Ajker Patrika

ভাঙনে হুমকির মুখে নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট

  • পন্টুনের নিচ থেকেই পাড় ভেঙে নদীতে পড়ছে।
  • ফেরিঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত এই ভাঙন চলছে।
  • অব্যাহত ভাঙন দেখে মাথা গোঁজার ঠিকানা হারানোর আতঙ্ক।
­­শাহীন রহমান, পাবনা
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৯: ০৬
নদীভাঙনে হুমকির মুখে নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট। ছবি: আজকের পত্রিকা
নদীভাঙনে হুমকির মুখে নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট। ছবি: আজকের পত্রিকা

অবিরাম বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসছে ঢলের পানি। সেই সঙ্গে পানি বাড়ছে পাবনার পদ্মা নদীতে। এতে ভাঙন দেখা দিয়েছে নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোতে। ভাঙনের মুখে হুমকির মুখে পড়েছে পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট। ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বেশ কিছু এলাকা। তীব্র ভাঙনের ফলে বসতবাড়ি হারানোর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে নদীপারের বাসিন্দাদের মধ্যে।

গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাটের পূর্ব পাশের পন্টুনের নিচ থেকেই পাড় ভেঙে নদীতে পড়ছে। ফেরিঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত এই ভাঙন চলছে। ফেরির মেইন পন্টুনের মাত্র কয়েক হাত দূর থেকে এই ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীর তীর ঘেঁষে কয়েক গজ দূরেই বসতি নদীরপারের বাসিন্দাদের। অব্যাহত ভাঙন দেখে মাথা গোঁজার ঠিকানা হারানোর আতঙ্ক ভর করেছে তাদের মধ্যে।

নদীপারের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম ও আবুল কাশেম শেখ বলেন, ‘নদীর পশ্চিম পাশে বড় বড় ব্লক দিয়ে তীর রক্ষা করা হয়েছে। অথচ পূর্ব পাশে কোনো ধরনের ব্লক নেই। কয়েক বছর ধরে ভাঙছে, কিন্তু এবারের ভাঙনটা তীব্র মনে হচ্ছে। আর কয়েক দিন গেলে হয়তো আমাদের ঘরবাড়ি নদীতে চলে যাবে। তারপরও কেউ দেখার নেই। আমরা মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও হারাতে যাচ্ছি। আমরা কিছুই চাই না, শুধু নদীর তীর রক্ষা চাই।’

অভিযোগ রয়েছে, শুষ্ক মৌসুমে নদীশাসন না করা এবং নদী রক্ষায় অন্যান্য ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়াও ঘাটের দুই পাশের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়।

অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণেও এই ভাঙন হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

নদীভাঙনে হুমকির মুখে নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট। ছবি: আজকের পত্রিকা
নদীভাঙনে হুমকির মুখে নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাটের এই অবস্থার জন্য প্রশাসনকে দায়ী করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নাজিরগঞ্জ ঘাটের পোর্ট অফিসার তোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে আমাদের ঘাটের জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো ইউএনও বা ডিসি সাহেব সেটা দেননি। এ জন্য আমরা ঘাটের কোনো উন্নয়ন করতে পারছি না। এভাবে আর কিছুদিন গেলে তো আমার ঘাটই নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে। বাধ্য হয়ে আমি আমাদের কোটি টাকার পন্টুন সরিয়ে নিতে বাধ্য হব।’

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, ‘স্থানীয়দের কিছু আপত্তির কারণে তাদের (বিআইডব্লিউটিএ) জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। আর নদীভাঙনের বিষয়ে আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। এটা নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে উদ্যোগ নিয়েছি।’

পাবনার বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হায়দার আলী বুধবার জানান, ‘বিষয়টি জানার পর গতকাল (মঙ্গলবার) পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নাজিরগঞ্জ ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২১ বছর বয়সেই ব্যবসায় বাজিমাত, দুই বছরে বিক্রি আড়াই কোটির বেশি

নিহতের ফোনের ভিডিওতে মিলল ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ চিত্র: বিবিসির অনুসন্ধান

ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী

জুলাইয়ে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন হাসিনা, ফাঁস হওয়া অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি

চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশের স্বার্থ মিলে গেলে ভারতের নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি হতে পারে: জেনারেল অনিল চৌহান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত