Ajker Patrika

মোবাইলে কথা বলা নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, আহত ১৫

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার সুজানগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিরা। আজ বুধবার বিকেলে তোলা।
পাবনার সুজানগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিরা। আজ বুধবার বিকেলে তোলা।

পাবনার সুজানগরে মোবাইলে কথা বলাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব শেখ আব্দুর রউফ গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্তত ১৫ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আজ বুধবার (৯ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে সুজানগর পৌরবাজারের নন্দিতা সিনেমা হল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন চর সুজানগরের জালাল উদ্দিনের ছেলে সুজন আলী (৩৫), শেখ মনজেদ আলী (৩০), চর ভবানীপুরের শুকুর আলীর ছেলে ইয়াকুব আলী (৫৬), আলহাজ্ব হোসেন (৪০), যুবদল কর্মী মানিক খা (৩৫), চর ভবানীপুরের রশিদ খার ছেলে সবুজ খা (৩০), চর সুজানগরের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুর রহমান (৪৫), সুজানগর মাষ্টারপাড়ার মোনায়েম খার ছেলে শাকিল খা (২৫), চর সুজানগরের আলতু খানের ছেলে রিয়াজ খান (২৫), টিক্কা খান (৬০), পাবনা সদরের চরতারাপুরের কাচিপাড়ার আজহার আলীর ছেলে তুষার (৪০), আসলাম (৪৫) ও মনজিল (৩০)। অন্যদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ফোনে এক নারীর সঙ্গে কথা বলাকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মজিবর খাঁর অনুসারী আশিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রউফ শেখের ভাতিজা ছাত্রদল নেতা কাউছার ও তাঁর অনুসারীরা। এরপর এ ঘটনা ওই দিনই মীমাংসা হলেও পরদিন আজ বুধবার দুপুরে আশিককে সিনেমা হলের সামনে আবার ডাকেন কাউছার ও তাঁর অনুসারীরা। এ সময় কাউছারদের সঙ্গে দেখা করতে আশিক তাঁর চাচাতো ভাই ছাত্রদল নেতা সবুজকে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে কাউছার ও আশিকের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় সবুজ বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে আশিক ও সবুজ তাঁদের অভিভাবক ও বিএনপি নেতাদের জানান। এরপর তাঁরা দলবদ্ধভাবে এসে কাউছারদের ওপর হামলা চালান। এ সময় উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রউফ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে থামাতে গেলে তাঁকেও কুপিয়ে ও মারধর করে আহত করা হয়। এ সময় কয়েক রাউন্ড গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও সাতজন সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে কথা বলতে বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ শেখ ও মজিবর খাঁর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সুজানগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৌফিক হাসান আলহাজ্ব বলেন, সংঘর্ষের ঘটনাটি দলীয় কোনো বিষয় নয়। আঞ্চলিক বা ব্যক্তিগত বিষয়। তবুও এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা আসলেই নিন্দনীয়। ঘটনায় দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছে। আসলে কী নিয়ে আজকের এই ঘটনা, এটা এখনো পুলিশ পরিষ্কার নয়। খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। শুনেছি, উভয় গ্রুপের সৃষ্ট এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটনে কাজ করছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২১ বছর বয়সেই ব্যবসায় বাজিমাত, দুই বছরে বিক্রি আড়াই কোটির বেশি

নিহতের ফোনের ভিডিওতে মিলল ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ চিত্র: বিবিসির অনুসন্ধান

ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী

জুলাইয়ে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন হাসিনা, ফাঁস হওয়া অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি

চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশের স্বার্থ মিলে গেলে ভারতের নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি হতে পারে: জেনারেল অনিল চৌহান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত