Ajker Patrika

কিস্তির টাকা চাওয়ায় নারী এনজিওকর্মীকে মারধরের অভিযোগ

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬: ৫৩
কিস্তির টাকা চাওয়ায় নারী এনজিওকর্মীকে মারধরের অভিযোগ

রাজশাহীর দুর্গাপুরে কিস্তির টাকা তুলতে নারী এনজিওকর্মীর ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের পারিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

হামলার শিকার নারীর নাম তাসফি আক্তার মুন্নি (২৫)। তিনি গ্রামীণ ব্যাংক জয়নগর দুর্গাপুর শাখার মাঠকর্মী। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিলা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে বকেয়া কিস্তি আদায় করতে যান ওই নারী। এ সময় ঋণগ্রহীতা আনোয়ার কিস্তি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আনোয়ার ওই নারীকে মারধর করেন এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করতে আসেন। এমনকি অ্যাসিড মারবেন বলে হুমকি দেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর স্বামী চিৎকার করলে এলাকাবাসী তাঁদের উদ্ধার করেন। 

এনজিওকর্মী মুন্নি বলেন, ‘আনোয়ার হোসেন কিছুদিন আগে বকেয়া কিস্তির টাকা পরিশোধ করে পুনরায় ঋণ চাচ্ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী আমি তাঁকে লোন দিতে চাইনি। তখনই আমার ওপরে ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। আজ সকালে বকেয়া কিস্তি টাকা তাঁর বাড়িতে নিতে আসি, টাকা চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাগান্বিত হয়ে বলেন টাকা কেন দেব, এই বলেই আমাকে ও আমার স্বামীকে কিল-ঘুষি দেওয়া শুরু করেন। একপর্যায়ে হাতুড়ি, হাঁসুয়া নিয়ে আমাদের ওপরে হামলা করতে আসলে স্থানীয় লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করেন।’ 

প্রতিবেশী জালাল বলেন, ‘আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম, দেখছি আনোয়ার হাতুড়ি, হাঁসুয়া নিয়ে এনজিওকর্মী ও তাঁর স্বামীর ওপরে হামলা করতে আসছে। এমন সময় এলাকাবাসী দৌড়ে আসলে আনোয়ার বাড়িতে পালিয়ে যায়।’ 

জয়নগর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আয়তুল্লা হোসেন বলেন, ‘আনোয়ার দীর্ঘদিন ধরে এলাকার লোকজনের সঙ্গে উগ্র ও মারমুখী আচরণ করছেন। তিনি কিছুদিন আগে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যকে অকথ্য ভাষায় গালি দেন।’ 

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউনুস আলী বলেন, ‘এনজিওকর্মীর ওপর হামলা হয়েছে শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। এসে দেখি আনোয়ার পালিয়ে যাচ্ছে। পরে শুনি নারী এনজিওকর্মীকে মারধর করেছে ও অ্যাসিড মারার হুমকিও দিয়েছে।’ 

গ্রামীণ ব্যাংক জয়নগর দুর্গাপুর শাখার ব্যবস্থাপক এস এম ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘মারধর ও হামলার ঘটনায় আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করব। প্রশাসন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি।’ 

মারধর ও হামলার বিষয়ে জানার জন্য হামলাকারী সেই আনোয়ারকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল ধরেননি এবং তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় গেটে তালা ঝোলানো। 

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অফিসার খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘এনজিওকর্মীকে মারধর বিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে প্রতিষ্ঠান বা কর্মী লিখিত অভিযোগ করলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত