সিয়াম সাহারিয়া, নওগাঁ
এই অসময়ে আম! তা-ও আবার ঘ্রাণে ম-ম করা আম!
আমের মৌসুম তো সেই কবে শেষ হয়ে গেছে। এখন যা-ও এখানে-ওখানে পাওয়া যায়, তার স্বাদ নেই বললেই চলে। মানুষ এখন আমের পরবর্তী মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করছে। ঠিক এ রকম একটি সময়ে যদি গৌরমতি নামে একটি আম পাকতে থাকে, সুঘ্রাণ ছড়ায় এবং জানিয়ে দেয়—দাঁড়াও, আমের মৌসুম শেষ হয়নি, আমি আছি এখনো, তাহলে ব্যাপারটা কেমন দাঁড়ায়?
হ্যাঁ, এই অসময়েই পাকছে গৌরমতি। স্বাদ? মনভোলানো কড়া মিষ্টি। নাবি জাতের এই আম চাষে সফলতা পেয়েছেন নওগাঁর দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী নামের এক চাষি।
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার কাঁটাবাড়িতে প্রায় ২০ বিঘা ও ধামইরহাট উপজেলার হযরতপুরে ৪০ বিঘা জমিতে গৌরমতির বাগান গড়ে তুলেছেন স্থানীয় এই উদ্যোক্তা। মৌসুম শেষ হলেও এখনো তাঁর বাগানে ঝুলছে আম। রসালো আমের সুঘ্রাণে ভরে উঠেছে পুরো বাগান। শ্রমিকেরা ব্যস্ত গাছ থেকে আম নামাতে। অসময়ে আম পাওয়া যাচ্ছে শুনে কেউ কেউ আসছেন বাগান দেখতে।
অন্য আমের মুকুল যখন আসে, গৌরমতিরও মুকুল তখনই আসে। কিন্তু অন্য আমের মৌসুম শেষ হলেই গৌরমতির মুখে হাসি ফোটে। তখন আম পাড়া শুরু হয়। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে গৌরমতি বিক্রি করছেন দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী। যে কেউ জানেন, অন্য আমের মৌসুম শেষে এই আম উৎপাদন হওয়ায় বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। শুরুর দিকে প্রতি মণ আম ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং পাইকারিতে গড়ে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এতে মাত্র দুই বছরেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন দেলোয়ার।
দুই বছর আগে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় গৌরমতি আমের চারা সংগ্রহ করেছিলেন দেলোয়ার। এখন দুটি বাগানে মোট ৩ হাজার ৭০০ গাছ রয়েছে তাঁর। এর মধ্যে একটি বাগান করতে খরচ হয়েছে
৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে খরচের সব টাকা উঠে এসেছে। অন্য আমের চেয়ে ব্যাপক লাভজনক এই গৌরমতি। ফলনও প্রচুর। আগামী বছর থেকে আরও বেশি লাভ হবে বলেআশায় বুক বেঁধেছেন দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অসময়ে আমের ফলন ও লাভের কথা শুনে অনেকেই এখন এই জাতের আমবাগান করায় উৎসাহী হচ্ছেন। সে রকমই একজন শফিকুল ইসলাম। গত শুক্রবার গৌরমতি আমের ওই বাগান দেখতে বগুড়া থেকে এসেছিলেন এই যুবক। বগুড়ার আদমদীঘিতে তাঁর একটি আম্রপালি জাতের আমের বাগান আছে। অসময়ে আম পাওয়া যাচ্ছে শুনে গৌরমতির বাগানটি দেখতে এসেছেন তিনি। শফিকুল ইসলাম বেশ খোশমেজাজে বললেন, ‘অসময়ে আমের ফলন! খেতে খুব মিষ্টি এবং বাজারে দামও চড়া। এ বছর আমিও গৌরমতি আম চাষের উদ্যোগ নেব।’
পত্নীতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গৌরমতি আম সবার পরে ওঠে, ফলন বেশ ভালো। ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে পুরো সেপ্টেম্বর মাস সংরক্ষণ করা সম্ভব। এ জন্য অন্য আমের তুলনায় গৌরমতি চাষে অধিক লাভবান হওয়া যায়।’
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুল ওয়াদুদ বলেন, ‘কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের গৌরমতি জাতের আম চাষের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
এই অসময়ে আম! তা-ও আবার ঘ্রাণে ম-ম করা আম!
আমের মৌসুম তো সেই কবে শেষ হয়ে গেছে। এখন যা-ও এখানে-ওখানে পাওয়া যায়, তার স্বাদ নেই বললেই চলে। মানুষ এখন আমের পরবর্তী মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করছে। ঠিক এ রকম একটি সময়ে যদি গৌরমতি নামে একটি আম পাকতে থাকে, সুঘ্রাণ ছড়ায় এবং জানিয়ে দেয়—দাঁড়াও, আমের মৌসুম শেষ হয়নি, আমি আছি এখনো, তাহলে ব্যাপারটা কেমন দাঁড়ায়?
হ্যাঁ, এই অসময়েই পাকছে গৌরমতি। স্বাদ? মনভোলানো কড়া মিষ্টি। নাবি জাতের এই আম চাষে সফলতা পেয়েছেন নওগাঁর দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী নামের এক চাষি।
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার কাঁটাবাড়িতে প্রায় ২০ বিঘা ও ধামইরহাট উপজেলার হযরতপুরে ৪০ বিঘা জমিতে গৌরমতির বাগান গড়ে তুলেছেন স্থানীয় এই উদ্যোক্তা। মৌসুম শেষ হলেও এখনো তাঁর বাগানে ঝুলছে আম। রসালো আমের সুঘ্রাণে ভরে উঠেছে পুরো বাগান। শ্রমিকেরা ব্যস্ত গাছ থেকে আম নামাতে। অসময়ে আম পাওয়া যাচ্ছে শুনে কেউ কেউ আসছেন বাগান দেখতে।
অন্য আমের মুকুল যখন আসে, গৌরমতিরও মুকুল তখনই আসে। কিন্তু অন্য আমের মৌসুম শেষ হলেই গৌরমতির মুখে হাসি ফোটে। তখন আম পাড়া শুরু হয়। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে গৌরমতি বিক্রি করছেন দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী। যে কেউ জানেন, অন্য আমের মৌসুম শেষে এই আম উৎপাদন হওয়ায় বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। শুরুর দিকে প্রতি মণ আম ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং পাইকারিতে গড়ে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এতে মাত্র দুই বছরেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন দেলোয়ার।
দুই বছর আগে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় গৌরমতি আমের চারা সংগ্রহ করেছিলেন দেলোয়ার। এখন দুটি বাগানে মোট ৩ হাজার ৭০০ গাছ রয়েছে তাঁর। এর মধ্যে একটি বাগান করতে খরচ হয়েছে
৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে খরচের সব টাকা উঠে এসেছে। অন্য আমের চেয়ে ব্যাপক লাভজনক এই গৌরমতি। ফলনও প্রচুর। আগামী বছর থেকে আরও বেশি লাভ হবে বলেআশায় বুক বেঁধেছেন দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অসময়ে আমের ফলন ও লাভের কথা শুনে অনেকেই এখন এই জাতের আমবাগান করায় উৎসাহী হচ্ছেন। সে রকমই একজন শফিকুল ইসলাম। গত শুক্রবার গৌরমতি আমের ওই বাগান দেখতে বগুড়া থেকে এসেছিলেন এই যুবক। বগুড়ার আদমদীঘিতে তাঁর একটি আম্রপালি জাতের আমের বাগান আছে। অসময়ে আম পাওয়া যাচ্ছে শুনে গৌরমতির বাগানটি দেখতে এসেছেন তিনি। শফিকুল ইসলাম বেশ খোশমেজাজে বললেন, ‘অসময়ে আমের ফলন! খেতে খুব মিষ্টি এবং বাজারে দামও চড়া। এ বছর আমিও গৌরমতি আম চাষের উদ্যোগ নেব।’
পত্নীতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গৌরমতি আম সবার পরে ওঠে, ফলন বেশ ভালো। ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে পুরো সেপ্টেম্বর মাস সংরক্ষণ করা সম্ভব। এ জন্য অন্য আমের তুলনায় গৌরমতি চাষে অধিক লাভবান হওয়া যায়।’
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুল ওয়াদুদ বলেন, ‘কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের গৌরমতি জাতের আম চাষের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাটে নিখোঁজের ১৯ দিন পর মরিয়ম (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রীর অর্ধগলিত লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার কাজিরহাট থানার জয়নগর ইউনিয়নের একটি ডোবা থেকে দেহ এবং আজ শনিবার সকালে মাথা ও হাত উদ্ধার করা হয়।
৩ মিনিট আগেবাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেছেন, গত ১৭ বছর শিক্ষকদের ভোটে সিল মারার কাজে লাগানো হয়েছে। আর নিরীহ শিক্ষকদের নানাভাবে অসম্মানিত করা হয়েছে। তাই শিক্ষকদের সম্মান ফেরাতে সবাইকে কাজ করতে হবে।
১৯ মিনিট আগেপাবনার বেড়া উপজেলায় মসজিদের বারান্দা নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত মো. হাদিস (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত হাদিস সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে। তিনি বেড়া উপজেলার তারাপুর গ্রামে
৪১ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের মারধর ও কোদালের কোপে এক বিধবা নারী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী মফিজ উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আবেয়া বেওয়া (৫০)।
১ ঘণ্টা আগে