Ajker Patrika

রাজশাহীতে শিবির নেতা হত্যা মামলায় লিটনসহ সহস্রাধিক আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৪, ০৯: ৫৫
Thumbnail image

রাজশাহীতে সরকার পতনের আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা আলী রায়হানের (২৮) মৃত্যুর ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সদ্য সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এজাহারে মোট ৫০ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। 

এ ছাড়া মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও হাজার-বারো শ অজ্ঞাত নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে নিহত আলী রায়হানের ছোট ভাই রানা ইসলাম (২১) বাদী হয়ে নগরের বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি করেন। বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, তাঁর ভাই জেডু সরকার, নগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, যুবলীগের কর্মী জহিরুল হক রুবেল, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ ও শফিকুজ্জামান শফিক; সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাজীব, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবীন সবুজ, রাজশাহী কলেজের সভাপতি রাশিক দত্ত, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাফর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল গালিব ও সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার নাম রয়েছে।
 
এ ছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, মাহাতাব উদ্দীন, তৌহিদুল হক সুমন, শাহাদত হোসেন শাহু, আবদুল মমিন, সরিফুল ইসলাম বাবু, নিযাম-উল-আযীম ও আরমান আলী, যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান, আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান কালু ও আনোয়ার হোসেন রাজার নাম রয়েছে আসামির তালিকায়। 

ওসি মাসুদ পারভেজ জানান, নিহতের ভাই এজাহার নিয়ে এলে সোমবার রাতেই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা নম্বর-১৫। মামলা তদন্তের জন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালানো হবে। 

নিহত আলী রায়হান রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন। জেলার পুঠিয়া উপজেলার মঙ্গলপাড়া গ্রামের মুসলেম আলীর ছেলে রায়হান গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে নগরের আলুপট্টি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ আগস্ট তিনি মারা যান। পরদিন রাজশাহী কলেজ মাঠে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান তাঁর জানাজা পড়ান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত