সনি আজাদ, চারঘাট (রাজশাহী)
সীমান্তবর্তী ভারতের কোলঘেঁষা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা। এই সীমান্ত দিয়ে পদ্মা নদী পেরিয়ে চোরাই পথে গরু-মহিষ, ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবাসহ আমদানি নিষিদ্ধ অনেক পণ্য এবং মাদকের অনুপ্রবেশ অনেক পুরোনো কথা। কিন্তু করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর কড়াকড়িতে মাদকের অনুপ্রবেশ কম। তাতে স্থানীয় মাদকসেবীদের জোগানে পড়েছে ভাটা।
এ অবস্থায় মাদকের অভাবে নেশা বদল করেছে চারঘাটের মাদকসেবীরা। ইয়াবা, ফেনসিডিল কিংবা হেরোইন নয়—এবার হাতের কাছে ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে ব্যবহার করছে ব্যথা ও স্নায়ু সমস্যাজনিত ব্যথার ট্যাবলেট। এসব ট্যাবলেট উপজেলা ও পৌর শহরের বিভিন্ন ফার্মেসিতে দেদার বিক্রি হচ্ছে, যা ‘গরিবের ইয়াবা’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব ট্যাবলেটের কিছু কিছু দেখতে ইয়াবার মতো। কিন্তু ইয়াবা নয়, এগুলো ব্যথা ও স্নায়ু সমস্যা মেটানোর বিভিন্ন ওষুধ। এসব ওষুধই এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ইয়াবা আর হেরোইনের বিকল্প নেশা হিসেবে। গুঁড়ো করে ইয়াবা আর হেরোইনের মতো সেবন করছে মাদকসেবীরা। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিভিন্ন কোম্পানির এসব ওষুধ দেদার বিক্রি হচ্ছে দোকানে।
বিভিন্ন নামের এসব ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ২৫ থেকে ৩০ টাকা হলেও মাদকাসক্তরা ওষুধের দোকান থেকে তা ১১০ থেকে ২০০ টাকায় পর্যন্ত ক্রয় করছে। এসব ওষুধ বিক্রির সময় ফার্মেসির রসিদ রাখার নিয়ম থাকলেও মানছে না কোনো ফার্মেসি।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় করে বিনা প্রেসক্রিপশনে এসব ওষুধ বিক্রি না করতে নিষেধ করেন। তার পরও বিক্রি থেমে নেই। উপজেলাজুড়ে হাত বাড়ালেই মিলছে এসব ট্যাবলেট। অনেক জায়গায় ফোন করলে হোম ডেলিভারিও দেওয়া হচ্ছে, যার অধিকাংশ ক্রেতা তরুণ ও শিক্ষার্থী।
উপজেলা মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, নেশাজাতীয় এসব ওষুধ এখন গরিবের ইয়াবা। ইয়াবার দাম বেশি এবং দুষ্প্রাপ্য হলেও এসব ট্যাবলেট ফার্মেসিতে অহরহ পাওয়া যাচ্ছে। কিছু জায়গায় বাইকে করে হোম ডেলিভারিও দেওয়া হচ্ছে। মাদকের মতো নিষিদ্ধ দ্রব্য না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তেমন ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। তাতে তরুণ শ্রেণি ধীরে ধীরে নেশায় নিমজ্জিত হচ্ছে।
নেশা হিসেবে ওষুধ দ্রব্যের আশঙ্কাজনক বিস্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা। এসব ট্যাবলেট সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত কোনো ওষুধই শরীরের জন্য ভালো নয়। নিয়মিত অতিরিক্ত এসব ট্যাবলেট সেবনকারীর মস্তিষ্ক বিকৃতি ও শ্বাস-প্রশ্বাস ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে যায়। আমরা ইদানীং এ ধরনের কিছু রোগীও পেয়েছি, যারা নেশাগ্রস্ত বলে অভিভাবকেরা জানিয়েছেন।’
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক মাখনুন তাবাসসুম বলেন, ‘ব্যথা ও স্নায়ুর সমস্যা মেটানোর এ ধরনের ওষুধ এখন মাদকের আওতায় পড়েছে। এ জন্য আমরা বিক্রি বন্ধে ফার্মেসি মালিকদের লিখিত নির্দেশনাও দিয়েছি। তার পরও যদি তারা এগুলো বিক্রি করে, তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহী সার্কেল (খ)-এর পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি নেশাজাতীয় কিছু ওষুধের অপব্যবহার মাদকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে আইনের নির্দিষ্ট কোনো ধারা না থাকায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সমস্যা হচ্ছে। তার পরও আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তৎপর রয়েছি।’
সীমান্তবর্তী ভারতের কোলঘেঁষা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা। এই সীমান্ত দিয়ে পদ্মা নদী পেরিয়ে চোরাই পথে গরু-মহিষ, ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবাসহ আমদানি নিষিদ্ধ অনেক পণ্য এবং মাদকের অনুপ্রবেশ অনেক পুরোনো কথা। কিন্তু করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর কড়াকড়িতে মাদকের অনুপ্রবেশ কম। তাতে স্থানীয় মাদকসেবীদের জোগানে পড়েছে ভাটা।
এ অবস্থায় মাদকের অভাবে নেশা বদল করেছে চারঘাটের মাদকসেবীরা। ইয়াবা, ফেনসিডিল কিংবা হেরোইন নয়—এবার হাতের কাছে ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে ব্যবহার করছে ব্যথা ও স্নায়ু সমস্যাজনিত ব্যথার ট্যাবলেট। এসব ট্যাবলেট উপজেলা ও পৌর শহরের বিভিন্ন ফার্মেসিতে দেদার বিক্রি হচ্ছে, যা ‘গরিবের ইয়াবা’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব ট্যাবলেটের কিছু কিছু দেখতে ইয়াবার মতো। কিন্তু ইয়াবা নয়, এগুলো ব্যথা ও স্নায়ু সমস্যা মেটানোর বিভিন্ন ওষুধ। এসব ওষুধই এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ইয়াবা আর হেরোইনের বিকল্প নেশা হিসেবে। গুঁড়ো করে ইয়াবা আর হেরোইনের মতো সেবন করছে মাদকসেবীরা। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিভিন্ন কোম্পানির এসব ওষুধ দেদার বিক্রি হচ্ছে দোকানে।
বিভিন্ন নামের এসব ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ২৫ থেকে ৩০ টাকা হলেও মাদকাসক্তরা ওষুধের দোকান থেকে তা ১১০ থেকে ২০০ টাকায় পর্যন্ত ক্রয় করছে। এসব ওষুধ বিক্রির সময় ফার্মেসির রসিদ রাখার নিয়ম থাকলেও মানছে না কোনো ফার্মেসি।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় করে বিনা প্রেসক্রিপশনে এসব ওষুধ বিক্রি না করতে নিষেধ করেন। তার পরও বিক্রি থেমে নেই। উপজেলাজুড়ে হাত বাড়ালেই মিলছে এসব ট্যাবলেট। অনেক জায়গায় ফোন করলে হোম ডেলিভারিও দেওয়া হচ্ছে, যার অধিকাংশ ক্রেতা তরুণ ও শিক্ষার্থী।
উপজেলা মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, নেশাজাতীয় এসব ওষুধ এখন গরিবের ইয়াবা। ইয়াবার দাম বেশি এবং দুষ্প্রাপ্য হলেও এসব ট্যাবলেট ফার্মেসিতে অহরহ পাওয়া যাচ্ছে। কিছু জায়গায় বাইকে করে হোম ডেলিভারিও দেওয়া হচ্ছে। মাদকের মতো নিষিদ্ধ দ্রব্য না হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তেমন ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। তাতে তরুণ শ্রেণি ধীরে ধীরে নেশায় নিমজ্জিত হচ্ছে।
নেশা হিসেবে ওষুধ দ্রব্যের আশঙ্কাজনক বিস্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা। এসব ট্যাবলেট সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত কোনো ওষুধই শরীরের জন্য ভালো নয়। নিয়মিত অতিরিক্ত এসব ট্যাবলেট সেবনকারীর মস্তিষ্ক বিকৃতি ও শ্বাস-প্রশ্বাস ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে যায়। আমরা ইদানীং এ ধরনের কিছু রোগীও পেয়েছি, যারা নেশাগ্রস্ত বলে অভিভাবকেরা জানিয়েছেন।’
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক মাখনুন তাবাসসুম বলেন, ‘ব্যথা ও স্নায়ুর সমস্যা মেটানোর এ ধরনের ওষুধ এখন মাদকের আওতায় পড়েছে। এ জন্য আমরা বিক্রি বন্ধে ফার্মেসি মালিকদের লিখিত নির্দেশনাও দিয়েছি। তার পরও যদি তারা এগুলো বিক্রি করে, তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহী সার্কেল (খ)-এর পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি নেশাজাতীয় কিছু ওষুধের অপব্যবহার মাদকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে আইনের নির্দিষ্ট কোনো ধারা না থাকায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সমস্যা হচ্ছে। তার পরও আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তৎপর রয়েছি।’
দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও আমলাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সমালোচনা করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেছেন, ‘প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও আমলাদের দেশের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। তাহলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের দায়িত্বশীলরা সব সময়ে সতর্ক অবস্থানে
৫ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের এক দিন পর সবুজ মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদীপুর বরিবাড়ী এলাকার এশিয়ান হাইওয়ে রাস্তার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে তালতলা তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ।
১৭ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বাস-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে খগেন চন্দ্র মাহাতো (৪৫) নামের এক মোটরসাইকেলের চালক নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে সিরাজগঞ্জের ভূঁইয়াগাতী পল্লী বিদ্যুতের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২১ মিনিট আগেসদ্য কারামুক্ত জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, ‘দেশকে নিজেরাই পরিশোধন করার সুযোগ পাচ্ছি আমরা। আধিপত্য শক্তির হাত থেকে বাংলাদেশ আজ মুক্ত। এই বাংলাদেশকে আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ষড়যন্ত্র হবে। ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে...
২৮ মিনিট আগে