Ajker Patrika

পুলিশের প্রতিবেদনে ৫ আসামি নির্দোষ, কারাগারে পাঠালেন আদালত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২: ২০
Thumbnail image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে শিবগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুজ্জামান এ নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী নূরে আলম সিদ্দীকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

আসামিরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার চরপাঁকা হলদাপাড়ার ইসমাইল (৪০), একই এলাকার লালবর আলী (৩১) ও সৈবুর আলী (২৮) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাঁধ এলাকার জহির আলী (৩৯) ও নারায়ণপুরের মো. ইকবাল (২৭)। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হারুন অর রশিদের স্ত্রী ডেজিয়ারা ও মেয়ে বৃষ্টি পদ্মা নদীতে নৌকাডুবিতে মারা যান। ওই বছরের ১০ অক্টোবর শিবগঞ্জ আমলি আদালতে মামলা করেন তিনি। হারুন শিবগঞ্জ উপজেলার বাবুপুরের চরপাঁকা দশরশিয়ার কুদ্দুসের ছেলে। আদালতের তৎকালীন বিচারক মামলাটি শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। তবে শিবগঞ্জ থানার এসআই মো. আব্দুল আনাম ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি ঘটনাটিতে তথ্যগত ভুল রয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

বাদী নারাজি দিলে আদালত পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়ায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ আসামিরা ওই মামলায় জামিন আবেদন করলে আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

আইনজীবী নূরে আলম সিদ্দীকী আসাদ জানান, নৌকাডুবির ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে আদালতের কাছে বিচার চাওয়া হয়। অতিরিক্ত মালামাল ও যাত্রী না নেওয়ার জন্য একাধিকবার ঘাটের লোকজনকে বলা হলেও তাঁরা শোনেনি। উল্টো তাঁরা যাত্রীদের নৌকা থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। সে সময় আদালত মামলাটি শিবগঞ্জ থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশনা দেন। কিন্তু শিবগঞ্জ থানা-পুলিশ আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

আইনজীবী আরও বলেন, এ মামলায় নারাজি দেওয়া হলে আদালত পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়ায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ আসামিরা ওই মামলায় জামিন আবেদন করেন। আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের বোগলাউড়ি ঘাট থেকে নৌকাটি যাত্রী নিয়ে পদ্মার ওপারে পাঁকা ইউনিয়ন যাওয়ার পথে লক্ষ্মীপুর এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও স্রোতে পড়ে ডুবে যায়। ঘটনার দিন নিলুফা বেগম ও ফিটু আলীর মেয়ে মাইশার মরদেহ পাওয়া। পরদিন বিকেলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ থেকে ফিটু আলীর ছেলে আসমাউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১ অক্টোবর আবারও সুলতানগঞ্জ এলাকা থেকে হারুন অর রশিদের স্ত্রী ডেজিয়ারা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই দিন চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাখের আলী এলাকার পদ্মা নদী থেকে তাঁর মেয়ে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণের ১৩০০ কোটির এক টাকাও দেননি হলিডে ইনের মালিক

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

গণ–সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেন বিএনপি নেতা

হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত