Ajker Patrika

আটক ৩ শিক্ষার্থীকে মুক্ত করলেন রাবি শিক্ষকেরা

রাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৪, ১৩: ০৩
আটক ৩ শিক্ষার্থীকে মুক্ত করলেন রাবি শিক্ষকেরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে গতকাল বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করে নগরীর দুই থানার পুলিশ। শিক্ষার্থী আটকের খবর জানাজানি হলে বিকেলের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা থানায় ছুটে যান। থানায় আটকদের না ছাড়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ফিরে যাবেন না বলে জানান তাঁরা। পরে গতকাল রাত ১টার দিকে নগরীর মতিহার থানা থেকে আটকদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ছাড়াতে সক্ষম হন শিক্ষকেরা। 

শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার দুপুরে রাজশাহীর সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজশাহী আদালতের মূল ফটকের সামনে থেকে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির ডাক দেন। তবে, পথে পুলিশের বাধার কথা চিন্তা করে তাঁরা কর্মসূচি পরিবর্তন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেন। এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসার সন্দেহে দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সামনে থেকে, আরেকজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে আটক করে মতিহার থানার পুলিশ। 

আটকেরা হলেন ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সৈয়দ সামিউল বাসিত, মাজেদ হাসান এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাইম ইসলাম। শিক্ষকদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপের পর রাত ১টার দিকে শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। 

এদিকে, শিক্ষার্থীদের রাজশাহী আদালতের প্রধান ফটকের সামনে ডাকা কর্মসূচির কারণে আদালত এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে আন্দোলনকারীরা নির্ধারিত স্থানে ভিড়তে পারেননি। গতকাল দুপুর সোয়া ২টার দিকে আদালত এলাকার রাজশাহী দারুস সালাম কামিল মাদ্রাসার গলিতে কয়েকজন পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে পুলিশ একটি সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগানের পাঁচ রাউন্ড গুলি ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে এলোমেলোভাবে কয়েকজন আদালত এলাকায় প্রবেশ করলে তাঁদের আটক করে পুলিশ। নগরীর রাজপাড়া থানার পুলিশ এই এলাকা থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে। তাঁদের মধ্যে দুজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। 

গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরের মহিষবাথান এলাকা থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত হাসান এবং আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রত্যয়কে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে প্রত্যয়কে রাজপাড়া থানার পুলিশ, রিফাত হাসানকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করে। তাঁদের ছাড়াতেও শিক্ষকেরা বিকেলে থানায় উপস্থিত হন। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁদের ছাড়া হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় থাকা সেই শিক্ষিকা সাময়িক বরখাস্ত

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নাজমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
নাজমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার অভিযোগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমা আক্তারকে অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আজম তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার রোকেয়া সাত্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমা আক্তার নিজের কর্মস্থলে থাকেন না। তিনি থাকেন ঢাকায়। বিদ্যালয়ে তাঁর স্থলে স্নাতকপড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে দিয়ে স্কুলে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করাতেন তিনি। এ নিয়ে গত রোববার আজকের পত্রিকায় অনলাইনে ‘শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এবার তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করল কর্তৃপক্ষ।

বরখাস্তের তথ্য নিশ্চিত করে শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আজম বলেন, প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করানো সরকারি চাকরিবিধি পরিপন্থী। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষক নাজমা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নূরারীপুর গ্রামে ২০১৮ সালে স্থাপিত হয় রোকেয়া সাত্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৭৪ জন শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমা আক্তার। তিনি ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ে অনিয়মিত তিনি। বিদ্যালয়ে না গেলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করছেন নাজমা আক্তার। এর সঙ্গে নিয়মিত বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন তিনি।

গত ২৮ অক্টোবর বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, মোট ৫ জনের মধ্যে ২ জন শিক্ষককে উপস্থিত রয়েছেন। নাজমা আক্তারের স্থলে প্রক্সিশিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিচ্ছেন স্নাতকপড়ুয়া হেপি আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী নাজমা আক্তারের হয়ে পাঠদানসহ শিক্ষক হাজিরা খাতায় ‘নাজমা’ লিখে স্বাক্ষর করেন। আর এ কাজে সাহায্য করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফা আক্তার। জানতে চাইলে স্নাতকপড়ুয়া শিক্ষার্থী হেপি আক্তার বলেন, ‘নাজমা ম্যাডাম ঢাকায় আছেন। এজন্য কয়েক মাস তাঁর ক্লাস আমি নিচ্ছি। ম্যাডাম বলায় তাঁর শিক্ষক হাজিরা খাতায় আমি নাজমা লিখে স্বাক্ষর করছি। এটা আমার ভুল হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিলেটে ছাত্র ইউনিয়নের ৩ নেতা আটক

সিলেট প্রতিনিধি
আটক একজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক একজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাশ্রমিক আন্দোলনে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ছাত্র ইউনিয়নের তিন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদের সভাপতি মাশরুখ জলিল এবং শাবিপ্রবির সংগঠক মো. জুবায়ের আহমেদ জুয়েল ও শান্ত তালুকদার।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমনসহ শ্রমিক সংগঠক ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার এবং মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাঁদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এর আগে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ জন নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। সম্প্রতি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন শ্রমিকেরা।

এতে দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। ওই আন্দোলনে সংগঠক হিসেবে বাসদ ও সিপিবির নেতারা সম্পৃক্ত আছেন বলে পুলিশ জানায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে পিস্তল ঠেকিয়ে ডাকাতি, ৪৮ লাখ টাকার মালামাল লুট

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি, এআই দিয়ে তৈরি
প্রতীকী ছবি, এআই দিয়ে তৈরি

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় এক দিনের ব্যবধানে আবারও সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের সাতকাহনিয়া গ্রামে বৃদ্ধ দম্পতির বাসায় প্রবেশ করে ডাকাতেরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৪৮ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আলম মিয়া বলেন, ‘আমরা দুই ভাই পরিবার নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করি। বিকেলে ঢাকায় চলে আসার পর রাতে আমার বাবা-মা বাসায় ছিলেন। ডাকাতেরা জানালার গ্রিল কেটে প্রবেশ করে এবং অস্ত্রের মুখে বাবা-মাকে জিম্মি করে নগদ তিন লাখ টাকা ও ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে।’

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ব্যবসায়ী আলম মিয়ার বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে সাতজন ডাকাত প্রবেশ করে। পরে আরও ১৪-১৫ জন যোগ হয়। তারা কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে বিভিন্ন রুমে অবস্থান নেয় এবং আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আলমারি ও শোকেসের তালা ভেঙে সব লুট করে নেয়।’

উল্লেখ্য, এর আগে গত রোববার রাতে উপজেলার বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়া এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ফজলুল হকের বাড়িতে একই কায়দায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ ৫৪ লাখ টাকার মালামাল লুট হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অবসরের এক যুগ পর কাস্টমস কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
অবসরের এক যুগ পর কাস্টমস কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

চট্টগ্রামে অবসরে যাওয়ার প্রায় এক যুগ পর কাস্টমসের সাবেক এক সহকারী কমিশনার ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) চট্টগ্রামের দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়। দুটি মামলারই বাদী হলেন কার্যালয়টির সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম।

দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা হলেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের সাবেক সহকারী কমিশনার আহসান হাবিব ও তাঁর স্ত্রী আসমা সুলতানা।

আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার ৭৮৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫৯ লাখ ১০ হাজার ৪১১ টাকার সম্পদ অর্জন এবং তা ভোগদখলের অভিযোগ আনে দুদক। অন্যদিকে আসমা সুলতানার বিরুদ্ধে ৩২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৬৬ লাখ ২৪ হাজার ২৫০ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগ আনা হয়েছে।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার বাসিন্দা আহসান হাবিব ১৯৮০ সালে কাস্টমসের একজন পরিদর্শক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০১২ সালে তিনি সহকারী কমিশনার হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০১৪ সালে তিনি ঢাকা দক্ষিণের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার হিসেবে অবসরে যান। তিনি চট্টগ্রামেও কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামের দুদক কার্যালয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদ বিবরণী দাখিল করা হয়।

দুদক চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, একটি মামলায় কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের সাবেক সহকারী কমিশনারকে আসামি করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদক আইনের একই ধারায় আরেকটি মামলা হয়েছে সাবেক ওই কর্মকর্তার স্ত্রী আসমা সুলতানার বিরুদ্ধে। ওই মামলায় সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অর্থাৎ অভিযুক্ত কাস্টমস কর্মকর্তা চাকরিরত অবস্থায় অসাধু উপায়ে অর্জিত টাকায় তাঁর স্ত্রীর নামে সম্পদ অর্জন ও তা ভোগদখলে রাখতে সহযোগিতা করেছেন।

সম্পদ বিবরণীতে আহসান হাবিব নিজ নামে মাত্র ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬১২ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৫০ হাজার টাকা অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। আর আসমা সুলতানা তাঁর নিজের নামে ২০ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকার স্থাবর সম্পদ থাকার কথা উল্লেখ করলেও কোনো অস্থাবর সম্পদ নেই বলে সম্পদ বিবরণীতে ঘোষণা দেন। তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী উল্লেখ করলেও দুদকের অনুসন্ধানে তাঁর ব্যবসার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত