Ajker Patrika

ঈশ্বরদীতে কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূত

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
ঈশ্বরদীতে কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূত

পাবনার ঈশ্বরদীতে ‘গিফস’ প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত ডাল ফসলের গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার নিকোলাস লিলি। 

কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তারের নেতৃত্বে কানাডিয়ান কমিশনারসহ উচ্চ পর্যায়ের একটি দল আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ডাল গবেষণা কেন্দ্রের মাঠ পরিদর্শন করেন। 

দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূত ও কৃষি সচিবসহ পরিদর্শন দলটি ঢাকা থেকে বিমানে রাজশাহী বিমানবন্দরে নামার পর সড়ক পথে ঈশ্বরদীতে আসেন। এ সময় পাবনার জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কৃষক প্রতিনিধি, কৃষি বিজ্ঞানীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানান। 

এরপর গবেষণা কেন্দ্রের মিলনায়তনে ‘গিফস প্রকল্পের’ আওতায় ঈশ্বরদীতে পরিচালিত ডালজাত ফসলের গবেষণা, সম্ভাবনা, উৎপাদন ও সম্প্রসারণ ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা প্রবন্ধ কানাডিয়ান হাকমিশনারসহ পরিদর্শন দলের কাছে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাল গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান। প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর ডালজাত ফসলসহ মসুর ডালের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বক্তব্য দেন কৃষি সচিব ড. ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ বখতিয়ার রহমান, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডক্টর দেবাশীষ সরকার প্রমুখ। 

নিকোলাস লিলি ঈশ্বরদীতে ডাল ফসলের উচ্চ ফলনশীল ও রোগপ্রতিরোধী মসুরজাতের গবেষণার মাঠ পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘কানাডা কৃষির উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকবে। আমরা উন্নয়নমুখী ও উচ্চ ফলনশীল কৃষির উন্নয়নকাজ করে যাচ্ছি।’ 

কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, গত ১০ বছরে ডালের উৎপাদন চারগুণ বেড়েছে। দেশে ডালের চাহিদা রয়েছে ২৫ লাখ মেট্রিকটন। বর্তমানে উৎপাদন হয় ১০ লাখ মেট্রিকটন। চাহিদা পূরণে ১৪ থেকে ১৫ লাখ মেট্রিকটন ডাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তাই ডালের উৎপাদন বাড়াতে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। 

ওয়াহিদা আক্তার বলেন, বাংলাদেশে কানাডা সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় গিফস প্রকল্পের আওতায় ডাল ফসলের জাত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে কানাডা ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করছে। 

পরে নিকোলাস লিলি ঈশ্বরদীতে ডাল ফসলের উচ্চ ফলনশীল ও রোগপ্রতিরোধী মসুরজাতের গবেষণার মাঠের চারটি প্লট পরিদর্শন করেন এবং আগামীতে এই প্রকল্পের উন্নয়নে পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার অতিরিক্ত পরিচালক সরকার শফিউদ্দিন আহমেদ, পাবনার জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি পাবনার অতিরিক্ত পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন, ডাল গবেষণা ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলতাব হোসেন, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত