Ajker Patrika

পরীক্ষার্থীর সঙ্গে রাবি অধ্যাপকের অসদাচরণ, ‘একে সাইজ করা দরকার’

রাবি প্রতিনিধি 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীরা। অনেকের সঙ্গে অভিভাবক ছিলেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীরা। অনেকের সঙ্গে অভিভাবক ছিলেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পরীক্ষাকেন্দ্রে ভর্তি-ইচ্ছুক এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগ উঠেছে।

আজ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৪০৮ নম্বর কক্ষে প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই পরীক্ষার্থী। তবে তিনি লিখিত অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম উল্লেখ করেননি। অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওই পরীক্ষা কক্ষে পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা তিন অধ্যাপক।

লিখিত অভিযোগে ওই পরীক্ষার্থী বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর প্রায় আধা ঘণ্টা পর দায়িত্বরত শিক্ষক স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য আমার নিকট আসেন। আমার মাথায় ওড়না থাকায় এবং প্রবেশপত্রের ছবিতে মাথায় ওড়না না থাকায় তিনি আমাকে ধমক দেন এবং বলেন, “তুমি যেভাবে ছবি উঠিয়েছ, সেভাবে যেহেতু আসোনি, সেহেতু এই ক্যাম্পাসে প্রবেশের অধিকার নেই।” এ ছাড়া তিনি অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন। আমাকে চোর বলে সম্বোধন করেন এবং বলেন “একে সাইজ করা দরকার।”’

অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে তিনি আমার খাতা কেড়ে নেন এবং প্রায় ১০ মিনিট পর ফেরত দেন। তাঁর ধমক এবং ভাষা শুনে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। ফলে ভালোভাবে পরীক্ষা শেষ করতে পারিনি। তিনি যদি দুর্ব্যবহার না করতেন, আমি আরও কয়েক নম্বর বেশি পেতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি উচ্চ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের নিকট থেকে এমন দুর্ব্যবহার পরীক্ষার হলে আমি আশা করিনি। তাই আমি এর যথাযথ বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই পরীক্ষার্থী বলেন, ‘একজন দায়িত্বরত শিক্ষককের আচরণ কখনোই এমন হতে পারে না। আমার পোশাক নিয়ে তিনি কেন কথা বলবেন? বর্তমান সময়ে এসেও নারীদের পোশাক নিয়ে কথা শুনতে হয়।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৪০৮ নম্বর কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষক দায়িত্বে ছিলেন। তাঁরা হলেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক শুভ্রা রানী চন্দ, অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকার ও লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ফারাহা নওয়াজ। পরীক্ষা কক্ষে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে তিনজনই দাবি করেছেন।

অধ্যাপক শুভ্রা বলেন, ‘এ রকম কোনো ঘটনা ওই কক্ষে ঘটেনি। পরীক্ষা কক্ষে আমি তো অচেতন হয়ে যাইনি। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে নিশ্চয় জানতাম। তবে নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর সময় কান খোলা রেখে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।’

অধ্যাপক ফারাহা বলেন, ‘পরীক্ষা কক্ষে আমি আমার কাজে অনেক ব্যস্ত ছিলাম। এ রকম কিছু ঘটে থাকলেও আমি শুনি নাই। কেউ কারও কাছে গিয়ে বলে থাকলেও সেটি আমি শুনিনি।’

অন্যদিকে অধ্যাপক ওমর বলেন, ‘যাদের মুখ ঢাকা ছিল, তাদের চেক করে স্বাক্ষর করার জন্য সহকর্মীকে নির্দেশ দিয়েছিলাম। একটা উদাহরণ দিয়েছি, যদি চেক না করা হয় তাহলে গত বছরের মতো “মিথ্যা প্রার্থী” প্রথম হয়ে যেতে পারে। আর কোনো কথাই হয়নি।’

অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘এক ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী ও তাঁর মা এসে অভিযোগ দিয়েছেন। তবে অভিযুক্তের নাম লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়নি। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামালপুরে নদীতে ডুবে ভাই-বোনসহ ৩ শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ২

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জামালপুরের মাদারগঞ্জে নদীতে গোসলে নেমে ভাই-বোনসহ তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিধুলী ইউনিয়নের চর ভাটিয়ানি আমতলী এলাকার ঝিনাই নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুই শিশুকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।

মারা যাওয়া শিশুরা হলো—মাদারগঞ্জ উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের চর ভাটিয়ানি আমতলী এলাকার দুদু মিয়ার মেয়ে পলি আক্তার (১২) ও ছেলে আবু সাঈদ (৮), সরিষাবাড়ি উপজেলার বাউসি এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে সাইবা আক্তার (৯)। পলি আক্তার ও আবু সাঈদ স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া, এ ঘটনায় চর ভাটিয়ানি আমতলী এলাকার আজাদ মিয়ার মেয়ে কুলসুম আক্তার (৮) ও আরও এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ির সাইবা আক্তার ও তার ছোট ভাইসহ মাদারগঞ্জের চরভাটিয়ানী আমতলী এলাকায় নানির বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারা দুইজন ও চর ভাটিয়ানি এলাকার কুলসুম আক্তার, পলি আক্তার, আবু সাইদ, ইয়াসিন ও আরও একজনসহ মোট ছয় শিশু ঝিনাই নদীতে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে অন্যরা পানিতে ডুবে গেলে ইয়াসিন সাঁতার কেটে তীরে ওঠে। খবর পেয়ে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল পলি আক্তার, আবু সাঈদ ও সায়েবার মরদেহ উদ্ধার করে।

সিধুলি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আজাদ মিয়া বলেন, গোসল করতে নেমে তিন শিশু মারা গেছে। এদের মধ্যে দুই শিশু নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।

মাদারগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, পাঁচজনের মধ্যে তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ দুই শিশুকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এক শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কোটি টাকার জুতা আত্মসাৎ, মালিকের ভাইসহ গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
জুতা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
জুতা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালে ফরচুন শুজ লিমিটেডের প্রায় এক কোটি টাকার জুতা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের আপন ছোট ভাইসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের ভাই রবিউল ইসলাম (৪০), কাভার্ড ভ্যানচালক রহমতপুর এলাকার জামাল হোসেন (২৮) এবং ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শান্ত (২৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন।

ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, ফরচুন শুজ লিমিটেডের সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বাদী হয়ে গত ২৯ অক্টোবর কাউনিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনসহ অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তাঁরা প্রতারণার মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসে রপ্তানির জন্য পাঠানো ১০ হাজার ৮১২ জোড়া জুতা আত্মসাৎ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। জুতাগুলোর বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।

এজাহারে বলা হয়, গত ২৭ অক্টোবর রাতে বরিশাল বিসিক শিল্প এলাকায় অবস্থিত ফরচুন শুজ লিমিটেড থেকে রপ্তানির উদ্দেশ্যে দুটি কাভার্ড ভ্যানে করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে জুতা পাঠানো হয়। রবিউল ইসলাম গাড়িগুলোর দায়িত্বে ছিলেন। তবে ২৮ অক্টোবর বন্দরে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ট্রাক দুটি যায়নি। এর পর থেকে তাঁদের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

ওসি ইসমাইল জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ছগীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে জুতাবোঝাই কাভার্ড ভ্যান দুটি উদ্ধার এবং তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাঁদের বরিশালে আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাবলিগে যাওয়া তরুণের প্রাণ গেল ডাকাতিয়া নদীতে ডুবে

চাঁদপুর প্রতিনিধি
ডুবে যাওয়া তরুণের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডুবে যাওয়া তরুণের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুর সদরের বাগাদি ইউনিয়নের মমিনপুর এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মো. প্রিন্স মাহমুদ (২০) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে মমিনপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে বেলা দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল। রাতে চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশন থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

নিহত প্রিন্স মাহমুদ ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি তাবলিগ জামায়াতের সঙ্গে ঘটনাস্থল এলাকায় গিয়েছিলেন।

চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, ওই তরুণ ডাকাতিয়া নদীতে গোসল করতে নেমে বেলা ১১টার দিকে নিখোঁজ হন। এরপর নৌ ফায়ার স্টেশন বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সংবাদ পায় এবং বেলা ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ৩০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে বেলা দেড়টার দিকে ডুবুরি দল মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

মো. রাকিবুল ইসলাম আরও জানান, পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মরদেহ চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাদিরের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ওই তরুণের স্বজনেরা থানায় এসেছেন। মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

চাঁদপুর সদর, বাগাদি ইউনিয়নের মমিনপুর, ডাকাতিয়া নদী, গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মৃত্যু, লাশ উদ্ধার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঋণ শোধ না করে মরলে উল্টো ১০ হাজার দেব—পরদিন গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ

শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ৩৬
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর ডেমরায় আজিমুন্নেসা (৫২) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে পূর্ব বক্সনগর হজরত হাজি রোডের জনৈক ফারুকের বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে লাশটি উদ্ধার করে ডেমরা থানা-পুলিশ। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের স্বামী রাজমিস্ত্রি আব্দুল মজিদ মোল্লা (৬৩) ঘর থেকে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পান। ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কোনো এক সময় ওই নারী নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ওই নারীর প্রায় ৫ লাখ টাকা ঋণ ছিল। সেই চাপে আত্মহত্যা করতে পারেন। এ ঘটনায় আজ বিকেলে ডেমরা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন মৃতের স্বামী।

মৃতের স্বামী আব্দুল মজিদ মোল্লা মোবাইল ফোনে বলেন, ‘প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ৩৫ বছর আগে আমার সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয় আজিমুন্নেসার। তিন মেয়ের বিয়ে দেওয়াসহ নানা কারণে ব্র্যাক, আশা, প্রশিকাসহ সাতটি এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা ঋণ নিই আমরা। এদিকে ব্র্যাকের কিস্তি পরিশোধে দেরি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা গতকাল (বৃহস্পতিবার) চাপ প্রয়োগ করেন আমার স্ত্রীকে।’

মজিদ মোল্লা আরও বলেন, ‘ওই কর্মকর্তা আমার স্ত্রীকে বলেন, ‘‘ঋণ পরিশোধ না করে আপনি মরে গেলে উল্টো আমি ১০ হাজার টাকা দিয়ে যাব।’’ এর পর থেকে মানসিক চাপে পড়েন আজিমুন্নেসা। এ সংসারে আমাদের তিন মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের বিয়ের পর আমরা স্বামী-স্ত্রী বর্তমান ঠিকানায় বসবাস করি।’

ডেমরা থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, আজ সকালে ওই নারীর মৃত্যুর খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত