Ajker Patrika

হুমকি পেয়ে সাত দিন আগেই জিডি করেন বিচারকের স্ত্রী, তবু খুন হলো ছেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ২১
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আবদুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে (১৬) কুপিয়ে হত্যা করা লিমন মিয়ার (৩৫) বিরুদ্ধে সাত দিন আগেই একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। লিমনের হামলায় আহত বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসী (৪৪) নিরাপত্তাহীনতার স্বার্থে সিলেটের জালালাবাদ থানায় জিডিটি করেছিলেন। তবে এ জিডির তদন্ত শুরু হয়নি।

৬ নভেম্বর করা এ জিডিতে তাসমিন নাহার লুসী উল্লেখ করেন, ‘কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সদস্য হওয়ায় লিমনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার পর সে আমার মোবাইল নম্বর নেয়। তার পরিবার আর্থিকভাবে কিছুটা দুর্বল হওয়ায় প্রায় সময় সে আমার কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিত। একটা পর্যায়ে লিমন প্রতিনিয়ত আমার কাছে সহযোগিতা চাইলে আমি তা করতে অপারগতা প্রকাশ করায় সে ফোন করে নানা রকম হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।’

জিডিতে আরও বলা হয়, ‘সর্বশেষ ৩ নভেম্বর সকালে লিমন আমার মেয়ের ফেসবুক মেসেঞ্জারে কল করে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনদের প্রাণে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। লিমন যেকোনো সময় আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করতে পারে বলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এই অবস্থায় ব্যক্তি নিরাপত্তার স্বার্থে জিডি করা একান্ত প্রয়োজন।’

যোগাযোগ করা হলে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মোবাশ্বির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জিডি হওয়ার পর আদালত থেকে তদন্তের অনুমতি নিতে হয়। আমরা জিডিটি আদালতে পাঠিয়েছি। তবে এখনো তদন্তের অনুমতি পাইনি। তাই জিডির তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।’

ওসি জানান, বিচারক আবদুর রহমানের মেয়ে বিবাহিত। তবে তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তাই সিলেটে মেয়ের কাছে ছিলেন তাসমিন নাহার লুসী। সেখানে থাকা অবস্থায় লিমন মিয়ার হুমকি পেয়ে তিনি থানায় জিডি করেছিলেন।

বিচারক আবদুর রহমানের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চকপাড়া গ্রামে। আর ঘাতক লিমন মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মদনেরপাড়া ভবানীগঞ্জ গ্রামে। তাঁর সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

পুলিশ বলছে, লিমন এ পরিবারের পূর্বপরিচিত। বিচারকের নিহত ছেলে সুমন রাজশাহী গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলে নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন হামলাকারী লিমন। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন হামলাকারী লিমন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিচারক আবদুর রহমান রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় স্পার্ক ভিউ নামের একটি দশতলা ভবনের পাঁচতলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। আজ বিকেলে ওই ফ্ল্যাটেই লিমনের হাতে খুন হয় বিচারকের নবম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন। আহত হন তার মা তাসমিন নাহার লুসী। হামলাকারী লিমন মিয়াও আহত হয়ে এখন হাসপাতালে।

স্পার্ক ভিউ ভবনের দারোয়ান মেসের আলী জানান, লিমন মিয়াকে তিনি আগে কখনো দেখেননি। বিচারককে ভাই পরিচয় দেওয়ায় তিনি তাঁকে ভেতরে ঢুকতে দেন। তবে এর আগে খাতায় তাঁর নাম ও মোবাইল নম্বর লিখিয়ে নেন। হাতে একটি ব্যাগ নিয়ে বেলা আড়াইটার দিকে ওই যুবক ফ্ল্যাটে যান। এর প্রায় ৩০ মিনিট পর ফ্ল্যাটের গৃহকর্মী তাঁকে এসে জানান যে, ফ্ল্যাটে বিচারকের ছেলে ও স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এর মধ্যে ভবনের অন্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারাও চলে আসেন। তাঁরা সবাই ফ্ল্যাটে ঢুকে তিনজনকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস জানান, ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাতের ফলে সুমনের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে আছে।

শংকর কে বিশ্বাস আরও জানান, বিচারকের স্ত্রীর ডান হাত, উরু ও বাম বাহুতে গুরুতর জখম দেখা গেছে। এ ছাড়া তাঁর ডান হাতের একটি রগ কেটে গেছে। চিকিৎসকদের একটি সমন্বিত দল অস্ত্রোপচার করেছেন। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি আরও জানান, লিমন মিয়ার ডান হাতে জখম ছিল, তবে সেটি গুরুতর নয়।

বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। তিনি জানান, হামলাকারী ব্যক্তির পকেটে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি চালক। তাঁর সঙ্গে পূর্ববিরোধ থাকতে পারে। হাসপাতালে তাঁকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সার্বিক ঘটনা তদন্ত করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাফুফের সহসভাপতি নাসেরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। ছবি: সংগৃহীত
নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি, ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর (মহুল) বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ১০-১২ জনের একটি দল ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ নিরাপত্তাকর্মীর।

বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী হাসান জনি বলেন, মাগরিবের আজানের সময় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১০-১২ জন হঠাৎ বাড়ির মধ্যে প্রবেশের চেষ্টা করে। দুজন ভেতরে গলিতে প্রবেশ করে বাড়ির প্রধান ফটকের ভেতরে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল, চেয়ার, সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে এবং তাঁকে মারধর করে। বাড়ির মধ্যে আরেকটি ফটক ভেতর থেকে তালা লাগানো থাকায় মূল ভবনে প্রবেশ করতে পারেনি হামলাকারীরা।

নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর পরিচালিত জাহেদী ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী তবিবুর রহমান লাবু বলেন, নাসের শাহরিয়ারের পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে। বাড়িতে তেমন কেউ থাকে না বলে বাড়ির নিরাপত্তাব্যবস্থা বর্তমানে শিথিল রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ ১০-১২ দুর্বৃত্ত বাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙচুর করে।

ঝিনাইদহ-বাফুফে-২

তবিবুর রহমান লাবু জানান, নাসের শাহরিয়ার চিকিৎসার জন্য বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। লাবু বলেন, ‘তাঁর (নাসের) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তাদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সম্পাদক পরিষদের নতুন সভাপতি নূরুল কবীর, সাধারণ সম্পাদক হানিফ মাহমুদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নূরুল কবীর ও দেওয়ান হানিফ মাহমুদ (বাঁ থেকে)। ছবি: সংগৃহীত
নূরুল কবীর ও দেওয়ান হানিফ মাহমুদ (বাঁ থেকে)। ছবি: সংগৃহীত

সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের নতুন নির্বাহী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর। আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) নতুন নির্বাহী কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়।

দুই বছরমেয়াদি নতুন কমিটিতে সহসভাপতি পদে দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদে সুপ্রভাত বাংলাদেশের সম্পাদক রুশো মাহমুদ নির্বাচিত হয়েছেন।

কমিটির নির্বাহী সদস্যরা হলেন মাহফুজ আনাম, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হক এবং ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন।

এজিএমে আরও উপস্থিত ছিলেন ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ এবং নতুন সদস্য কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক আবু তাহের, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক ইনাম আহমেদ, সমকালের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী এবং ডেইলি সানের সম্পাদক রেজাউল করিম (লোটাস)। সভায় অনলাইনে যুক্ত হন দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক রমিজউদ্দিন চৌধুরী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কিশোরীকে রাতভর দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ৩

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে চারজনে মিলে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এবং অপরজন পালিয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেছেন।

আটক তিনজন হলেন উপজেলার ধিতুয়া গ্রামের রমেশ চন্দ্র দের ছেলে পংকজ দে (১৯), চাপুরিয়া গ্রামের খাইরুল হকের ছেলে রোমান (২৩) ও আব্দুর রহিমের ছেলে এমরান হোসেন (৩২)। অপর আসামি চাপুরিয়া গ্রামের আমির হোসেন (২৮) পালিয়েছেন।

মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন চন্দ্র গোপ জানান, এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ গতকাল বুধবার রাতে তিনজনকে আটক করেছে। আজ বিকেলে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

ওসি আরও বলেন, আজ ভুক্তভোগীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে তৎপরতাসহ আইনিপ্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, উপজেলার মানকোন ইউনিয়নের ধিতুয়া গ্রামের ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী ঢাকায় একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে। গত মঙ্গলবার ওই কিশোরী ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুক্তাগাছায় বাস থেকে নামে। পরে অটোরিকশায় করে পদুরবাড়ী বাজারে নেমে সেখান থেকে পায়ে হেঁটে নিজ বাড়িতে যেতে থাকে। পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিবেশী রমেন্দ্র চন্দ্র দের ছেলে পংকজ দের সঙ্গে দেখা হয়। পংকজ তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে একটি অটোরিকশায় তুলে নেন। পরে তাকে অটোরিকশায় করে ভিন্ন পথে ঘুরিয়ে চাপুরি গ্রামের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে জোরপূর্ব মুখ চেপে ধরে পংকজ ও তাঁর তিন সহযোগী—অটোচালক রোমান, আমির হোসেন ও এমরান পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

ভুক্তভোগী জানায়, তাঁরা স্থান পরিবর্তন করে রাতেই তাকে তিনবার পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তাকে অটোরিকশায় উঠিয়ে সেখানেও ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগীকে রাত ২টার দিকে একটি ফিশারির পাড়ে ফেলে রেখে ধর্ষকেরা পালিয়ে যান। পরদিন গতকাল বুধবার দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী মিলে গতকাল রাতে সালিসের কথা বলে তিন ধর্ষককে ডেকে আনেন। এ সময় ধর্ষকেরা জনসম্মুখে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেন। পরে এলাকাবাসী তাঁদের তিনজনকে বেঁধে রেখে থানা-পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তিনজনকে থানায় নিয়ে আসে। অপর একজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। গতকাল রাতেই ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাশকতার চেষ্টা করলে জনগণ বাসাবাড়ি থেকে ধরে এনে জেলে ভরবে: জামায়াত নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘গণহত্যাকারী, কার্যক্রম নিষিদ্ধ, পলাতক আওয়ামী লীগ পুরোনো কায়দায় দেশে আগুন-সন্ত্রাস ও নাশকতার ষড়যন্ত্র করছে। তাঁরা পালিয়ে থেকে দেশে লকডাউনের ডাক দিয়ে নাশকতা উসকে দিচ্ছে। এর পরিণতি ভালো হবে না। আগুন-সন্ত্রাসী ও নাশকতাকারীদের রাজপথে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এ দেশের রাজনীতিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাঁর দোসরদের কোনো স্থান নেই। আমরা শান্তিপ্রিয় তাই এখনো বাসাবাড়িতে নিরাপদে থাকতে পারছেন। নাশকতার চেষ্টা করলে বাসাবাড়িতেও জায়গা হবে না। জনগণ বাড়ি থেকে ধরে এনে জেলে ভরবে।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরের মদিনা মার্কেট এলাকায় ‘আওয়ামী লীগের অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার হুমকির’ প্রতিবাদে এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও গণভোটের দাবিতে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, এ দেশে আওয়ামী ফ্যাসিস্টের সব গণহত্যার বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানে দ্রুত গণভোটের আয়োজন করতে হবে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের আগে সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।

সিলেট সদর উপজেলা জামায়াতের আমির নাজির আহমদের পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াত নেতা উপাধ্যক্ষ সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, মহানগর জামায়াতের বায়তুল মাল সেক্রেটারি মুফতি আলী হায়দার, জালালাবাদ থানা আমির কারি আলাউদ্দিন, বিমানবন্দর থানা আমির শফিকুল আলম মফিক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি তুহিন আহমদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত