Ajker Patrika

ফরিদপুরে যুবদল নেতাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আহত তাজুল ইসলামকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত তাজুল ইসলামকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরে পূর্বশত্রুতার জের ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মো. তাজুল ইসলাম (৩০) নামের যুবদলের এক নেতাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। আহত তাজুল ইসলাম ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ও নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহত তাজুল ইসলাম শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর টেপাখোলা এলাকার শেখ নূর মোহাম্মাদের ছেলে এবং ওই ওয়ার্ডের যুবদলের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ব্যানার-ফেস্টুনসহ প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাঁর ওপর হামলার ঘটনায় রাত ১০টায় হাসপাতালে ছুটে যান মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজোয়ান বিশ্বাস তরুণসহ যুবদলের নেতারা।

জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় শহরের হাবেলী গোপালপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেনের বাড়ির সামনে জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক পিয়াস রায় দীপের (২২) নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মী মীর খসরু (২৩), শাহিন শেখসহ ছয়-সাতজন তাঁর ওপর হামলা চালায়। এ সময় হাতুড়ি দিয়ে তাঁকে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখে তারা। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাজুলকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ও নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক জানান, আহত তাজুল ইসলামের মাথায় হাতুড়ির আঘাতে গুরুতর জখম রয়েছে। এ ছাড়া হাত, মুখ ও পায়ে আঘাত রয়েছে। সিটি স্ক্যান রিপোর্ট হাতে পেলে শারীরিক অবস্থা বোঝা যাবে।

আহত তাজুল ইসলাম জানান, গতকাল সন্ধ্যায় পরিচিত একজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় পেছন থেকে তাঁর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় তিনি তিনজনকে চিনতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমি যুবদলের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়েছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েক দিন ধরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা হুমকি দিচ্ছেল। তারা বলে, “এই এলাকায় থাকতে হলে বিএনপির রাজনীতি করতে পারবি না।” এ ছাড়া একটি মোটরসাইকেল কেনাবেচা নিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে তাদের একজনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এসব নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর হামলা চালিয়েছে।’

আহত তাজুলের ভাই রাকিবুল ইসলাম হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘ফরিদপুর পৌরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এখনো আওয়ামী লীগমুক্ত হয়নি। এই এলাকায় তারা প্রভাব বিস্তার করছে। অতি দ্রুত প্রশাসন যেন তাদের গ্রেপ্তার করে।’

এ বিষয়ে জানতে বারবার চেষ্টা করেও পিয়াস রায় দ্বীপের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ