গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরে অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রীর মরদেহ ও পাশ থেকে চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীর ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পুয়ালশিরা দড়িপাড়া এলাকার ইচ্ছামুদ্দিনের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম মরিয়ম (১৫)। মরিয়ম পুয়ালশিরা দড়িপাড়া গ্রামের প্রবাসী সেলিম প্রামাণিকের মেয়ে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
চিরকুটে রয়েছে—‘আমি স্কুল থেকে আত্মহত্যা করছি। এটার জন্য আমার বিদ্যালয়ের কেউ দায় নেই। আমার পরিবারের কেউ নেই। আমি আমার জীবন নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠেছি। আমি আমার পরিবারে সুখ দিয়ে যাচ্ছি। আমার বাপের উপর বোঝা হয়ে থাকতে চাই না।’ শেষে মরদেহটি পৌঁছে দেওয়ার জন্য ঠিকানাও লেখা রয়েছে সেই চিরকুটে।
স্থানীয় ও প্রতিবেশীরা বলছে, ওই শিক্ষার্থীর দুইবার বিয়ে হয়। স্কুলে পড়া অবস্থায় নিজ ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে প্রথম বিয়ে হয় তার। সেখানে সংসার জীবনে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদ ঘটে। পরেরবার শিক্ষার্থীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় চকপাড়া গ্রামে সাঈদ নামের এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। সেখানেও সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় নিজ বাড়িতে বেড়াতে এসে স্বামীর বাড়িতে আর ফেরেনি সে। এভাবে কাটে প্রায় ৬ মাস। পরে আবার স্কুলে যেতে থাকে ওই শিক্ষার্থী। স্বামীর বাড়িতে ফিরে যেতে না চাওয়ায় ওই শিক্ষার্থীকে চাপ দিতে থাকে বাড়ির লোকজন। এ নিয়ে প্রায়ই মেয়েটির সঙ্গে বড় ভাই মানিকসহ পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটত।
এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর মা আমেনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে এভাবে আত্মহত্যা করবে ভাবতে পারি নাই। স্বামীর ঘর ছেড়ে আসায় আমি তাকে আবার স্কুলে যেতে বলি। সে নিয়মিত স্কুলে যেত। সেদিন মেয়ের সাথে পরিবারের কারও কোনো রকম ঝগড়ার ঘটনা ঘটেনি। মেয়েটি অভিমান করে এভাবে চলে যাবে ভাবতে পারি নাই।’
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। শিক্ষার্থীর মরদেহটি উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
নাটোরের গুরুদাসপুরে অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রীর মরদেহ ও পাশ থেকে চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীর ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পুয়ালশিরা দড়িপাড়া এলাকার ইচ্ছামুদ্দিনের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম মরিয়ম (১৫)। মরিয়ম পুয়ালশিরা দড়িপাড়া গ্রামের প্রবাসী সেলিম প্রামাণিকের মেয়ে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
চিরকুটে রয়েছে—‘আমি স্কুল থেকে আত্মহত্যা করছি। এটার জন্য আমার বিদ্যালয়ের কেউ দায় নেই। আমার পরিবারের কেউ নেই। আমি আমার জীবন নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠেছি। আমি আমার পরিবারে সুখ দিয়ে যাচ্ছি। আমার বাপের উপর বোঝা হয়ে থাকতে চাই না।’ শেষে মরদেহটি পৌঁছে দেওয়ার জন্য ঠিকানাও লেখা রয়েছে সেই চিরকুটে।
স্থানীয় ও প্রতিবেশীরা বলছে, ওই শিক্ষার্থীর দুইবার বিয়ে হয়। স্কুলে পড়া অবস্থায় নিজ ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে প্রথম বিয়ে হয় তার। সেখানে সংসার জীবনে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদ ঘটে। পরেরবার শিক্ষার্থীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় চকপাড়া গ্রামে সাঈদ নামের এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। সেখানেও সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় নিজ বাড়িতে বেড়াতে এসে স্বামীর বাড়িতে আর ফেরেনি সে। এভাবে কাটে প্রায় ৬ মাস। পরে আবার স্কুলে যেতে থাকে ওই শিক্ষার্থী। স্বামীর বাড়িতে ফিরে যেতে না চাওয়ায় ওই শিক্ষার্থীকে চাপ দিতে থাকে বাড়ির লোকজন। এ নিয়ে প্রায়ই মেয়েটির সঙ্গে বড় ভাই মানিকসহ পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটত।
এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর মা আমেনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে এভাবে আত্মহত্যা করবে ভাবতে পারি নাই। স্বামীর ঘর ছেড়ে আসায় আমি তাকে আবার স্কুলে যেতে বলি। সে নিয়মিত স্কুলে যেত। সেদিন মেয়ের সাথে পরিবারের কারও কোনো রকম ঝগড়ার ঘটনা ঘটেনি। মেয়েটি অভিমান করে এভাবে চলে যাবে ভাবতে পারি নাই।’
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। শিক্ষার্থীর মরদেহটি উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় দায়ের করা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা তিনটি হত্যা মামলার আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গাজীপুর আদালতে আনা হয়েছে।
৬ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় চারটি গাঁজার গাছসহ এক গাঁজা যুবককে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সাইজাল বরুন্ডি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭ মিনিট আগেমধ্যরাতে রাজধানীর হাজারীবাগের তিনটি ট্যানারি কারখানা পুড়ে ছাই হয়েছে। কারখানাগুলোর গুদামে প্রচুর পরিমাণ প্লাস্টিক পদার্থ ও কেমিক্যাল থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল বলে জানা গেছে। আজ রোববার সকালে স্থানীয়রা ও কারখানার কর্মচারী সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
২৩ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের টানমনিপুর এলাকায় বিল থেকে উদ্ধার হওয়া গলা কাটা মরদেহের পরিচয় শণাক্ত করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি মুজিবুর রহমান (৩৫) ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা। তিনি আশুগঞ্জের চরচারতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন।
৩৫ মিনিট আগে