Ajker Patrika

কিশোরীকে রাতভর দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ৩

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে চারজনে মিলে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এবং অপরজন পালিয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেছেন।

আটক তিনজন হলেন উপজেলার ধিতুয়া গ্রামের রমেশ চন্দ্র দের ছেলে পংকজ দে (১৯), চাপুরিয়া গ্রামের খাইরুল হকের ছেলে রোমান (২৩) ও আব্দুর রহিমের ছেলে এমরান হোসেন (৩২)। অপর আসামি চাপুরিয়া গ্রামের আমির হোসেন (২৮) পালিয়েছেন।

মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন চন্দ্র গোপ জানান, এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ গতকাল বুধবার রাতে তিনজনকে আটক করেছে। আজ বিকেলে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

ওসি আরও বলেন, আজ ভুক্তভোগীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে তৎপরতাসহ আইনিপ্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, উপজেলার মানকোন ইউনিয়নের ধিতুয়া গ্রামের ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী ঢাকায় একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে। গত মঙ্গলবার ওই কিশোরী ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুক্তাগাছায় বাস থেকে নামে। পরে অটোরিকশায় করে পদুরবাড়ী বাজারে নেমে সেখান থেকে পায়ে হেঁটে নিজ বাড়িতে যেতে থাকে। পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিবেশী রমেন্দ্র চন্দ্র দের ছেলে পংকজ দের সঙ্গে দেখা হয়। পংকজ তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে একটি অটোরিকশায় তুলে নেন। পরে তাকে অটোরিকশায় করে ভিন্ন পথে ঘুরিয়ে চাপুরি গ্রামের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে জোরপূর্ব মুখ চেপে ধরে পংকজ ও তাঁর তিন সহযোগী—অটোচালক রোমান, আমির হোসেন ও এমরান পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

ভুক্তভোগী জানায়, তাঁরা স্থান পরিবর্তন করে রাতেই তাকে তিনবার পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তাকে অটোরিকশায় উঠিয়ে সেখানেও ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগীকে রাত ২টার দিকে একটি ফিশারির পাড়ে ফেলে রেখে ধর্ষকেরা পালিয়ে যান। পরদিন গতকাল বুধবার দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী মিলে গতকাল রাতে সালিসের কথা বলে তিন ধর্ষককে ডেকে আনেন। এ সময় ধর্ষকেরা জনসম্মুখে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেন। পরে এলাকাবাসী তাঁদের তিনজনকে বেঁধে রেখে থানা-পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তিনজনকে থানায় নিয়ে আসে। অপর একজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। গতকাল রাতেই ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...