শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়া শাজাহানপুরের গোহাইল ইউনিয়নের গোহাইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের (এফডাব্লিউসি) পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার (এফডাব্লউভি) বিরুদ্ধে সেবা দিতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে এফডাব্লিউসি এর বাস ভবনে অবস্থান করার নিয়ম থাকলেও তিনি থাকছেন না বলে অভিযোগ করা হয়।
গোহাইল ইউনিয়নের খাদাশ পশ্চিমপাড়া গ্রামের ইমাম শাহীদ আলমের স্ত্রী সুরমা আকতারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘গর্ভাবস্থায় সেবা নিতে আমি গোহাইল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে যাই। পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডাব্লউভি) মুক্তি পারভিন আমার থেকে ১২০ টাকা নেন। মুক্তি পারভিনের কথায় আমি মনে করেছিলাম টাকা দিয়েই হয়তো চিকিৎসা নিতে হয়।’
সুরমা আকতারের শ্বশুর মো. ইনছান আলী বলেন, ‘সুরমা আকতারের সঙ্গে সেদিন আমিও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে গিয়েছিলাম। পরে জানতে পারলাম অনেকের কাছ থেকেই টাকা নেওয়া হচ্ছে। আমার সামর্থ্য ছিল তাই টাকা দিয়েছি। কিন্তু বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে সবার কাছ থেকেই টাকা নেওয়া অন্যায়।’
পানিহালি মধ্যপাড়া গ্রামের আক্কাস আলীর স্ত্রী শাহিনুর বেগম বলেন, ‘৪ মাসের গর্ভাবস্থায় চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলাম। ৬ মাস না হলে চিকিৎসা দেওয়া যাবে না বলে মুক্তি পারভিন আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। পরে আমার থেকে ১২০ টাকা নিয়ে কার্ড করে চিকিৎসা দিয়েছেন।’
একই গ্রামের আজিবর রহমান মিঠুর স্ত্রী সুবর্ণা বেগম বলেন, ‘গর্ভাবস্থায় চিকিৎসা নিতে মুক্তি পারভিন আমার কাছ থেকেও ১২০ টাকা নিয়েছেন মুক্তি পারভিন।
অন্যান্যদের মতো টাকা দিয়েছেন একই গ্রামের আব্দুল মোমিনের স্ত্রী কুলছুমসহ অনেকেই। তাঁরা জানান, তাঁদের মতো সবাই টাকা দিয়ে গর্ভকালীন চিকিৎসা নিচ্ছে। টাকা না দিলে হয়রানি হতে হয়। এই শরীর নিয়ে এত দূর থেকে গিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ফিরে আসা কষ্টকর।
তাঁরা অভিযোগ করেন, সরকার তাঁদের জন্য ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র করে দিয়েছেন। সার্বক্ষণিক থেকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য বাস ভবনসহ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মুক্তি পারভিন সেই বাসভবনে থাকেন না। তাঁদের মতো গরিব মানুষের খুব প্রয়োজন হলেও কেন্দ্রে গিয়ে কাউকে পাওয়া যাবে না।
ফেরদাউসের স্ত্রী মৌসুমি আকতার বলেন, ‘মুক্তি পারভিন আমার কাছ থেকে ৫০০ টাকা চেয়েছিলেন। পরে ২০০ টাকা দিয়েছি। মুক্তি পারভিন নিজেই এই টাকা নেন। টাকা না দিলে এই কেন্দ্রে গর্ভাবস্থার চিকিৎসা মেলে না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মুক্তি পারভিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাদের বয়স কম ছিল তাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে।’
কত জনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের বাসভবনে অবস্থান করে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন না কেন এবং টাকা তোলার নিয়ম আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মুক্তি পারভিন বলেন, ‘আমি রোগী দেখছি তাই কথা বলতে পারব না। যদিও এর পরে তিনি আর কোনো কথা বলেননি।’
উপজেলা চিকিৎসক কর্মকর্তা (এমসিএইচ-এফপি) ডাক্তার আতিকুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে কেউ জানাইনি। বয়স যাইহোক টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বগুড়া পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, টাকা নেওয়ার ঘটনায় সত্যতা পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়া শাজাহানপুরের গোহাইল ইউনিয়নের গোহাইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের (এফডাব্লিউসি) পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার (এফডাব্লউভি) বিরুদ্ধে সেবা দিতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে এফডাব্লিউসি এর বাস ভবনে অবস্থান করার নিয়ম থাকলেও তিনি থাকছেন না বলে অভিযোগ করা হয়।
গোহাইল ইউনিয়নের খাদাশ পশ্চিমপাড়া গ্রামের ইমাম শাহীদ আলমের স্ত্রী সুরমা আকতারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘গর্ভাবস্থায় সেবা নিতে আমি গোহাইল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে যাই। পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডাব্লউভি) মুক্তি পারভিন আমার থেকে ১২০ টাকা নেন। মুক্তি পারভিনের কথায় আমি মনে করেছিলাম টাকা দিয়েই হয়তো চিকিৎসা নিতে হয়।’
সুরমা আকতারের শ্বশুর মো. ইনছান আলী বলেন, ‘সুরমা আকতারের সঙ্গে সেদিন আমিও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে গিয়েছিলাম। পরে জানতে পারলাম অনেকের কাছ থেকেই টাকা নেওয়া হচ্ছে। আমার সামর্থ্য ছিল তাই টাকা দিয়েছি। কিন্তু বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে সবার কাছ থেকেই টাকা নেওয়া অন্যায়।’
পানিহালি মধ্যপাড়া গ্রামের আক্কাস আলীর স্ত্রী শাহিনুর বেগম বলেন, ‘৪ মাসের গর্ভাবস্থায় চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলাম। ৬ মাস না হলে চিকিৎসা দেওয়া যাবে না বলে মুক্তি পারভিন আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। পরে আমার থেকে ১২০ টাকা নিয়ে কার্ড করে চিকিৎসা দিয়েছেন।’
একই গ্রামের আজিবর রহমান মিঠুর স্ত্রী সুবর্ণা বেগম বলেন, ‘গর্ভাবস্থায় চিকিৎসা নিতে মুক্তি পারভিন আমার কাছ থেকেও ১২০ টাকা নিয়েছেন মুক্তি পারভিন।
অন্যান্যদের মতো টাকা দিয়েছেন একই গ্রামের আব্দুল মোমিনের স্ত্রী কুলছুমসহ অনেকেই। তাঁরা জানান, তাঁদের মতো সবাই টাকা দিয়ে গর্ভকালীন চিকিৎসা নিচ্ছে। টাকা না দিলে হয়রানি হতে হয়। এই শরীর নিয়ে এত দূর থেকে গিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ফিরে আসা কষ্টকর।
তাঁরা অভিযোগ করেন, সরকার তাঁদের জন্য ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র করে দিয়েছেন। সার্বক্ষণিক থেকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য বাস ভবনসহ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মুক্তি পারভিন সেই বাসভবনে থাকেন না। তাঁদের মতো গরিব মানুষের খুব প্রয়োজন হলেও কেন্দ্রে গিয়ে কাউকে পাওয়া যাবে না।
ফেরদাউসের স্ত্রী মৌসুমি আকতার বলেন, ‘মুক্তি পারভিন আমার কাছ থেকে ৫০০ টাকা চেয়েছিলেন। পরে ২০০ টাকা দিয়েছি। মুক্তি পারভিন নিজেই এই টাকা নেন। টাকা না দিলে এই কেন্দ্রে গর্ভাবস্থার চিকিৎসা মেলে না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মুক্তি পারভিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাদের বয়স কম ছিল তাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে।’
কত জনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের বাসভবনে অবস্থান করে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন না কেন এবং টাকা তোলার নিয়ম আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মুক্তি পারভিন বলেন, ‘আমি রোগী দেখছি তাই কথা বলতে পারব না। যদিও এর পরে তিনি আর কোনো কথা বলেননি।’
উপজেলা চিকিৎসক কর্মকর্তা (এমসিএইচ-এফপি) ডাক্তার আতিকুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে কেউ জানাইনি। বয়স যাইহোক টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বগুড়া পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, টাকা নেওয়ার ঘটনায় সত্যতা পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
২১ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
২৩ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৩৮ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে