Ajker Patrika

রেলের টিকিট: অনলাইনে নিবন্ধনের জন্য নাটোর স্টেশনে ভিড় 

নাটোর প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৩, ১৩: ৫৫
রেলের টিকিট: অনলাইনে নিবন্ধনের জন্য নাটোর স্টেশনে ভিড় 

জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারের মাধ্যমে রেলের টিকিটিংকে সাদরে গ্রহণ করেছেন নাটোরের রেলযাত্রীরা। কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনই লাইনে দাঁড়িয়ে নতুন এই টিকিটিংয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন যাত্রীরা। সেই সঙ্গে টিকিট কালোবাজারি ও টিকিটবিহীন রেলভ্রমণ বন্ধে এই কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন যাত্রীসাধারণ ও রেল কর্মকর্তারা। 

আজ বুধবার সকাল থেকেই নাটোর রেলস্টেশনে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শতাধিক যাত্রীকে নতুন এই টিকিটিং পদ্ধতির জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে দেখা গেছে। এরপর থেকে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনো টিকিট বিক্রি করা হবে না বলে জানিয়েছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। 

নাটোর রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, নতুন প্রবর্তিত এই পদ্ধতিতে মোট টিকিটের ৫০ ভাগ অনলাইনে এবং ৫০ ভাগ কাউন্টার থেকে দেওয়া হবে। এই সেবা নিতে হলে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকিট পাওয়া যাবে না। পূর্বে যে কারও কেটে নিয়ে আসা টিকিট হলেই একজন যাত্রী রেলভ্রমণ করতে পারলেও এখন আর সেই সুযোগ থাকছে না। যাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করা হবে তাঁর নামেই টিকিট বরাদ্দ হবে। টিকিট না থাকলে ভ্রমণ করা যাবে না। বিনা টিকিটে কেউ ভ্রমণ করলে তাঁর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আবুল কালাম নামে একজন রেলযাত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই টিকিটিং ব্যবস্থাটাকে আমরা ভালো মনে করছি। যার যার এনআইডি ব্যবহার করে টিকিট ইস্যু হলে কালোবাজারি থেমে যাবে।’ 

নবীউর রহমান নামের আরেক যাত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে রেলভ্রমণ করছি না। তবে আজ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করলাম। ভারতসহ বিশ্বের প্রতিটি দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে। আমাদের দেশে শুরু হওয়াটাও ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।’ 

রোজিনা আক্তার নামে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের একজন যাত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ থেকে এনআইডি ব্যবহার করে টিকিট কিনতে হবে, তা আগে থেকে জানতাম। তাই প্রস্তুতি নিয়েই এসেছি। আমরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হই ঈদে। আমরা চাই ঈদে টিকিট কালোবাজারির অবসান হোক।’ 

নাটোর রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আজিজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল থেকেই নিয়মিত যাত্রীর পাশাপাশি অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করতে আসছেন। আমরা পর্যায়ক্রমে যাত্রীদের ও পরে জনসাধারণের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করছি। প্রথম দিকে কিছুটা চাপ মনে হলেও পরে তা ঠিক হয়ে যাবে। আমরা ধৈর্য ধরেই যাত্রীদের সেবা দিতে আগ্রহী। ঢাকা-রাজশাহী-খুলনা রুটের যাত্রীরা নতুন এই পদ্ধতির সুফল ভোগ করবেন খুব শিগগিরই। আমরা যাত্রীদের থেকেও সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত