Ajker Patrika

সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, যমুনায় আরও ১২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি

প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ 
সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, যমুনায় আরও ১২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি

সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি আরও ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার সময় বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। একই সময় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ রিডার আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন। 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন জানান, জেলার যমুনা নদীর পানি সকল পয়েন্টেই বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পানি বাড়ার কথা জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।

এদিকে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদী চলনবিল, ইছামতি, করতোয়া, ফুলজোড়, হুরাসাগর ও বড়াল নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। বন্যা কবলিত মানুষদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। বসত বাড়িতে পানি ওঠায় ঘরের বেড়া ও গৃহস্থালি জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে পড়েছে। ঘরে থাকা চৌকি তলিয়ে যাওয়ায় চৌকি উঁচু করে ও মাচা তৈরি করে বসবাস করতে হচ্ছে। সারাক্ষণ পানিতে থাকায় হাত-পায়ে ঘা সহ পানিবাহিত নানা রোগ দেখা দিচ্ছে। বন্যার কারণে কাজকর্ম করতে না পারায় জরুরি ওষুধ ও খাদ্য কিনতে পারছেন না অসহায় মানুষেরা। বসতবাড়িতে পানি ওঠায় ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেকেই বাঁধ ও উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নৌকায় চলাচল করছে বন্যার্তরা। 

পানি বাড়ার সঙ্গে নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। এ অবস্থায় নির্ঘুম রাত কাটছে নদী পাড়ের মানুষদের।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, এরই মধ্যে পাঁচটি উপজেলায় ৮০ মেট্রিকটন চাল ও প্রতিটি ইউনিয়নে ৭০ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। 

বর্তমানে পানিতে আউশ ধান, পাট এবং সবজি খেত তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। গো চারণভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবু হানিফ বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ৪ হাজার ৩৬২ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ফসলের মধ্যে রয়েছে রোপা আমন, বোনা আমন, আগাম সবজি, আখ, বীজতল ও বাদাম। আমরা এসব ক্ষতি প্রাথমিকভাবে নিরপন করছি। বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হবে।’  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পত্রিকায় নিবন্ধ লেখার পর বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তাকে ফেরত নেওয়ার অনুরোধ কাতারের

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার অগ্রগতি জানাবে ইউজিসি

বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল যুক্তরাষ্ট্র

শেখ হাসিনার ‘ফেরার পরিকল্পনা’ ঘিরে গোপন বৈঠক, গ্রেপ্তার ২২ নেতা-কর্মী কারাগারে

পর্যটকদের জন্য দ্বার খুলে দিচ্ছে বিশ্বের অন্যতম নিঃসঙ্গ একটি দেশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত