Ajker Patrika

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় আরও ৪ জন গ্রেপ্তার, ৩৮ ককটেল উদ্ধার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৪, ১৮: ৩৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় আরও ৪ জন গ্রেপ্তার, ৩৮ ককটেল উদ্ধার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই আওয়ামী লীগ নেতা খুনের মামলার আরও চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে ৩৮টি ককটেল উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের ঢ়োড়বনার এলাকা থেকে এসব ককটেল উদ্ধার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের ঢ়োড়বোনার জেন্টু আলীর ছেলে আজম আলী (৩৯), একই গ্রামের ময়েজ উদ্দীনের ছেলে সাহেব আলী (২২), চকবহরমের যুবায়ের রহমানের ছেলে তাজ হাসান হৃদয় (২১) ও রশিকনগরের আলাউদ্দীনের ছেলে মো. ফিরোজ (২৮) 

পুলিশ বলছে, আওয়ামী লীগ নেতা হত্যায় অংশ নেওয়া এক আসামির দেওয়া তথ্যমতে এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম ও আব্দুল মতিনকে কার পরিকল্পনায় খুন হয়েছেন। 

এর মধ্যে হত্যায় অংশ নেওয়া ওসমান আগেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের রানীহাটি কলেজের সামনে দুই আওয়ামী লীগ নেতা খুনের ঘটনায় আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগার পাঠানো হয়েছে। সবশেষ চার আসামিকে চট্টগ্রামের কর্নফুলী থেকে গ্রেপ্তার করে আনা হয় ডিবি কার্যালয়ে। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে আসামিকে নিয়ে অভিযান চালানো হয় নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের ঢোড়বনা এলাকায়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ৩৮টি ককটেল। রাজশাহী থেকে আসা বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করেন বলে জানান তিনি। 

উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রানীহাটি এলাকায় খুন হন নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, এবং তাঁর সহযোগী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক মতিন আলী। ওই জোড়া খুনে আব্দুস সালামের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত