চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদের’ প্রভাবে চারঘাটে তিন দিনের টানা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে নিম্ন আয়ের মানুষ ও কৃষকেরা চরম বিপাকে পড়েছেন। বৃষ্টিতে শ্রমজীবী মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে আছে কৃষকের পাকা আমন ধান ও সবজির খেত। সঙ্গে বিপর্যস্ত গবাদিপশু ও প্রাণীকুল।
ভোগান্তির শিকার মানুষেরা জানিয়েছেন, গত শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষকেই বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। তবে কর্মজীবী মানুষদেরও কম ভোগান্তি হয়নি। নিম্ন আয়ের মানুষ বৃষ্টিতে ভিজে অটো, নছিমন, ভটভটি, ভ্যান কিংবা অন্যান্য কাজে ঘর হতে বের হয়েছেন।
তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে অনেক কৃষকই এখনো আমন ধান ঘরে তুলতে পারেননি। এতে অনেকেরই শুকনো ধান ভিজে গেছে। শেষ সময়ে কষ্টের ফলানো ধান ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
এদিকে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রামের কৃষকেরা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ঘর থেকে গরু-ছাগল বের করা সম্ভব হয়নি। এমন অবস্থায় এসব পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষের অলস সময় কেটেছে বলেও জানা গেছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার সকাল থেকেই জেলায় থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। রোববার ও সোমবার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। সকাল থেকেই কখনো মাঝারি, কখনোবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এ অবস্থা আজ মঙ্গলবারও অব্যাহত থাকতে পারে।
উপজেলার মিয়াপুর গ্রামের ভ্যান চালক বজলু মিয়া বলেন, দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে আমরা নাকাল অবস্থায় পড়েছি। আমাদের আয়ের ওপরই সংসার চলে। তাই রুজির ধান্দায় বৃষ্টিতে ভিজে ঘর হতে বের হয়েছি। সামান্য কিছু আয়ও হয়েছে। এ দিয়ে চাল, ডাল ও নুন নিয়ে ঘরে ফিরব। তবেই রান্না-খাওয়া।
উপজেলার রাওথা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে অনেকেই ধান বাড়িতে তুলেছেন। তবে কারও কারও ধান কাটার পর শুকানোর জন্য রেখে দিয়েছেন খেতে। আবার কেউ কেউ শুকনো ধানের মুঠো বেঁধে গাদা করে রেখেছেন। এ অবস্থায় শনিবার ও রোববার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে বিপত্তি। বৃষ্টিতে ভিজেই ধান কাটা, বাঁধা ও নেওয়ার কাজ করছেন কিষানিরা। এতে বেগ পেতে হচ্ছে। সময় লাগছে বেশি। আর বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় তা নষ্ট হওয়ার উপক্রমও হয়েছে।
নিমপাড়া গ্রামের কৃষক বাসিন্দা আব্দুল কাদের বলেন, গরু বাছুর ও ছাগল নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছি। এগুলো ঘর থেকে বের করতে পারছি না। প্রাণী গুলোর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মদ বলেন, উপজেলায় এবার ৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। এর প্রায় ৭০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। বাড়ি তোলা হয়েছে অন্তত ৫৫-৬০ ভাগ ধান। যারা দেরিতে আবাদ করেছিলেন তাঁদের কিছু ধান এখনো মাঠে থেকে গেছে। তিন দিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে সেই ধান নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষকেরা।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদের’ প্রভাবে সারা দেশই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রাজশাহীতে তিন দিন ধরে এ পরিস্থিতি বিরাজমান। তবে মঙ্গলবারের পর থেকে আবহাওয়া অনেকটা স্বাভাবিক হতে পারে। মেঘ কেটে গেলে শীতের আগমন বেশি ঘটবে।
ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদের’ প্রভাবে চারঘাটে তিন দিনের টানা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে নিম্ন আয়ের মানুষ ও কৃষকেরা চরম বিপাকে পড়েছেন। বৃষ্টিতে শ্রমজীবী মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে আছে কৃষকের পাকা আমন ধান ও সবজির খেত। সঙ্গে বিপর্যস্ত গবাদিপশু ও প্রাণীকুল।
ভোগান্তির শিকার মানুষেরা জানিয়েছেন, গত শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষকেই বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। তবে কর্মজীবী মানুষদেরও কম ভোগান্তি হয়নি। নিম্ন আয়ের মানুষ বৃষ্টিতে ভিজে অটো, নছিমন, ভটভটি, ভ্যান কিংবা অন্যান্য কাজে ঘর হতে বের হয়েছেন।
তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে অনেক কৃষকই এখনো আমন ধান ঘরে তুলতে পারেননি। এতে অনেকেরই শুকনো ধান ভিজে গেছে। শেষ সময়ে কষ্টের ফলানো ধান ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
এদিকে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রামের কৃষকেরা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ঘর থেকে গরু-ছাগল বের করা সম্ভব হয়নি। এমন অবস্থায় এসব পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষের অলস সময় কেটেছে বলেও জানা গেছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার সকাল থেকেই জেলায় থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। রোববার ও সোমবার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। সকাল থেকেই কখনো মাঝারি, কখনোবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এ অবস্থা আজ মঙ্গলবারও অব্যাহত থাকতে পারে।
উপজেলার মিয়াপুর গ্রামের ভ্যান চালক বজলু মিয়া বলেন, দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে আমরা নাকাল অবস্থায় পড়েছি। আমাদের আয়ের ওপরই সংসার চলে। তাই রুজির ধান্দায় বৃষ্টিতে ভিজে ঘর হতে বের হয়েছি। সামান্য কিছু আয়ও হয়েছে। এ দিয়ে চাল, ডাল ও নুন নিয়ে ঘরে ফিরব। তবেই রান্না-খাওয়া।
উপজেলার রাওথা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে অনেকেই ধান বাড়িতে তুলেছেন। তবে কারও কারও ধান কাটার পর শুকানোর জন্য রেখে দিয়েছেন খেতে। আবার কেউ কেউ শুকনো ধানের মুঠো বেঁধে গাদা করে রেখেছেন। এ অবস্থায় শনিবার ও রোববার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে বিপত্তি। বৃষ্টিতে ভিজেই ধান কাটা, বাঁধা ও নেওয়ার কাজ করছেন কিষানিরা। এতে বেগ পেতে হচ্ছে। সময় লাগছে বেশি। আর বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় তা নষ্ট হওয়ার উপক্রমও হয়েছে।
নিমপাড়া গ্রামের কৃষক বাসিন্দা আব্দুল কাদের বলেন, গরু বাছুর ও ছাগল নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছি। এগুলো ঘর থেকে বের করতে পারছি না। প্রাণী গুলোর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মদ বলেন, উপজেলায় এবার ৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। এর প্রায় ৭০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। বাড়ি তোলা হয়েছে অন্তত ৫৫-৬০ ভাগ ধান। যারা দেরিতে আবাদ করেছিলেন তাঁদের কিছু ধান এখনো মাঠে থেকে গেছে। তিন দিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে সেই ধান নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষকেরা।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদের’ প্রভাবে সারা দেশই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রাজশাহীতে তিন দিন ধরে এ পরিস্থিতি বিরাজমান। তবে মঙ্গলবারের পর থেকে আবহাওয়া অনেকটা স্বাভাবিক হতে পারে। মেঘ কেটে গেলে শীতের আগমন বেশি ঘটবে।
চট্টগ্রাম নগরীর একটি কনভেনশন হলে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফখরুল আনোয়ার আটক হয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর ভাতিজি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (সাবেক এমপি) আটক হয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
২ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে পচা মিষ্টির রসের সঙ্গে ক্ষতিকর রং ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শিশুদের প্রিয় খাবার সন্দেশ ও টফি; যা প্যাকেটজাত করে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয় বিভিন্ন জেলায়। অর্থ লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) জিপিএ-৫ না পেয়ে হতাশ হয়েছিলেন ইমা আক্তার। তারপর অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে বাকি সব পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এবার তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহে পিকনিকে গিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বাগেরহাট সদরের চুলকাঠি এলাকার শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অহনা ইসলাম মৌ, ৪র্থ শ্রেণির আম্মার, উজান কর্মকার, ১ম শ্রেণির মায়াং
৩ ঘণ্টা আগে