Ajker Patrika

ছাত্রদলের মিছিলে গায়ে ধাক্কা, মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ

পাবনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭: ১৪
সংঘর্ষ থামার পর বেড়া পৌরসভার প্রধান সড়কে পড়ে আছে ইট পাটকেল। বুধবার বিকেলে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংঘর্ষ থামার পর বেড়া পৌরসভার প্রধান সড়কে পড়ে আছে ইট পাটকেল। বুধবার বিকেলে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার বেড়ায় ছাত্রদলের মিছিল থেকে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বেড়া বাজার এলাকার কাদের ডাক্তারের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বেড়ায় বেশ কয়েকটি মিছিল বের হয়। দুপুরে দুইদিক থেকে আসা দু’টি মিছিল কাদের ডাক্তারের মোড়ে এসে পৌঁছালে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

এরপর মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে উপজেলার পৌর এলাকার হাতিগাড়া ও বনগ্রাম সওদাগর পাড়ার মধ্যে এলাকাভিত্তিক সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় দেশীয় নানা অস্ত্র নিয়ে হামলা পাল্টা হামলা করে উভয় পক্ষ। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া লোকজন। সংঘর্ষ পৌর বাজারেও ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রাথমিকভাবে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, সংঘর্ষে লিপ্ত দুটি গ্রুপের একটির নেতৃত্বে ছিলেন বেড়া পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুরাদ হোসেন ও অন্যটির নেতৃত্বে ছিলেন পৌর ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহ্বায়ক প্রান্ত সওদাগর ও ২ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবু বক্কর।

প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে বেড়া পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মোল্লাসহ উভয় পক্ষের ৩০ নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত বনগ্রাম মহল্লার রাহাত সওদাগর ও আবু হানিফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অন্যান্য আহতদের মধ্যে শাকিল (২২), তুষার সওদাগর (২৫), রাসেল (২৫), শাহজাহান (৩৮), আয়মান (২৬), মনিরুল (২২), কাওসার (২৭), ইমরান (২৯), সোলাইমান শেখ (৪৫), ইয়াছিনসহ (২০) অন্তত ত্রিশজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা পৌর এলাকার বনগ্রাম হাতিগাড়া ও শেখপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর দুই প্লাটুন সদস্য ও বেড়া সাঁথিয়া ও আমিনপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

এ বিষয়ে বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অলিউর রহমান জানান, বেড়া-সাঁথিয়া, আমিনপুর থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুই প্লাটুন সদস্য উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। বর্তমান এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

তবে এই সংঘর্ষকে দলীয় ঘটনা নয় বলে দাবি করেছে ছাত্রদল। বেড়া পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মানিক হোসেন বলেন, ‘দুই গ্রামের ছেলেদের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে দুই দল গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এর সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। মিছিলে একটু ধাক্কা লাগা থেকে এত বড় সংঘর্ষ হয়। এটা আমরা প্রত্যাশা করিনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চকরিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজের আগেই বের হয়ে যেতে বলা হয় জেলেনস্কিকে

‘আমাদের অনুমতি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করলে থানা ঘেরাও করব’, সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল

এনসিপির কর্মীদের ঢাকায় আনতে সরকারের বাস রিকুইজিশন, সমালোচনার ঝড়

সিরিয়ায় রাশিয়ার ঘাঁটি রাখতে যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের তদবির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত