Ajker Patrika

রাজশাহীতে বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে সনাতনীদের মিলনমেলা পণ্ড করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
গোদাগাড়ী উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
গোদাগাড়ী উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীতে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মিলনমেলা পণ্ড করার অভিযোগ উঠেছে। জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী খেতুরী ধামে গত শুক্রবার এ মিলনমেলা হওয়ার কথা ছিল। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত মিলনমেলাটি হয়নি।

গোদাগাড়ী উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছে, গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এহসানুল কবির টুকুর কারণে অনুষ্ঠানটি হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক উপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।

উপেন্দ্রনাথ মণ্ডল দাবি করেন, শুক্রবার খেতুরী ধামে ওই অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। খেতুরী ধাম ট্রাস্টি বোর্ড অনুষ্ঠানের অনুমতিও দিয়েছিল। কিন্তু আগের দিন বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এহসানুল কবির টুকু অনুষ্ঠান আয়োজনে বাধা দেন। তিনি সহদেব কুমার পান্না নামের এক ভক্তকে মারধর করে ধাম থেকে বের করে দেন। পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এহসানুল কবির টুকু বলেন, ‘১০ জুন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার আমাকে ফোন করে জানান, তাঁরা একটা প্রোগ্রাম করবেন। এখানে কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আসবেন। বৃহস্পতিবার আমি মন্দিরে প্রস্তুতি দেখতে যাই। সেখানে গিয়ে সহদেব কুমার পান্নাকে দেখতে পাই। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁকে আমি চলে যেতে বলেছিলাম। কারণ, এটা বিএনপির প্রোগ্রাম। আওয়ামী লীগ বিশৃঙ্খলা করতে পারে।’

তবে সহদেব কুমার পান্নাকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন এহসানুল কবির টুকু। তিনি দাবি করেন, ‘বিএনপির দুই নেতা বিশ্বনাথ সরকার ও দেবাশীষ রায় মধু ধামের ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ন্ত্রণে নিতে চান। নানা অনিয়মের কারণে ৫ আগস্টের পর ট্রাস্টি বোর্ড থেকে সুনন্দন দাস রতন নামের একজনকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতারা এই রতনের গাড়িতে চড়েন। রতন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর খুবই ঘনিষ্ঠ। দলীয় পদে আছেন। উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন। আমাদের নেতারা এখন আবার এই রতনকেই ট্রাস্টি বোর্ডে প্রতিষ্ঠিত করতে চান।’

জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার বলেন, ‘আমি রতনকে চিনিই না। তাঁর গাড়িতে চড়ার প্রশ্নই ওঠে না। সহদেব কুমার পান্নাকেও চিনি না। সে আওয়ামী লীগ করুক, আর যা-ই করুক, সে একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী হিসেবে মন্দিরে যেতেই পারে। সেখানে অন্য ধর্মের লোক হয়ে টুকু তাঁকে কীভাবে বের করে দিতে পারে?’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত