মাদারীপুর প্রতিনিধি
১৪ দিন মানসিক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সেই ষাটোর্ধ্ব খলিল শেখ। তাঁর বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের বৌল গ্রামে। বাড়িতে ফিরে তাঁর দাবি, কখনই মানসিক রোগী ছিলেন না তিনি। সম্পত্তি লিখে নিতে স্ত্রী-সন্তানেরা তাঁকে পাগল সাজিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যরা ভুল বুঝতে পেরেছে এ কারণে তাঁদের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই তাঁর। আজ রোববার সকালে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের কাছে এসব নিয়ে কথা বলেন তিনি।
সম্পত্তি বেহাত হওয়ার আশঙ্কায় স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে মিলে খলিল শেখকে গত ১০ সেপ্টেম্বর নির্যাতন করে পাবনার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করান। তাঁকে নির্যাতন করে নিয়ে যাওয়ার ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। নির্যাতনের শিকার খলিল শেখ ওই গ্রামের মৃত নুরুউদ্দিন শেখের ছেলে।
খলিল শেখের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ক্লিনিকের চিকিৎসকেরা খলিল শেখকে সুস্থ বলে জানিয়েছেন। খালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ আলম হামিদুর রহমানের সহযোগিতায় স্থানীয় মেম্বার সাগর হোসেন, যুবলীগ নেতা রেজওয়ান হোসেন ও খলিল শেখের দুই ছেলে নাজমুল শেখ ও আসিব শেখ ক্লিনিক থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন।
বাড়ি ফিরে খলিল শেখ সাংবাদিকদের বলেন, আমি কখনোই পাগল ছিলাম না। সম্পত্তির জন্য আমার স্ত্রী ও সন্তানেরাই আমাকে কুকুরের মতো বেঁধে পাগল সাজিয়ে পাবনা নিয়ে গেছে। আমি সুস্থ স্বাভাবিক একজন মানুষ। আমি হজ করেছি। স্ত্রী ও সন্তানেরা ভাবছে, আমার সম্পত্তি আমি অন্য কারও নামে লিখে দিব। সেটা তাদের ভুল ধারণা। এখন তাদের ধারণা পাল্টেছে, তাই বাড়িতে আনছে। আমি ওদের সঙ্গেই থাকব। ওদের ছাড়া আমার তো কেউ নাই।
খলিল শেখ আরও বলেন, আমি প্রায় ১২ বছর বিদেশে থেকেছি। আমার ১০ থেকে ১২ বিঘা জমি আর একটা বিল্ডিং আছে। কিছুদিন আগে একটা জমি বিক্রি করে ৭ লাখ টাকা পরিবারকে দিয়েছি। ওরা (স্ত্রী-সন্তান) আমার সব সম্পত্তি লিখে দিতে মাঝে মধ্যেই চাপ দিচ্ছিল। রাজি না হওয়ায় আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করত। কিন্তু তাতেও রাজি হইনি। কারণ আমি মরে গেলে তো ওরাই এসব সম্পত্তির মালিক হবে। আগে কেন লিখে দিব?
হাসপাতালের কেমন ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে হাসপাতালেও নির্যাতন করা হইছে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই জায়গায় পুলিশের পিকআপ দেখে চিৎকার দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু চিৎকার দিলে পুলিশ আমার বউ-ছেলেমেয়েদের ধরে আমার চোখের সামনে মারতো, এটা আমি সহ্য করতে পারব না ভেবে চিৎকার দেইনি। এখন আমার মরে যেতে ইচ্ছে করে।
এদিকে খলিল শেখের ছোট ছেলে আসিব শেখ বলেন, আমার বাবা অসুস্থ ছিল, সুস্থ হওয়ায় পাবনা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসছি। তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। তিনি আমাদের সঙ্গে বাড়িতে থাকবেন। কেউ যাতে তাঁকে প্ররোচনা না দিতে পারে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখব। আমাদের কাছের আত্মীয়-স্বজনেরা তাঁর কাছ থেকে সম্পত্তি লিখে নেওয়ার চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু তাঁরা সফল হতে পারে নাই।
তবে খলিল শেখের ছোট ভাই তারা মিয়া বলেন, আমরা সম্পত্তি লিখে নিতে চাই নাই। বরং তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরা মিলে আমার ভাইকে নির্মম নির্যাতন করে পাগল সাজিয়েছিল। এখন অন্তত বাড়িতে আনছে, এতেই আমরা খুশি। আমার ভাই চাইলে আমাদের সঙ্গেও থাকতে পারে। তার ইচ্ছেতেই আমাদের খুশি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে রাজৈর থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, নিখোঁজের বিষয় খলিল শেখের ছোট ভাই সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। তিনি এখন বাড়িতে এসেছেন। আর এসব বিষয়ে পুলিশের কিছু করার নেই। তবে খলিল শেখ যদি তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি আনোয়ার হোসেন।
১৪ দিন মানসিক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সেই ষাটোর্ধ্ব খলিল শেখ। তাঁর বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের বৌল গ্রামে। বাড়িতে ফিরে তাঁর দাবি, কখনই মানসিক রোগী ছিলেন না তিনি। সম্পত্তি লিখে নিতে স্ত্রী-সন্তানেরা তাঁকে পাগল সাজিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যরা ভুল বুঝতে পেরেছে এ কারণে তাঁদের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই তাঁর। আজ রোববার সকালে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের কাছে এসব নিয়ে কথা বলেন তিনি।
সম্পত্তি বেহাত হওয়ার আশঙ্কায় স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে মিলে খলিল শেখকে গত ১০ সেপ্টেম্বর নির্যাতন করে পাবনার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করান। তাঁকে নির্যাতন করে নিয়ে যাওয়ার ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। নির্যাতনের শিকার খলিল শেখ ওই গ্রামের মৃত নুরুউদ্দিন শেখের ছেলে।
খলিল শেখের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ক্লিনিকের চিকিৎসকেরা খলিল শেখকে সুস্থ বলে জানিয়েছেন। খালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ আলম হামিদুর রহমানের সহযোগিতায় স্থানীয় মেম্বার সাগর হোসেন, যুবলীগ নেতা রেজওয়ান হোসেন ও খলিল শেখের দুই ছেলে নাজমুল শেখ ও আসিব শেখ ক্লিনিক থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন।
বাড়ি ফিরে খলিল শেখ সাংবাদিকদের বলেন, আমি কখনোই পাগল ছিলাম না। সম্পত্তির জন্য আমার স্ত্রী ও সন্তানেরাই আমাকে কুকুরের মতো বেঁধে পাগল সাজিয়ে পাবনা নিয়ে গেছে। আমি সুস্থ স্বাভাবিক একজন মানুষ। আমি হজ করেছি। স্ত্রী ও সন্তানেরা ভাবছে, আমার সম্পত্তি আমি অন্য কারও নামে লিখে দিব। সেটা তাদের ভুল ধারণা। এখন তাদের ধারণা পাল্টেছে, তাই বাড়িতে আনছে। আমি ওদের সঙ্গেই থাকব। ওদের ছাড়া আমার তো কেউ নাই।
খলিল শেখ আরও বলেন, আমি প্রায় ১২ বছর বিদেশে থেকেছি। আমার ১০ থেকে ১২ বিঘা জমি আর একটা বিল্ডিং আছে। কিছুদিন আগে একটা জমি বিক্রি করে ৭ লাখ টাকা পরিবারকে দিয়েছি। ওরা (স্ত্রী-সন্তান) আমার সব সম্পত্তি লিখে দিতে মাঝে মধ্যেই চাপ দিচ্ছিল। রাজি না হওয়ায় আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করত। কিন্তু তাতেও রাজি হইনি। কারণ আমি মরে গেলে তো ওরাই এসব সম্পত্তির মালিক হবে। আগে কেন লিখে দিব?
হাসপাতালের কেমন ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে হাসপাতালেও নির্যাতন করা হইছে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই জায়গায় পুলিশের পিকআপ দেখে চিৎকার দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু চিৎকার দিলে পুলিশ আমার বউ-ছেলেমেয়েদের ধরে আমার চোখের সামনে মারতো, এটা আমি সহ্য করতে পারব না ভেবে চিৎকার দেইনি। এখন আমার মরে যেতে ইচ্ছে করে।
এদিকে খলিল শেখের ছোট ছেলে আসিব শেখ বলেন, আমার বাবা অসুস্থ ছিল, সুস্থ হওয়ায় পাবনা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসছি। তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। তিনি আমাদের সঙ্গে বাড়িতে থাকবেন। কেউ যাতে তাঁকে প্ররোচনা না দিতে পারে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখব। আমাদের কাছের আত্মীয়-স্বজনেরা তাঁর কাছ থেকে সম্পত্তি লিখে নেওয়ার চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু তাঁরা সফল হতে পারে নাই।
তবে খলিল শেখের ছোট ভাই তারা মিয়া বলেন, আমরা সম্পত্তি লিখে নিতে চাই নাই। বরং তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরা মিলে আমার ভাইকে নির্মম নির্যাতন করে পাগল সাজিয়েছিল। এখন অন্তত বাড়িতে আনছে, এতেই আমরা খুশি। আমার ভাই চাইলে আমাদের সঙ্গেও থাকতে পারে। তার ইচ্ছেতেই আমাদের খুশি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে রাজৈর থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, নিখোঁজের বিষয় খলিল শেখের ছোট ভাই সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। তিনি এখন বাড়িতে এসেছেন। আর এসব বিষয়ে পুলিশের কিছু করার নেই। তবে খলিল শেখ যদি তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি আনোয়ার হোসেন।
ঈদের দিন বিকেলে খেলতে ছিল হামজা। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় শিশুটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে তাকে পুকুর পানিতে ভাসতে দেখেন স্বজনেরা। পরে দ্রুত উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
৬ মিনিট আগেআসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
১ ঘণ্টা আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেমোর্শেদুর রহমান কামাল বলেন, ‘আজকে ঈদের দিন। সবাই আনন্দ করতাছে। আর আমি আমার পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন নিয়া পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতেছি। আমার জানা মতে তো কোনো শত্রু নেই। তাইলে কেডা আমার এই ক্ষতিটা করল। দুই পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল আমার। সব মইরা শেষ। ১৫ বছরের জমানো পুঁজি সব শেষ।
২ ঘণ্টা আগে