাব করা হয়েছে। এর বিচার চাই, বিচার চাই, বিচার চাই। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি যারা ভেঙেছে, মনে রাখবেন তাদেরও বাড়ি ঘর রয়েছে। তাদেরও কবর রয়েছে, তাদেরও স্মৃতিসংঘ রয়েছে। তাদের কবর হাতে নিয়ে ঘুরতে পারবেন না। বাড়িঘর হাতে নিয়ে যেতে পারবেন না। তাই সীমা অতিক্রম করবেন না।’
মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত মাকড়াই দিবস উপলক্ষে শনিবার বিকেলে কাদেরিরা বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা মহাসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘কে একজন বলেছেন বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা নন। বঙ্গবন্ধু যদি জাতির পিতা না হন, তাহলে আপনার পিতা কে? কোনো সন্তানের পিতা না থাকলে সে সন্তান সম্মানী সন্তান হয় না। সে সন্তান কুলাঙ্গার হয়। একটু ভেবেচিন্তে বলবেন।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নেতা বলেন, ‘যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছেন, শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছেন, আমি তাদের অন্তরের স্থল থেকে সমর্থন করি। কারণ, শেখ হাসিনার পতন আল্লাহর তরফ থেকে হয়েছে। আপনাদের মুরোদে শেখ হাসিনার পতন হয় নাই। জনগণ রাস্তায় নেমেছিল বলে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আপনারা যদি অন্যায় করতে যান, আমি কাদের সিদ্দিকী বেঁচে থাকতে তা লড়াই করব। আইন অনুযায়ী তার বিচার করুন তার শাস্তি দিন, মাথা পেতে নেব। শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা এক নয়। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে তত দিন জয় বাংলা থাকবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূসকে আমি সম্মান করতাম। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভেঙেছে আপনি দেখেছেন, আপনার গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে সমস্ত সরকার বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল, আমি কাদের সিদ্দিকী না দাঁড়ালে আপনার অর্ধেক গ্রামীণ ব্যাংক মাটির নিচে চলে যেত। আপনার এক বছরের শাসনে সেটি আর হৃদয় থেকে নিতে পারছি না। আপনাকে আবার আমি অনুরোধ করছি, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না দিলে এবং নির্বাচন করতে না পারলে শেখ হাসিনার চাইতে আপনার পরিণতি ১০ গুণ খারাপ হবে।’
মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে খেতাবপ্রাপ্ত এই বীর বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। তাঁদের সম্মানী এক লাখ টাকা করতে হবে। তবে এ বছরই তাঁদের সম্মানী ৫০ হাজার করার দাবি জানাচ্ছি। আমরা ভিক্ষা চাই না, সম্মানী চাই। যুদ্ধ বড় কঠিন জিনিস। যখন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, জীবনের মায়াও ছিল না। আমি কোনো দারোগা-পুলিশকে ভয় পাই না। আমি আল্লাহ ও রাসুলকে ভয় করি।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা আর মুক্তিযুদ্ধ এক না, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর শেখ হাসিনা এক না। গোপালগঞ্জের শেখ লুৎফর রহমানের পুত্র শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা বানিয়েছি বুকের তাজা রক্ত দিয়ে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যায়নি, তিন বাহিনীর সহযোগিতায় যুদ্ধবিমানে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
মুক্তিযুদ্ধের সাবেক জেলা কমান্ডার ফজলুল হক বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঘাটাইল উপজেলার সাবেক কমান্ডার এমদাদুল হক খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন, হুমায়ুন বাংগাল, ঘাটাইল উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান প্রমুখ। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কৃষক জনতার লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর (ভাস্কর্যের) মাথায় প্রস্রাব করা, আমার মাথায় প্রস্রাব হয় নাই? স্বাধীনতার মাথায় প্রস্রাব করা হয় নাই? জিয়াউর রহমানের মাথায় প্রস্রাব করা হয় নাই? বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার মাথায় প্রস্রাব করা হয়েছে। এর বিচার চাই, বিচার চাই, বিচার চাই। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি যারা ভেঙেছে, মনে রাখবেন তাদেরও বাড়ি ঘর রয়েছে। তাদেরও কবর রয়েছে, তাদেরও স্মৃতিসংঘ রয়েছে। তাদের কবর হাতে নিয়ে ঘুরতে পারবেন না। বাড়িঘর হাতে নিয়ে যেতে পারবেন না। তাই সীমা অতিক্রম করবেন না।’
মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত মাকড়াই দিবস উপলক্ষে শনিবার বিকেলে কাদেরিরা বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা মহাসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘কে একজন বলেছেন বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা নন। বঙ্গবন্ধু যদি জাতির পিতা না হন, তাহলে আপনার পিতা কে? কোনো সন্তানের পিতা না থাকলে সে সন্তান সম্মানী সন্তান হয় না। সে সন্তান কুলাঙ্গার হয়। একটু ভেবেচিন্তে বলবেন।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নেতা বলেন, ‘যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছেন, শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছেন, আমি তাদের অন্তরের স্থল থেকে সমর্থন করি। কারণ, শেখ হাসিনার পতন আল্লাহর তরফ থেকে হয়েছে। আপনাদের মুরোদে শেখ হাসিনার পতন হয় নাই। জনগণ রাস্তায় নেমেছিল বলে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আপনারা যদি অন্যায় করতে যান, আমি কাদের সিদ্দিকী বেঁচে থাকতে তা লড়াই করব। আইন অনুযায়ী তার বিচার করুন তার শাস্তি দিন, মাথা পেতে নেব। শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা এক নয়। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে তত দিন জয় বাংলা থাকবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূসকে আমি সম্মান করতাম। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভেঙেছে আপনি দেখেছেন, আপনার গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে সমস্ত সরকার বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল, আমি কাদের সিদ্দিকী না দাঁড়ালে আপনার অর্ধেক গ্রামীণ ব্যাংক মাটির নিচে চলে যেত। আপনার এক বছরের শাসনে সেটি আর হৃদয় থেকে নিতে পারছি না। আপনাকে আবার আমি অনুরোধ করছি, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না দিলে এবং নির্বাচন করতে না পারলে শেখ হাসিনার চাইতে আপনার পরিণতি ১০ গুণ খারাপ হবে।’
মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে খেতাবপ্রাপ্ত এই বীর বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। তাঁদের সম্মানী এক লাখ টাকা করতে হবে। তবে এ বছরই তাঁদের সম্মানী ৫০ হাজার করার দাবি জানাচ্ছি। আমরা ভিক্ষা চাই না, সম্মানী চাই। যুদ্ধ বড় কঠিন জিনিস। যখন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, জীবনের মায়াও ছিল না। আমি কোনো দারোগা-পুলিশকে ভয় পাই না। আমি আল্লাহ ও রাসুলকে ভয় করি।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা আর মুক্তিযুদ্ধ এক না, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর শেখ হাসিনা এক না। গোপালগঞ্জের শেখ লুৎফর রহমানের পুত্র শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা বানিয়েছি বুকের তাজা রক্ত দিয়ে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যায়নি, তিন বাহিনীর সহযোগিতায় যুদ্ধবিমানে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
মুক্তিযুদ্ধের সাবেক জেলা কমান্ডার ফজলুল হক বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঘাটাইল উপজেলার সাবেক কমান্ডার এমদাদুল হক খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন, হুমায়ুন বাংগাল, ঘাটাইল উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান প্রমুখ। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কৃষক জনতার লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজারে সরকারি সফরে এসে ‘অসুস্থ হয়ে পড়ায়’ সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার পরপরই তাকে নিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
৩০ মিনিট আগেরবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) আগামী একনেক সভায় অনুমোদনের দাবিতে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অংশ নেওয়া দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
৩৯ মিনিট আগেরংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিখোঁজের এক দিন পর অবৈধ বালু পয়েন্টে দুই শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এজাহারনামীয় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৩। গ্রেপ্তার মনু মিয়া (২৮) উপজেলার সিটপাইকন এলাকার আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেযশোরের শার্শা উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় আব্দুল হামিদ (৪০) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের শার্শা বাজারে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নুর ইসলাম (৫৫) নামের আরেকজন আহত হন।
২ ঘণ্টা আগে