Ajker Patrika

ভিজিডি কার্ড ভাগাভাগি বিএনপি-জামায়াতের, নালিশ নিয়ে ইউএনওর কাছে এনসিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮: ৫৪
কার্ড ভাগাভাগির অভিযোগ নিয়ে পুঠিয়ার ইউএনওর কার্যালয়ে এনসিপি। ছবি: সংগৃহীত
কার্ড ভাগাভাগির অভিযোগ নিয়ে পুঠিয়ার ইউএনওর কার্যালয়ে এনসিপি। ছবি: সংগৃহীত

ইউনিয়ন পরিষদে ঝুঁকিপূর্ণ নারী উন্নয়ন কর্মসূচির (ভিজিডি) মোট কার্ড এসেছে ৪০০টি। এর মধ্যে বিএনপি ৩০০টি আর জামায়াতে ইসলামী ৯০টি কার্ড নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আজ বুধবার রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে নালিশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

উপজেলার বেলপুকুর ইউপির ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ নিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। জোর করে পদত্যাগ করানো কিংবা মারধরের ভয়ে ইউপি কার্যালয়ে যাননি চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান। এনসিপির নেতারা তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েও আজ তাঁকে ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। বদিউজ্জামান আওয়ামী লীগের নেতা।

আজ সকালে কয়েকজন নেতা-কর্মীকে নিয়ে এনসিপির রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী শামীমা সুলতানা মায়া ইউএনও এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝরের কার্যালয়ে যান। তিনি অভিযোগ করেন, বেলপুকুরে ভিজিডির কার্ড ভাগাভাগি হয়ে গেছে। এতে প্রকৃত দুস্থরা বঞ্চিত হবেন। তিনি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ইএনওর প্রতি অনুরোধ জানান। পরে ইউএনওর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে এসে শামীমা ইউপি চেয়ারম্যান বদিউজ্জামানকে ফোন করেন। এ সময় চেয়ারম্যান তাঁকে বলেন, বিএনপি-জামায়াত কার্ড ভাগাভাগি করে নিয়েছে। তিনি ভয়ে ইউপি কার্যালয়ে যাননি। এ সময় শামীমা তাঁকে আশ্বাস দেন, তিনি পুলিশ নিয়ে যাচ্ছেন। চেয়ারম্যানও যেন আসেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চেয়ারম্যান যাননি।

ইউএনওর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে এনসিপি নেত্রী শামীমা সুলতানা মায়া বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নাকি বেলপুকুর ইউপির সব কার্ড ভাগাভাগি করে নিয়েছে। চেয়ারম্যানকে চাপ প্রয়োগ করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? এই জুলাই অভ্যুত্থানের পরও কেন স্বৈরাচারী ব্যবস্থা থাকবে? সে জন্যই আমরা অভিযোগ জানাতে এসেছিলাম।’

যোগাযোগ করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘আমার ৯টা ওয়ার্ডের জন্য কার্ড এসেছে ৪০০টি। এই কার্ডের জন্য ১ হাজার ৬৫৭ জন আবেদন করেছেন। প্রতিটি ওয়ার্ডের সদস্যরা যাচাই-বাছাই করে তালিকা ইউনিয়ন কমিটিতে আনার কথা। ইউনিয়ন কমিটি এই তালিকা উপজেলা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য পাঠাবে। কিন্তু আমরা সেটা পারিনি।’ তিনি জানান, কয়েক দিন ধরেই বিএনপি-জামায়াতের নেতারা এসে তালিকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ফলে তালিকা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। পাঁচ-সাত দিন আগেই সময় শেষ হয়ে গেলেও তিনি তালিকা করতে পারেননি। তিনি ইউএনওকে বলে দিয়েছিলেন, উপজেলায় লটারি করার জন্য। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম ইউএনওর কাছে যান। তিনি লটারি না করে সমঝোতার মাধ্যমে তালিকা করার অনুমতি নিয়ে আসেন। এরপর তাঁরা সবাই মিলে বসে তালিকা চূড়ান্ত করেন। চেয়ারম্যান আরও জানান, ৪০০ জন উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচত হবেন। তবে অপেক্ষমাণ আরও ৪০ ধরে ৪৪০ জনের তালিকা দিতে হয়। বিএনপি-জামায়াত নেতারা সিদ্ধান্ত নেন, বিএনপি ৩০০ জনের তালিকা দেবে। আর ৯০ জনের তালিকা দেবে জামায়াত। ইউপি সদস্যরা চারটি করে কার্ড পাবেন। সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা পাবেন একটি করে। আর কয়েকটা কার্ড গ্রাম পুলিশ, দফাদার ও ইমামদের জন্য চেয়ারম্যান পাবেন। এমন সিদ্ধান্তের পর ইউপি সদস্যরা হতাশ হয়ে পড়েন। তিনি নিজেও হতাশ হন।

বদিউজ্জামান বলেন, ‘হতাশ হয়ে কাল থেকে বাড়িতে আছি। এর মধ্যেই আমাকে বিভিন্নজন ফোন করে বলেছে যে কাল কারা যেন পরিষদে আসবে। কার্ড ভাগাভাগি করে দেওয়ার জন্য আমাকে জোর করে পদত্যাগ করাবে। পরিষদ থেকে তাড়িয়ে দেবে। লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়ে আজ পরিষদে যাইনি। সকালে ২০-২৫ জন পরিষদে গিয়ে সবাইকে তালা দিয়ে চলে যেতে বলে। ভয়ে কর্মচারীরা তালা দিয়ে বের হয়ে যায়। আমি ইউএনওকে আবার লটারি করে দেওয়ার জন্য বলেছি। এখন লটারিই হবে।’

জানা গেছে, এই ভাগাভাগিতে বিএনপির পক্ষে ছিলেন ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার, আর জামায়াতের পক্ষে ছিলেন দলটির নেতা ও শিক্ষক ফাইসুল ইসলাম। বিএনপি নেতা আবু বাক্কার বলেন, ‘আমরা তো সবাই মিলেই ভাগযোগ করলাম। সবাই মেনে নিলাম। জামায়াতের যে চাহিদা ছিল ৯০টা, সেটিও দেওয়া হয়েছে। এখন কে ঝামেলা করছে, তা তো জানি না।’ বিষয়টি নিয়ে জামায়াত নেতা ফাইসুলের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

পুঠিয়ার ইউএনও এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, ‘কার্ডের যে ভাগাভাগি, সেটা এনসিপি চায় না। সেই দাবি নিয়ে তারা আমার কাছে এসেছিল। আমি বলেছি, ইউনিয়ন পরিষদ যদি না পারে, তাহলে লটারি হবে। ইউনিয়ন যাচাই-বাছাই কমিটি আমাদের লিখিতভাবে জানালে উপজেলা কমিটি লটারি করার ব্যবস্থা নেবে। তখন আর কোনো সমস্যা হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় বিদ্যুতায়িত হয়ে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি 
মো. রায়হানুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
মো. রায়হানুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার শেরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে মো. রায়হানুল ইসলাম (৩২) ওরফে রানা নামের এক পুলিশ কনস্টেবল মারা গেছেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের নগরআরা এলাকার নিজ বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রায়হানুল ইসলাম মৃত শাহ্ আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি সর্বশেষ জয়পুরহাটের কালাই থানায় কর্মরত ছিলেন। আজ শনিবারই তাঁর ঢাকায় নৌ পুলিশে যোগদানের কথা ছিল।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুপুরের দিকে তিনি নিজ বাড়িতে বিদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ বিদ্যুতায়িত হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বোন সাম্মী আক্তার জানান, নতুন কর্মস্থলে যোগদানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁর ভাই। এমন সময়ে এ দুর্ঘটনায় পুরো পরিবার শোকাহত।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুদ্দিন জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা রুজু করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৩১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

এক ব্যক্তিকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে, আর আটক বাবাকে জড়িয়ে ধরে তাঁর সাত থেকে আট বছর বয়সী মেয়ে কাঁদছে। এমন সময় ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন চড় মারে, সেটি শিশুটির গালে পড়ে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওর এই দৃশ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

পুলিশ বলছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে রুস্তমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের কোনো সদস্য শিশুটিকে চড় মারেননি। ঘটনাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে তারা।

গত বৃহস্পতিবার ভোরে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত দুই পক্ষের মারামারির সময় ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে মো. জাহিদ (২০) নামের এক তরুণ নিহত হন। সেদিন সন্ধ্যায়ই সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। তখন রুস্তমকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, রুস্তমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মেয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে। এ সময় ভিড়ের মধ্যে থাকা কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। পরে শিশুটিকে বাবার কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওর কমেন্টে অনেকে লেখেন, একজন মানুষ অপরাধ করলে তাঁকে পুলিশ ধরে নিয়ে যেতেই পারে। কিন্তু আসামিকে মারধর করা মানবাধিকার লঙ্ঘন। অথচ এ ঘটনায় পুলিশের সামনেই তাঁর বাচ্চা মেয়ে মারধরের শিকার হলো!

কেউ কেউ লেখেন, ছোট্ট বাচ্চার সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। কেউ কেউ আবার রুস্তমকে আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) কর্মী দাবি করে তাঁরও সমালোচনা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তিন বস্তা টাকা জমানো সেই ভিক্ষুক মারা গেছেন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
ভিক্ষুক সালেহার জমানো টাকা গুনছে এলাকাবাসী। ছবি: ফাইল ফটো
ভিক্ষুক সালেহার জমানো টাকা গুনছে এলাকাবাসী। ছবি: ফাইল ফটো

সিরাজগঞ্জে ভিক্ষা করে তিন বস্তা টাকা জমিয়ে আলোচনায় আসা সালেহা বেগম (৬৫) মারা গেছেন। স্থানীয়ভাবে সবাই তাঁকে ‘সালে পাগলী’ নামে চিনতেন। গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে জানাজা শেষে তাঁকে সিরাজগঞ্জ শহরের কান্দাপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে সালেহা বেগমকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নর্থবেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হয়ে বগুড়ার শজিমেকে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁর লিভার ক্যানসার শনাক্ত করেন।সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহরিয়ার শিপু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সালে পাগলী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। গতকাল তিনি মারা গেছেন, আজ জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। জমানো টাকা তাঁর মেয়েকে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মাছুমপুর নতুনপাড়ায় সালেহা বেগমের বসতঘর থেকে দুই দিনের ব্যবধানে তিন বস্তা টাকা উদ্ধার করে এলাকাবাসী। উদ্ধার হওয়া ব্যবহারযোগ্য টাকার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৯ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় পিকআপ-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৫৬
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার ইসলামনগর দরগাপাড়া কবরস্থান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোটরসাইকেল আরোহী হলেন রিয়াদ উদ্দিন মিয়া (৩১) ও মূসা মোল্লা (২৮)। রিয়াদ মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার মজুমদারকান্দি এলাকার আলিয়ার রহমান মিয়ার ছেলে এবং মূসা একই উপজেলার ঘোষেরকান্দি এলাকার দেলোয়ার মোল্লার ছেলে। আহতেরা হলেন সোহান আকন (৩০) ও তাঁর স্ত্রী অথৈ (২৩)।

পুলিশ জানায়, মাদারীপুর থেকে রিয়াদ, মূসা মোল্লা, সোহান ও তাঁর স্ত্রী দুটি মোটরসাইকেলে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মোটরসাইকেল দুটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ইসলামনগর দরগাপাড়া কবরস্থান এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন আহত হন। পুলিশ ও স্থানীয়রা আহত তিনজনকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াদকে মৃত ঘোষণা করেন। আরেক আহত যুবক মূসাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে নিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। অপরজনের চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত