Ajker Patrika

তাড়াশে ভিজিডি কার্ডের নামে ৭ নারীর অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৩, ১৫: ১৫
তাড়াশে ভিজিডি কার্ডের নামে ৭ নারীর অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভিজিডি কার্ড পাইয়ে দেওয়ার নামে দুস্থ সাত নারীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সোহেল রানা নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

সোহেল রানা উপজেলার মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে। তিনি উপজেলার মাগুরা বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটরের দায়িত্ব পালন করছেন।

ভুক্তভোগীরা হলেন তাড়াশ উপজেলার মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া গ্রামের মো. আমিরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. দেলোয়ারা খাতুন, ফিরোজ হোসেনের স্ত্রী ছানোয়ারা খাতুন, খায়রুলের স্ত্রী রনজিদা, ফরজ আলীর স্ত্রী মাছেদা, আব্বাস আলীর স্ত্রী আছমা খাতুন, ইয়ার আলীর স্ত্রী নুরজাহান ও আবু শামার স্ত্রী ছালমা খাতুন।

গত সোমবার (২০ মার্চ) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ মাস আগে চেয়ারম্যানের কথা বলে ভিজিডি কার্ড পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাদের আলাদা আলাদাভাবে বাড়িতে ডেকে নেন সোহেল। এ সময় তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ হাজার করে টাকা নেন। টাকা নেওয়ার সময় কাউকে না বলার জন্য নিষেধও করে দেন সোহেল রানা। পরে ভিজিডি কার্ড না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করেন সোহেল। 

এদিকে ভিজিডি কার্ডের নামে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে সোহেল রানা বলেন, ‘তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’ 

মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান ম্যাগনেট বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বসা হবে। আমার নাম ভাঙিয়ে টাকা নিয়ে থাকলে সেই টাকা ফেরত দিতে হবে।’ 

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবাউল করিম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত