শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে ফুলজোড় নদীতে বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্য নিষ্কাশনের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়নের বেটখৈর সকাল বাজার এলাকার ফুলজোড় নদীর তীরে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে স্থানীয় শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। স্থানীয় ফুলজোড় নদী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সীমাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খান। বক্তব্য দেন মৎস্যচাষি তৌহিদুল ইসলাম বাবু, আবুল কালাম আজাদ, জয়নাল আবেদীন, আহসান হাবীব, হাসান উল বান্না সেতু, সতীশ হাওয়ালদার, হাসিনুর ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা আহসান হাবীব বলেন, ‘কোনো প্রকার আইনের তোয়াক্কা না করে শেরপুরে এসআর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড নামের দুটি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ৫ বছর ধরে মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরাসরি কারখানার বর্জ্য বাঙালি নদীতে ফেলা শুরু করে। এর পরে এসআর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড রাতের আঁধারে ট্যাংক লরিতে করে হাইড্রক্লোরিক অ্যাসিড মিশ্রিত বিষাক্ত বর্জ্য বাঙালি ও ফুলজোর নদীতে ফেলে। সম্প্রতি তারাও সরাসরি পাইপ লাইনের মাধ্যমে বর্জ্য নদীতে ফেলছেন। এর ফলে দুই নদীর উজান ও ভাটিতে কমপক্ষে ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পানি বিষাক্ত হয়ে গেছে।’
মৎস্যজীবী সতীশ হাওয়ালদার বলেন, ‘এলাকার প্রায় ৫০০ মৎস্যজীবী পরিবার এই ফুলজোড় বা বাঙালি নদীর ওপর নির্ভরশীল। এখন নদী মাছ শূন্য হয়ে গেছে। তাই আমরা বেকার হয়েছি। এমনকি খাবার মাছ পর্যন্ত কিনে খেতে হচ্ছে।’
বেটখৈর গ্রামের মুদি দোকানি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমার এক প্রতিবেশী নদীর বিষাক্ত পানি দিয়ে ধানের জমিতে সেচ দিয়েছে। এর ফলে তাঁর ধানের গাছ পুড়ে গেছে। সেই পানি আমার পুকুরে প্রবেশ করায় সব মাছ মারা গেছে। এতে আমার লক্ষাধিক টাকার মাছ মারা গেছে।’
এলাকার তরুণ মৎস্যচাষি তৌহিদুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আমি ফুলজোর নদীতে খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষ করি। ৩০টি খাঁচায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাছ ছিল। ৪ দিন আগে এসআর কেমিক্যালের বিষাক্ত বর্জ্যে সব মাছ মারা গেছে। এর আগেও প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ মারা গিয়েছিল। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হয়নি।’
তবে নদীতে বিষাক্ত বর্জ্য নিষ্কাশনের কথা অস্বীকার করেছেন এসআর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এর মহাব্যবস্থাপক সামসুজ্জামান সেন্টু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই কারখানায় পরীক্ষামূলকভাবে ক্লোরিন উৎপন্ন করা হয়। আমাদের বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা আছে। তাই বর্জ্য নদীতে ফেলার প্রশ্নই আসে না। এছাড়া এটা কারখানার মালিক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের নির্বাচনী এলাকা। তাই এলাকার মানুষের ক্ষতি হবে এমন কাজ না করার জন্য কড়া নির্দেশনা রয়েছে।’
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বগুড়ার শেরপুরে ফুলজোড় নদীতে বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্য নিষ্কাশনের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়নের বেটখৈর সকাল বাজার এলাকার ফুলজোড় নদীর তীরে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে স্থানীয় শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। স্থানীয় ফুলজোড় নদী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সীমাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খান। বক্তব্য দেন মৎস্যচাষি তৌহিদুল ইসলাম বাবু, আবুল কালাম আজাদ, জয়নাল আবেদীন, আহসান হাবীব, হাসান উল বান্না সেতু, সতীশ হাওয়ালদার, হাসিনুর ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা আহসান হাবীব বলেন, ‘কোনো প্রকার আইনের তোয়াক্কা না করে শেরপুরে এসআর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড নামের দুটি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ৫ বছর ধরে মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরাসরি কারখানার বর্জ্য বাঙালি নদীতে ফেলা শুরু করে। এর পরে এসআর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড রাতের আঁধারে ট্যাংক লরিতে করে হাইড্রক্লোরিক অ্যাসিড মিশ্রিত বিষাক্ত বর্জ্য বাঙালি ও ফুলজোর নদীতে ফেলে। সম্প্রতি তারাও সরাসরি পাইপ লাইনের মাধ্যমে বর্জ্য নদীতে ফেলছেন। এর ফলে দুই নদীর উজান ও ভাটিতে কমপক্ষে ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পানি বিষাক্ত হয়ে গেছে।’
মৎস্যজীবী সতীশ হাওয়ালদার বলেন, ‘এলাকার প্রায় ৫০০ মৎস্যজীবী পরিবার এই ফুলজোড় বা বাঙালি নদীর ওপর নির্ভরশীল। এখন নদী মাছ শূন্য হয়ে গেছে। তাই আমরা বেকার হয়েছি। এমনকি খাবার মাছ পর্যন্ত কিনে খেতে হচ্ছে।’
বেটখৈর গ্রামের মুদি দোকানি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমার এক প্রতিবেশী নদীর বিষাক্ত পানি দিয়ে ধানের জমিতে সেচ দিয়েছে। এর ফলে তাঁর ধানের গাছ পুড়ে গেছে। সেই পানি আমার পুকুরে প্রবেশ করায় সব মাছ মারা গেছে। এতে আমার লক্ষাধিক টাকার মাছ মারা গেছে।’
এলাকার তরুণ মৎস্যচাষি তৌহিদুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আমি ফুলজোর নদীতে খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষ করি। ৩০টি খাঁচায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাছ ছিল। ৪ দিন আগে এসআর কেমিক্যালের বিষাক্ত বর্জ্যে সব মাছ মারা গেছে। এর আগেও প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ মারা গিয়েছিল। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হয়নি।’
তবে নদীতে বিষাক্ত বর্জ্য নিষ্কাশনের কথা অস্বীকার করেছেন এসআর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এর মহাব্যবস্থাপক সামসুজ্জামান সেন্টু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই কারখানায় পরীক্ষামূলকভাবে ক্লোরিন উৎপন্ন করা হয়। আমাদের বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা আছে। তাই বর্জ্য নদীতে ফেলার প্রশ্নই আসে না। এছাড়া এটা কারখানার মালিক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের নির্বাচনী এলাকা। তাই এলাকার মানুষের ক্ষতি হবে এমন কাজ না করার জন্য কড়া নির্দেশনা রয়েছে।’
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৩ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৩ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৪ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৪ ঘণ্টা আগে