Ajker Patrika

ধর্মঘটের প্রথম দিনেই অচল সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
ধর্মঘটের প্রথম দিনেই অচল সিরাজগঞ্জ

সড়কে থ্রি-হুইলার ও নসিমন-করিমন ও অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে রাজশাহী বিভাগে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। এর অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জেও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সড়ক পথে রাজশাহীর আট জেলার সঙ্গে সিরাজগঞ্জের সকল পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ধর্মঘটের প্রথম দিনেই অচল হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জ। সড়কে অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবিতে ধর্মঘটের কারণে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা। 

যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ধর্মঘটের কারণে যানবাহন না পেয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েও পথে পথে যাত্রীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। সকাল থেকে 
গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশে শহরের এম এ মতিন পৌর বাস টার্মিনালে আসেন যাত্রীরা। কিন্তু বাস না পেয়ে কেউ বিকল্প যানবাহন কেউবা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। 

এ ছাড়া পরিবহন ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সকল রুটের যাত্রীরাও। এদিকে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য সিএনজি, মাইক্রোবাসসহ বিকল্প যানবাহনে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা জরুরি প্রয়োজনে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। 

রাজশাহীগামী বাসের যাত্রী পারভিন আক্তার বলেন, ‘সকালে বাসস্ট্যান্ডে এসে টিকিট কাটার সময় কাউন্টার বন্ধ পেয়ে বিকল্প পথে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।’ 

সুজন সরকার নামের এক যাত্রী বলেন, ‘জরুরি কাজে বগুড়া যেতে হবে। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে কোনো বাস যাচ্ছে না। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কোনো
গণপরিবহনের দেখা মেলেনি। সিএনজি ও অটোরিকশা চললেও বেশি ভাড়া দাবি করছেন চালকেরা।’ 

ধর্মঘটের বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সমিতির সভাপতি সুলতান তালুকদার বলেন, ‘১০ দফা দাবিতে আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী
ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে। দাবি মানা না হলে এ আন্দোলন চলমান থাকবে।’ 

সিরাজগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী আতিকুর রহমান আতিক জানান ধর্মঘটের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে আজ সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলবে।’ 

এদিকে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান বলেন, ‘আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। এই গণসমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ যাতে অংশ নিতে না পারে এ জন্য পরিকল্পিতভাবে বাস ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। ধর্মঘট ডেকে বিএনপির সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। তবে ধর্মঘট উপেক্ষা করে সমাবেশে মানুষের ঢল নামবে। সাধারণ মানুষে এ সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। রাজশাহীর সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে।’ 

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার বলেন, ‘ধর্মঘটের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। বাস মালিক সমিতিতে
বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি সব দলের নেতারা রয়েছেন। তারা তাদের দাবি আদায়ে ধর্মঘট ডেকেছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত