Ajker Patrika

বগুড়ায় শজিমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত অন্তত ৮ 

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৪: ৫৫
বগুড়ায় শজিমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত অন্তত ৮ 

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) ক্যাম্পাসে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রদের দলে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয় পক্ষের কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। 

গতকাল বুধবার রাত ১১টার পর থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। এ সময় ছাত্রাবাসের নিচতলার পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। 

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আসিফের অনুসারী ধ্রুব, অনিক, শুভ ও হৃদয়। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন রনির অনুসারী ইমতিয়াজ, রেজা, ফুয়াদ ও অমিয়। তাঁদের শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকজন জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২৩ সালে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া (৩২ ব্যাচের) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে এসেছেন গত ২৮ মার্চ। এই শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগে ভেড়ানোর জন্য শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তৎপরতা শুরু করেন। নতুন শিক্ষার্থীদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতা-কর্মীরা যে যাঁর গ্রুপে ভেড়ানোর চেষ্টা করলে এক বছর সিনিয়র ৩১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বুধবার ইফতারের পর দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ নিয়ে রাত ১০টার দিকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি হয়। পরে যে যাঁর মত ছাত্রাবাসে ফিরে যান। রাত ১১টার পর তাঁরা ছাত্রাবাস থেকে বের হয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ছাত্রাবাসের নিচতলার পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।

বগুড়া শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সভাপতি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা প্রথমে আমার অনুসারী নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে শিক্ষকেরা এসে আমাদের উভয় পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের কিছু নেই। জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এর সূত্রপাত হয়েছে। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমার চার কর্মী আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।’

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর আসিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জুনিয়রেরা ক্যাম্পাসে আসার পর তাদের থাকা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। তবে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আমার কর্মীদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সংঘর্ষের সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না।’

এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাদের নিয়ে বসে বিরোধ নিষ্পত্তি করবেন মর্মে পুলিশকে জানিয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত