প্রতিনিধি, রাজশাহী

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কয়েদি মুক্তির আশায় বারবার আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে রিট করছেন। তাঁর আইনজীবী চারটি মামলার বর্ণনা দিয়ে হাইকোর্টকে বলছেন, সাজা খাটার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তাঁকে জেলখানায় আটকে রাখা হয়েছে।
তবে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, এই আসামির মোট মামলার সংখ্যা ১১। কোনো রায়েই উল্লেখ নেই যে সব মামলার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে। তাই জেল কোড অনুযায়ী একটার পর একটা সাজা কার্যকর করা হবে। এভাবে তাঁকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হবে।
এই কয়েদির নাম জহির উদ্দিন। তাঁর বাড়ি রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার শিরোইল এলাকায়। রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মুত্তাহিদা হোসেন ২০১৭ সালে জহিরকে তিনটি মামলায় ছয় মাস করে এবং একটি মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। রায়ে উল্লেখ ছিল না যে একসঙ্গেই সবগুলো কার্যকর হবে।
সে হিসাবে চার মামলায় মোট ২১ মাস কারাভোগ করেছেন জহির। এই চার মামলার সাজা খাটা শেষ হয়েছে। এলাকায় প্রতারক হিসেবে পরিচিত জহির গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি। চার মামলার কারাদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর অন্যান্য মামলার সাজার হিসাব শুরু করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
তবে এবার ‘ভিন্ন পথে’ মুক্তির চেষ্টা চালাচ্ছেন কয়েদি জহির। সম্প্রতি আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। এতে রাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, রাজশাহী যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়। রিটে হাইকোর্টকে জানানো হয়, ২১ মাস সাজা খাটা শেষ হলেও আরও ২৩ মাস আটকে রাখা হয়েছে তাঁকে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি হয়। আদেশে জহিরকে কারাবন্দী রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং মেয়াদের ‘বেশি’ সাজা খাটার পরও তাঁকে কেন মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, ‘জহিরের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা। সব মামলাতেই সে সাজাপ্রাপ্ত। মামলাগুলো প্রতারণা, চেক জালিয়াতি—এ ধরনের। কোনোটিতে ছয় মাস, কোনোটিতে চার মাস—এভাবে সাজা আছে। কোনো মামলার রায়ে উল্লেখ নেই যে, একসঙ্গে সব মামলার সাজা কার্যকর হবে। তাই জেল কোড অনুযায়ী আমরা একটার পর একটা সাজা কার্যকর করছি। ২০২৫ সাল পর্যন্ত তাঁকে জেলে থাকতে হবে। কিন্তু যে মামলাগুলোর সাজার মেয়াদ শেষ, শুধু সেগুলোর বর্ণনা হাইকোর্টে দিয়ে রিট করা হয়।’
জেল সুপার বলেন, ‘সাজার মেয়াদ শেষেও আটকে রাখা হয়েছে দাবি করে এর আগেও হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আসামি জহির আইনজীবীর মাধ্যমে রিট করেছিলেন। সেই বেঞ্চকে আমরা বিষয়টা জানিয়েছি। ওখানে লাভ না হওয়ায় আরেকটি বেঞ্চে রিট করা হয়েছে। এখানেও আমাদের জহিরের অন্য মামলার সাজার বিষয়টা জানাতে হবে।’
একাধিক মামলায় দণ্ড থাকলে এবং আসামিও কারাগারে থাকলে কীভাবে সাজা কার্যকর হবে এমন প্রশ্নে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, ‘রায়ে যদি আদালত উল্লেখ করে দেন যে সবগুলো সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে, তাহলে সেভাবেই হবে। কিন্তু সেটা না থাকলে আলাদা আলাদাভাবেই একটার পর একটা সাজা কার্যকর হবে।’ তবে সবগুলো সাজা একসঙ্গে কার্যকর করার সুযোগও আসামির আছে বলে জানান আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু। 
 
এন্তাজুল হক বাবু জানান, সে ক্ষেত্রে আসামি যখন কারাগারে যান, তখন আইনজীবীর মাধ্যমে বিষয়টা সেই সব আদালতকে অবহিত করতে হয়, যে যে আদালতে তাঁর দণ্ড হয়েছে। আদালতগুলোতে আবেদন করতে হয়, যে মামলায় গ্রেপ্তার, সেই মামলার সঙ্গে যেন অন্য মামলায়ও তাঁর সাজা কার্যকরের হিসাব শুরু করা হয়। তাহলে আদালত আদেশ দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অন্য মামলার সঙ্গে আরেক মামলারও সাজা কার্যকর হয়।
তাই এই আসামির প্রয়োজন ছিল নিম্ন আদালতকে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি অবহিত করা। এটি না করেই মুক্তির জন্য রিট করা ‘উল্টো পথে’ হাঁটা বলে মন্তব্য করেন এই আইনজীবী।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কয়েদি মুক্তির আশায় বারবার আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে রিট করছেন। তাঁর আইনজীবী চারটি মামলার বর্ণনা দিয়ে হাইকোর্টকে বলছেন, সাজা খাটার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তাঁকে জেলখানায় আটকে রাখা হয়েছে।
তবে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, এই আসামির মোট মামলার সংখ্যা ১১। কোনো রায়েই উল্লেখ নেই যে সব মামলার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে। তাই জেল কোড অনুযায়ী একটার পর একটা সাজা কার্যকর করা হবে। এভাবে তাঁকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হবে।
এই কয়েদির নাম জহির উদ্দিন। তাঁর বাড়ি রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার শিরোইল এলাকায়। রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মুত্তাহিদা হোসেন ২০১৭ সালে জহিরকে তিনটি মামলায় ছয় মাস করে এবং একটি মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। রায়ে উল্লেখ ছিল না যে একসঙ্গেই সবগুলো কার্যকর হবে।
সে হিসাবে চার মামলায় মোট ২১ মাস কারাভোগ করেছেন জহির। এই চার মামলার সাজা খাটা শেষ হয়েছে। এলাকায় প্রতারক হিসেবে পরিচিত জহির গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি। চার মামলার কারাদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর অন্যান্য মামলার সাজার হিসাব শুরু করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
তবে এবার ‘ভিন্ন পথে’ মুক্তির চেষ্টা চালাচ্ছেন কয়েদি জহির। সম্প্রতি আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। এতে রাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, রাজশাহী যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়। রিটে হাইকোর্টকে জানানো হয়, ২১ মাস সাজা খাটা শেষ হলেও আরও ২৩ মাস আটকে রাখা হয়েছে তাঁকে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি হয়। আদেশে জহিরকে কারাবন্দী রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং মেয়াদের ‘বেশি’ সাজা খাটার পরও তাঁকে কেন মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, ‘জহিরের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা। সব মামলাতেই সে সাজাপ্রাপ্ত। মামলাগুলো প্রতারণা, চেক জালিয়াতি—এ ধরনের। কোনোটিতে ছয় মাস, কোনোটিতে চার মাস—এভাবে সাজা আছে। কোনো মামলার রায়ে উল্লেখ নেই যে, একসঙ্গে সব মামলার সাজা কার্যকর হবে। তাই জেল কোড অনুযায়ী আমরা একটার পর একটা সাজা কার্যকর করছি। ২০২৫ সাল পর্যন্ত তাঁকে জেলে থাকতে হবে। কিন্তু যে মামলাগুলোর সাজার মেয়াদ শেষ, শুধু সেগুলোর বর্ণনা হাইকোর্টে দিয়ে রিট করা হয়।’
জেল সুপার বলেন, ‘সাজার মেয়াদ শেষেও আটকে রাখা হয়েছে দাবি করে এর আগেও হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আসামি জহির আইনজীবীর মাধ্যমে রিট করেছিলেন। সেই বেঞ্চকে আমরা বিষয়টা জানিয়েছি। ওখানে লাভ না হওয়ায় আরেকটি বেঞ্চে রিট করা হয়েছে। এখানেও আমাদের জহিরের অন্য মামলার সাজার বিষয়টা জানাতে হবে।’
একাধিক মামলায় দণ্ড থাকলে এবং আসামিও কারাগারে থাকলে কীভাবে সাজা কার্যকর হবে এমন প্রশ্নে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, ‘রায়ে যদি আদালত উল্লেখ করে দেন যে সবগুলো সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে, তাহলে সেভাবেই হবে। কিন্তু সেটা না থাকলে আলাদা আলাদাভাবেই একটার পর একটা সাজা কার্যকর হবে।’ তবে সবগুলো সাজা একসঙ্গে কার্যকর করার সুযোগও আসামির আছে বলে জানান আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু। 
 
এন্তাজুল হক বাবু জানান, সে ক্ষেত্রে আসামি যখন কারাগারে যান, তখন আইনজীবীর মাধ্যমে বিষয়টা সেই সব আদালতকে অবহিত করতে হয়, যে যে আদালতে তাঁর দণ্ড হয়েছে। আদালতগুলোতে আবেদন করতে হয়, যে মামলায় গ্রেপ্তার, সেই মামলার সঙ্গে যেন অন্য মামলায়ও তাঁর সাজা কার্যকরের হিসাব শুরু করা হয়। তাহলে আদালত আদেশ দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অন্য মামলার সঙ্গে আরেক মামলারও সাজা কার্যকর হয়।
তাই এই আসামির প্রয়োজন ছিল নিম্ন আদালতকে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি অবহিত করা। এটি না করেই মুক্তির জন্য রিট করা ‘উল্টো পথে’ হাঁটা বলে মন্তব্য করেন এই আইনজীবী।


সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে সানোয়ার হোসেন সানু (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে সদরের বহুলী ইউনিয়নের চকমোক্তারগাতি এলাকার একটি ধানখেত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সানু সদর উপজেলার
৪ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলা অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজক কমিটিকে বারবার মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি।
৬ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আবু সাদাদ সায়েম (৫০) নামের এক আসামির লাশ ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামে লাশটি পাওয়া যায়। জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সায়েমকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।
৬ মিনিট আগে
সিলেটে আবদুর রাজ্জাক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের নিজ বাসার ছাদে তাঁর লাশ মেলে। পুলিশ বলছে, নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
১৩ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে সানোয়ার হোসেন সানু (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ভোরে সদরের বহুলী ইউনিয়নের চকমোক্তারগাতি এলাকার একটি ধানখেত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সানু সদর উপজেলার বহুলীর আলমপুর বাজার এলাকার বাদুল্লা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে পুলিশ জানায়, আজ ভোরে সানোয়ার রায়গঞ্জ উপজেলার নিজামগাতি গ্রামের হাসান আলীর বাড়িতে গরু চুরি করতে যান। এ সময় বাড়ির লোকজন টের পাওয়ায় পালাতে গিয়ে ফুলজোড় নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে নদী সাঁতরে চকমোক্তারগাতি এলাকায় যান। সেখানে একটি ধানখেতের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ব্যক্তির নামে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তিনি হয়তো গরু চুরি করতে গিয়েছিলেন। তিনি ঢাকায় থাকতেন, মাঝে মাঝে চুরি করতে এলাকায় আসতেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের জানিয়েছেন। নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
সদর থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) আহসানুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার এখনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা করেনি। লাশ আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে সানোয়ার হোসেন সানু (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ভোরে সদরের বহুলী ইউনিয়নের চকমোক্তারগাতি এলাকার একটি ধানখেত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সানু সদর উপজেলার বহুলীর আলমপুর বাজার এলাকার বাদুল্লা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে পুলিশ জানায়, আজ ভোরে সানোয়ার রায়গঞ্জ উপজেলার নিজামগাতি গ্রামের হাসান আলীর বাড়িতে গরু চুরি করতে যান। এ সময় বাড়ির লোকজন টের পাওয়ায় পালাতে গিয়ে ফুলজোড় নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে নদী সাঁতরে চকমোক্তারগাতি এলাকায় যান। সেখানে একটি ধানখেতের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ব্যক্তির নামে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তিনি হয়তো গরু চুরি করতে গিয়েছিলেন। তিনি ঢাকায় থাকতেন, মাঝে মাঝে চুরি করতে এলাকায় আসতেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের জানিয়েছেন। নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
সদর থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) আহসানুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার এখনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা করেনি। লাশ আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


‘জহিরের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা। সব মামলাতেই সে সাজাপ্রাপ্ত। অথচ, তিনটি মামলায় ৬ মাস করে এবং একটি মামলায় তিন মাস কারাভোগের পরেই তাঁর আইনজীবী আদালতে রিট করেছেন। রিটে হাইকোর্টকে জানানো হয়, ২১ মাস সাজা খাটা শেষ হলেও আরও ২৩ মাস আটকে রাখা হয়েছে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলা অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজক কমিটিকে বারবার মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি।
৬ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আবু সাদাদ সায়েম (৫০) নামের এক আসামির লাশ ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামে লাশটি পাওয়া যায়। জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সায়েমকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।
৬ মিনিট আগে
সিলেটে আবদুর রাজ্জাক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের নিজ বাসার ছাদে তাঁর লাশ মেলে। পুলিশ বলছে, নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
১৩ মিনিট আগেকাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলা অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজক কমিটিকে বারবার মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। পরে আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় মেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁকে সহযোগিতা করেন কাজীপুর সেনাক্যাম্পের সদস্য, থানা-পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
জানা গেছে, ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিনের জন্য কাজীপুরের সোনামুখী মেলার অনুমোদন দিয়েছিল সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসন। অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা বন্ধ না করে নিয়মিত মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। পরে মেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।
কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মেলা বন্ধ করতে আয়োজক কমিটিকে বারবার বলা হয়েছে, কিন্তু বন্ধ করেনি। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় আজকে অভিযান চালিয়ে সব উচ্ছেদ করা হয়েছে।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘মেলায় ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প ব্যবসায়ীদের পক্ষে তিনজন তাঁদের অপরাধ স্বীকার করেন এবং এমন অপরাধ আর করবেন না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন। ভোগ্যপণ্যের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয় বিবেচনা করে ব্যবসায়ীদের নিজেদের সবকিছু দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করা ও অননুমোদিতভাবে মেলা চালিয়ে যাওয়ায় আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য কাজীপুর থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, ‘মেলার আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশনা আমরা এখনো পাইনি। তবে তিনজনকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। মেলার সবকিছু সরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত তাদের ছাড়া হবে না।’

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলা অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজক কমিটিকে বারবার মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। পরে আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় মেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁকে সহযোগিতা করেন কাজীপুর সেনাক্যাম্পের সদস্য, থানা-পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
জানা গেছে, ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিনের জন্য কাজীপুরের সোনামুখী মেলার অনুমোদন দিয়েছিল সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসন। অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা বন্ধ না করে নিয়মিত মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। পরে মেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।
কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মেলা বন্ধ করতে আয়োজক কমিটিকে বারবার বলা হয়েছে, কিন্তু বন্ধ করেনি। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় আজকে অভিযান চালিয়ে সব উচ্ছেদ করা হয়েছে।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘মেলায় ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প ব্যবসায়ীদের পক্ষে তিনজন তাঁদের অপরাধ স্বীকার করেন এবং এমন অপরাধ আর করবেন না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন। ভোগ্যপণ্যের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয় বিবেচনা করে ব্যবসায়ীদের নিজেদের সবকিছু দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করা ও অননুমোদিতভাবে মেলা চালিয়ে যাওয়ায় আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য কাজীপুর থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, ‘মেলার আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশনা আমরা এখনো পাইনি। তবে তিনজনকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। মেলার সবকিছু সরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত তাদের ছাড়া হবে না।’


‘জহিরের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা। সব মামলাতেই সে সাজাপ্রাপ্ত। অথচ, তিনটি মামলায় ৬ মাস করে এবং একটি মামলায় তিন মাস কারাভোগের পরেই তাঁর আইনজীবী আদালতে রিট করেছেন। রিটে হাইকোর্টকে জানানো হয়, ২১ মাস সাজা খাটা শেষ হলেও আরও ২৩ মাস আটকে রাখা হয়েছে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে সানোয়ার হোসেন সানু (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে সদরের বহুলী ইউনিয়নের চকমোক্তারগাতি এলাকার একটি ধানখেত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সানু সদর উপজেলার
৪ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আবু সাদাদ সায়েম (৫০) নামের এক আসামির লাশ ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামে লাশটি পাওয়া যায়। জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সায়েমকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।
৬ মিনিট আগে
সিলেটে আবদুর রাজ্জাক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের নিজ বাসার ছাদে তাঁর লাশ মেলে। পুলিশ বলছে, নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
১৩ মিনিট আগেহালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আবু সাদাদ সায়েম (৫০) নামের এক আসামির লাশ ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামে লাশটি পাওয়া যায়। জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সায়েমকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।
মৃত সায়েম ওই এলাকার মোসলেম উদ্দিন বিল্লালের ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেনের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। সম্প্রতি এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোজাম্মেল থানায় মামলা করেন। গতকাল রাতে হালুয়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিকের নেতৃত্বে মোসলেম উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মোসলেম উদ্দিনের ছেলে সায়েম ঘর থেকে বের না হলে পুলিশ গ্রিলের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় সায়েম পেছনের দরজা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আজ ভোরে বাড়ির পেছনে ধানখেতে ছেলেকে পড়ে থাকতে দেখতে পান তাঁর বাবা। স্বজনেরা তাঁকে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে আমার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এর ফলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে থানায় তারা মামলা করে।’
মৃতের ভাই জসিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘এসআই মানিকের সহযোগিতায় বাদীপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করে ধানখেতে ফেলে রেখে যায়। অথচ মামলায় আমাদের গ্রেপ্তার করবে না বলে আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয় এসআই মানিক। আমার প্রশ্ন, পুলিশ কীভাবে গ্রিলের তালা ভেঙে গভীর রাতে ঘরে আসতে পারে? আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হালুয়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক মিয়া বলেন, ‘আমি আসামি ধরতে যাই, কিন্তু না পেয়ে ফিরে আসি।’ আসামির বাড়িতে কোনো বাদী নিয়ে যাননি বলেও তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন। এসআই মানিক আরও বলেন, ‘আমার নামে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, আমাকে তিনি কোনো দিন দেখেনই নাই। তাঁর সঙ্গে কোনো দিন কথা হয় নাই। একটা মানুষ যদি এভাবে মিথ্যা কথা বলে, আমার এখন কী করার আছে।’
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম হারুন বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আবু সাদাদ সায়েম (৫০) নামের এক আসামির লাশ ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামে লাশটি পাওয়া যায়। জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সায়েমকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।
মৃত সায়েম ওই এলাকার মোসলেম উদ্দিন বিল্লালের ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেনের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। সম্প্রতি এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোজাম্মেল থানায় মামলা করেন। গতকাল রাতে হালুয়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিকের নেতৃত্বে মোসলেম উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মোসলেম উদ্দিনের ছেলে সায়েম ঘর থেকে বের না হলে পুলিশ গ্রিলের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় সায়েম পেছনের দরজা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আজ ভোরে বাড়ির পেছনে ধানখেতে ছেলেকে পড়ে থাকতে দেখতে পান তাঁর বাবা। স্বজনেরা তাঁকে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে আমার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এর ফলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে থানায় তারা মামলা করে।’
মৃতের ভাই জসিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘এসআই মানিকের সহযোগিতায় বাদীপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করে ধানখেতে ফেলে রেখে যায়। অথচ মামলায় আমাদের গ্রেপ্তার করবে না বলে আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয় এসআই মানিক। আমার প্রশ্ন, পুলিশ কীভাবে গ্রিলের তালা ভেঙে গভীর রাতে ঘরে আসতে পারে? আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হালুয়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক মিয়া বলেন, ‘আমি আসামি ধরতে যাই, কিন্তু না পেয়ে ফিরে আসি।’ আসামির বাড়িতে কোনো বাদী নিয়ে যাননি বলেও তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন। এসআই মানিক আরও বলেন, ‘আমার নামে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, আমাকে তিনি কোনো দিন দেখেনই নাই। তাঁর সঙ্গে কোনো দিন কথা হয় নাই। একটা মানুষ যদি এভাবে মিথ্যা কথা বলে, আমার এখন কী করার আছে।’
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম হারুন বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


‘জহিরের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা। সব মামলাতেই সে সাজাপ্রাপ্ত। অথচ, তিনটি মামলায় ৬ মাস করে এবং একটি মামলায় তিন মাস কারাভোগের পরেই তাঁর আইনজীবী আদালতে রিট করেছেন। রিটে হাইকোর্টকে জানানো হয়, ২১ মাস সাজা খাটা শেষ হলেও আরও ২৩ মাস আটকে রাখা হয়েছে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে সানোয়ার হোসেন সানু (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে সদরের বহুলী ইউনিয়নের চকমোক্তারগাতি এলাকার একটি ধানখেত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সানু সদর উপজেলার
৪ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলা অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজক কমিটিকে বারবার মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি।
৬ মিনিট আগে
সিলেটে আবদুর রাজ্জাক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের নিজ বাসার ছাদে তাঁর লাশ মেলে। পুলিশ বলছে, নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
১৩ মিনিট আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটে আবদুর রাজ্জাক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের নিজ বাসার ছাদে তাঁর লাশ মেলে। পুলিশ বলছে, নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত আবদুর রাজ্জাক দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের মরহুম মৌলুল হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, আজ ফজরের নামাজ পড়ে বাসার ছাদে হাঁটতে যান আবদুর রাজ্জাক। সকাল ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বাসায় খুঁজে না পেয়ে ছাদে গিয়ে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে আবদুর রাজ্জাককে খুন করা হয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। আমরা ওই ছুরিটি উদ্ধার করেছি। এখন বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’

সিলেটে আবদুর রাজ্জাক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের নিজ বাসার ছাদে তাঁর লাশ মেলে। পুলিশ বলছে, নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত আবদুর রাজ্জাক দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের মরহুম মৌলুল হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, আজ ফজরের নামাজ পড়ে বাসার ছাদে হাঁটতে যান আবদুর রাজ্জাক। সকাল ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বাসায় খুঁজে না পেয়ে ছাদে গিয়ে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে আবদুর রাজ্জাককে খুন করা হয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। আমরা ওই ছুরিটি উদ্ধার করেছি। এখন বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’


‘জহিরের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা। সব মামলাতেই সে সাজাপ্রাপ্ত। অথচ, তিনটি মামলায় ৬ মাস করে এবং একটি মামলায় তিন মাস কারাভোগের পরেই তাঁর আইনজীবী আদালতে রিট করেছেন। রিটে হাইকোর্টকে জানানো হয়, ২১ মাস সাজা খাটা শেষ হলেও আরও ২৩ মাস আটকে রাখা হয়েছে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে সানোয়ার হোসেন সানু (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে সদরের বহুলী ইউনিয়নের চকমোক্তারগাতি এলাকার একটি ধানখেত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সানু সদর উপজেলার
৪ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলা অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজক কমিটিকে বারবার মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি।
৬ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আবু সাদাদ সায়েম (৫০) নামের এক আসামির লাশ ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামে লাশটি পাওয়া যায়। জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সায়েমকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।
৬ মিনিট আগে