চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে শিবগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুজ্জামান এ নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী নূরে আলম সিদ্দীকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার চরপাঁকা হলদাপাড়ার ইসমাইল (৪০), একই এলাকার লালবর আলী (৩১) ও সৈবুর আলী (২৮) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাঁধ এলাকার জহির আলী (৩৯) ও নারায়ণপুরের মো. ইকবাল (২৭)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হারুন অর রশিদের স্ত্রী ডেজিয়ারা ও মেয়ে বৃষ্টি পদ্মা নদীতে নৌকাডুবিতে মারা যান। ওই বছরের ১০ অক্টোবর শিবগঞ্জ আমলি আদালতে মামলা করেন তিনি। হারুন শিবগঞ্জ উপজেলার বাবুপুরের চরপাঁকা দশরশিয়ার কুদ্দুসের ছেলে। আদালতের তৎকালীন বিচারক মামলাটি শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। তবে শিবগঞ্জ থানার এসআই মো. আব্দুল আনাম ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি ঘটনাটিতে তথ্যগত ভুল রয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বাদী নারাজি দিলে আদালত পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়ায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ আসামিরা ওই মামলায় জামিন আবেদন করলে আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আইনজীবী নূরে আলম সিদ্দীকী আসাদ জানান, নৌকাডুবির ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে আদালতের কাছে বিচার চাওয়া হয়। অতিরিক্ত মালামাল ও যাত্রী না নেওয়ার জন্য একাধিকবার ঘাটের লোকজনকে বলা হলেও তাঁরা শোনেনি। উল্টো তাঁরা যাত্রীদের নৌকা থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। সে সময় আদালত মামলাটি শিবগঞ্জ থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশনা দেন। কিন্তু শিবগঞ্জ থানা-পুলিশ আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আইনজীবী আরও বলেন, এ মামলায় নারাজি দেওয়া হলে আদালত পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়ায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ আসামিরা ওই মামলায় জামিন আবেদন করেন। আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের বোগলাউড়ি ঘাট থেকে নৌকাটি যাত্রী নিয়ে পদ্মার ওপারে পাঁকা ইউনিয়ন যাওয়ার পথে লক্ষ্মীপুর এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও স্রোতে পড়ে ডুবে যায়। ঘটনার দিন নিলুফা বেগম ও ফিটু আলীর মেয়ে মাইশার মরদেহ পাওয়া। পরদিন বিকেলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ থেকে ফিটু আলীর ছেলে আসমাউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১ অক্টোবর আবারও সুলতানগঞ্জ এলাকা থেকে হারুন অর রশিদের স্ত্রী ডেজিয়ারা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই দিন চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাখের আলী এলাকার পদ্মা নদী থেকে তাঁর মেয়ে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে শিবগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুজ্জামান এ নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী নূরে আলম সিদ্দীকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার চরপাঁকা হলদাপাড়ার ইসমাইল (৪০), একই এলাকার লালবর আলী (৩১) ও সৈবুর আলী (২৮) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাঁধ এলাকার জহির আলী (৩৯) ও নারায়ণপুরের মো. ইকবাল (২৭)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হারুন অর রশিদের স্ত্রী ডেজিয়ারা ও মেয়ে বৃষ্টি পদ্মা নদীতে নৌকাডুবিতে মারা যান। ওই বছরের ১০ অক্টোবর শিবগঞ্জ আমলি আদালতে মামলা করেন তিনি। হারুন শিবগঞ্জ উপজেলার বাবুপুরের চরপাঁকা দশরশিয়ার কুদ্দুসের ছেলে। আদালতের তৎকালীন বিচারক মামলাটি শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। তবে শিবগঞ্জ থানার এসআই মো. আব্দুল আনাম ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি ঘটনাটিতে তথ্যগত ভুল রয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বাদী নারাজি দিলে আদালত পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়ায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ আসামিরা ওই মামলায় জামিন আবেদন করলে আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আইনজীবী নূরে আলম সিদ্দীকী আসাদ জানান, নৌকাডুবির ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে আদালতের কাছে বিচার চাওয়া হয়। অতিরিক্ত মালামাল ও যাত্রী না নেওয়ার জন্য একাধিকবার ঘাটের লোকজনকে বলা হলেও তাঁরা শোনেনি। উল্টো তাঁরা যাত্রীদের নৌকা থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। সে সময় আদালত মামলাটি শিবগঞ্জ থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশনা দেন। কিন্তু শিবগঞ্জ থানা-পুলিশ আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আইনজীবী আরও বলেন, এ মামলায় নারাজি দেওয়া হলে আদালত পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়ায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ আসামিরা ওই মামলায় জামিন আবেদন করেন। আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের বোগলাউড়ি ঘাট থেকে নৌকাটি যাত্রী নিয়ে পদ্মার ওপারে পাঁকা ইউনিয়ন যাওয়ার পথে লক্ষ্মীপুর এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও স্রোতে পড়ে ডুবে যায়। ঘটনার দিন নিলুফা বেগম ও ফিটু আলীর মেয়ে মাইশার মরদেহ পাওয়া। পরদিন বিকেলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ থেকে ফিটু আলীর ছেলে আসমাউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১ অক্টোবর আবারও সুলতানগঞ্জ এলাকা থেকে হারুন অর রশিদের স্ত্রী ডেজিয়ারা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই দিন চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাখের আলী এলাকার পদ্মা নদী থেকে তাঁর মেয়ে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
গাজীপুরের শ্রীপুরে বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে বিনা নোটিশে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে, মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে খানটেক্স কম্পোজিট টেক্সটাইল নামক একটি কারখানার শ্রমিকেরা। কর্মস্থলে এসে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠে শ্রমিকেরা।
২ মিনিট আগেমেধার ভিত্তিতে সিট প্রদান, শিক্ষার্থীদের ফি কমানো, ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় আনাসহ নয় দফা দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
১৪ মিনিট আগেনাটোরের সিংড়ায় ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে প্রবেশের সময় এক ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার ১০ নম্বর চৌগ্রাম ইউনিয়নের চৌগ্রাম পারুহারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগেপৃথক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশনে থাকা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনশনরত ৯ শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে। তাঁদের স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। একজন চিকিৎসক ও দুজন নার্সকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখব
২৭ মিনিট আগে